অনাস্থা ভোটে বিরোধীদের কৌশল
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান খানের টিকে থাকা না থাকার বিষয়টি নির্ধারণ হতে যাচ্ছে চলমান পার্লামেন্ট অধিবেশনে। অনাস্থা প্রস্তাব সফল করতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্যের সমর্থন পাওয়ার বিষয়ে অনেকটাই নিশ্চিত দেশটির বিরোধী দলগুলো।
এ ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দল তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সাবেক মিত্র দলগুলো ও পার্লামেন্টের স্বতন্ত্র সদস্যদের সমর্থন পেতে যাচ্ছে বিরোধীরা। পিটিআইয়ের ভিন্নমতাবলম্বী ২২ জন সদস্যও তাদের পক্ষে আছে বলে দাবি করেছে বিরোধীদলগুলো।
তবে পিটিআইয়ের ভিন্নমতাবলম্বীদের সমর্থন ছাড়াই অনাস্থা ভোটে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্যের সমর্থন অর্জন করার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ায় তারা ক্ষমতাসীন দলের ওই ২২ সদস্য তাদের পক্ষে আছেন, অধিবেশনে এমন দাবি তুলবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে; পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক ডনকে জানিয়েছে বিরোধীদলীয় সূত্রগুলো।
কারণ এমন দাবি করলে তা পাকিস্তানের সংবিধানের ৬৩-এ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী পিটিআইয়ের ভিন্নমতাবলম্বী সদস্যরা অযোগ্য ঘোষণার মুখে পড়তে পারেন, জানিয়েছে সূত্রগুলো।
পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতারা জানিয়েছেন, শনিবারের অধিবেশনের বিষয়ে তারা তাদের কৌশল ঠিক করে ফেলেছেন এবং সরকার দলীয় সামনের সারির সদস্যরা উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করলেও তাদের দলের পার্লামেন্ট সদস্যদের ‘শান্ত এবং ধৈর্যশীল’ থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন।
পিপিপির এক জ্যেষ্ঠ নেতা ডনকে বলেছেন, ‘যেহেতু সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার মতো পর্যাপ্ত সংখ্যা আমাদের আছে তাই আমরা পিটিআইয়ের সদস্যদের (ভিন্নমতাবলম্বী) ভোট দিতে বলবো না। এই পিটিআই সদস্যরা রিজার্ভ হিসেবে থাকবে আর জরুরি প্রয়োজন হলে তাদের কয়েকজনকে ভোট দিতে বলা হতে পারে।’
অধিবেশন চলাকালে দীর্ঘ বক্তৃতা দিয়ে পিটিআই ভোট প্রক্রিয়াক ঝুঁলিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এমন খবরের প্রতিক্রিয়ায় পিএমএল-এনের মহাসচিব আহসান ইকবাল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে সদস্যদের ভোট দিতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা ‘আদালতের অবমাননা’ হিসেবে গণ্য হবে, কারণ সুপ্রিম কোটের রায়ে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে অনাস্থা প্রস্তাবে শনিবারই ভোট নিতে হবে।
ইকবাল জানিয়েছেন, বিরোধী দলগুলোর পাশাপাশি পিটিআইয়ের সাবেক মিত্র দলগুলোর সদস্যদের নিয়ে বিরোধীদলের ১৭৭ জনের ‘পরিষ্কার ও বিতর্কহীন সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে, কারণ ন্যূনতম সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ১৭২ সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন।’ তিনি বলেন, ‘এটা এখন পিটিআই বনাম অবশিষ্ট হয়ে গেছে।’
এসএ/