হত্যার শঙ্কায় ইমরান খানের নিরাপত্তা বৃদ্ধি
হত্যার শঙ্কায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী। দেশটির সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানায়।
শুক্রবার এক টুইটে ফাওয়াদ বলেন, নিরাপত্তা সংস্থাগুলোও জানিয়েছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে হত্যার একটি পরিকল্পনা সামনে এসেছে। এ প্রতিবেদন পাওয়ার পর সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে পিটিআই নেতা ফয়সাল ভাওদাও দাবি করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের জীবন হুমকির মধ্যে রয়েছে এবং তার জীবন নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
পাকিস্তানের এ রাজনৈতিক সংকটের সূত্রপাত ঘটেছে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব ঘিরে। সরকারের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অনিয়মের অভিযোগ এনে ৮ মার্চ পাকিস্তানের সংবিধানের ৫৪ ধারায় বিরোধী দলগুলোর প্রতিনিধিরা অনাস্থা ভোটের জন্য ন্যাশনাল অ্যাসেমব্লি সেক্রেটারিয়েটে প্রস্তাব জমা দেন।
২৫ শতাংশ সদস্যের সই করা প্রস্তাব স্পিকার আসাদ কায়সারকে দেওয়ায় তিনি ২৫ মার্চ পার্লামেন্টের অধিবেশন আহ্বান করেন। এদিন অধিবেশন শুরুর পরপরই ২৮ মার্চ পর্যন্ত সভা স্থগিত করেন স্পিকার। এদিন অধিবেশন শুরু হলে ন্যাশনাল অ্যাসেমব্লি সদস্য ও বিরোধী দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-এন (পিএমএল-এন) নেতা শাহবাজ শরিফ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এর ঘণ্টাখানেক পরই আবার অধিবেশন স্থগিত করা হয়।
এদিকে, নিজ দল তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতাদের মীর জাফর বলে আখ্যায়িত করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন ইমরান খান। পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, মীর জাফর এবং মীর সাদিক ব্রিটিশদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাংলাকে তাদের হাতে তুলে দিয়েছিল। এরা (তার দলের ভিন্নমতাবলম্বী) আজকের মীর জাফর এবং মীর সাদিক।
ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রকে ইঙ্গিত করে ইমরান খান বলেন, 'আপনারা বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশ করে ক্ষমতার পরিবর্তন আনতে চাইছেন। কিন্তু মনে রাখবেন জাতি আপনাদের ভুলে যাবে না এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আপনাদের ক্ষমা করবে না।'
এর আগে ২৭ মার্চ অনাস্থা ভোটের আগে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বিদেশিদের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন ইমরান খান। তিনি দাবি করেন, বিদেশিরা তাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে চায়। এদের সঙ্গে বিরোধী দলগুলোর যোগাযোগ রয়েছে। অনাস্থা ভোটে তিনি জয়ী হয়ে গেলে পাকিস্তানকে কঠিন সময়ের মুখে পড়তে হবে।
কেএফ/