চীনের সাংহাই প্রদেশে চলছে খাদ্য সংকট
করোনার কারণে লকডাউনে আটকে থাকা চীনের সাংহাই প্রদেশে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। সেখানকার বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।
লকডাউনের কারণে বাসা বাড়িতে আটকে থাকা বাসিন্দারা নিজের প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদিও ক্রয় করতে পারছেনা। করোনার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এটিকেই সবচেয়ে বড় ধাক্কা হিসিবে দেখা হচ্ছে।
জ্যারেড নামের এক বাসিন্দা টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, ১৭ দিন ধরে চলমান লকডাউনে প্রদেশটিতে খাদ্যের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। প্রতিদিনের মতো সকাল ৬টায় উঠে প্রায় ১০টি অ্যাপে বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে খাবার অর্ডার করলেও কোন খাবার পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার সাংহাই প্রদেশে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, যা নতুন রেকর্ড। তবে কর্তপক্ষ বলছে করোনার কারণে শহরটি কঠিন সময়ের মদ্যে দিয়ে গেলেও এ থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে
করোনার কারণে অভিভাবকদের কাছ থেকে শিশুদের দূরে রাখা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। তবে এই অভিযোগের পরেই সাংহাই কর্তৃপক্ষ করোনায় আক্রান্ত অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের দেখাশুনা করার অনুমতি দিয়েছে।
এদিকে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, করোনায় আক্রান্ত না হওয়া সত্বেও চীনের সাংহাই প্রদেশের শিশুদের তাদের পরিবার থেকে দূরে রাখা হচ্ছে বলে এখনও অভিযোগ রয়েছে।
২০১৯ সালের অক্টোবরের প্রথম দিকেই চীনে করোনাভাইরাস ছড়ানো শুরু হয়। চীনে করোনাভাইরাসের উৎপত্তির সবচেয়ে সম্ভাব্য তারিখ হতে পারে ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর। আর ২০২০ সালের জানুয়ারি নাগাদ এই ভাইরাস বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে।
করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনা শনাক্ত ৪৯ কোটি ৫০ লাখ ৩৪ হাজার ৫৩৭ জন। এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৬১ লাখ ৯০ হাজার ৮৫২ জনে
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) সকালে আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকার শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ ঘণ্টায় ৩১ হাজার ১১৮ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে মারা গেছেন ৪৮৩ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো আট কোটি ১৯ লাখ ৫০ হাজার ২৪৭ জনে। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ১০ লাখ ১০ হাজার ৫৩৭ জন। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ছয় কোটি ৬০ লাখ ৮৮ হাজার ১৫১ জন।
কেএফ/