রাশিয়া-ইউক্রেন উত্তেজনার মধ্যেই পৌঁছাল মার্কিন অস্ত্র চালান
ইউক্রেনের উত্তর-পূর্ব সীমান্তে রাশিয়ারর সেনা মোতায়েন নিয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মধ্যে আমেরিকার গোলাবারুদ এবং হালকা অস্ত্রের চালান বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) ইউক্রেন পৌঁছেছে বলে পেন্টাগন জানিয়েছে। শনিবার ( ১১ ডিসেম্বর) সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
১ সেপ্টেম্বরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি হোয়াইট হাউস সফরকালে ৬০ মিলিয়ন ডলারের নিরাপ্তা সহায়তা প্যাকেজের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই প্যাকেজের আওতায় 'জাভালিনের' মতো কামান বিধ্বংসী মারনাস্ত্র যেমন আছে তেমনি প্রণঘাতি নয় এমন অস্ত্রও সরবরাহ করবে আমেরিকা।
৮ ডিসেম্বর হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এটা রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কার্যকরী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ইউক্রেনকে সহায়তা করবে। ইউক্রেন-রাশিয়া সীমান্তে বিরাজমান উদ্বেগজনক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে আমেরিকা। আর রাশিয়ার যদি হামলা চালায়, তবে তা প্রতিহত করতে আমেরিকা ন্যাটো এবং তার ইউরোপের মিত্র দেশগুলোর সহায়তার নেবে। এ লক্ষ্যে মিত্রদের সঙ্গে আলোচনাও চালিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা।
সর্বশেষ চালানসহ চলতি বছর ৪৫০ মিলিয়নেরও বেশি নিরাপত্তা সরঞ্জাম ইউক্রেনকে দিয়েছে আমেরিকা। ২০১৪ সালে যখন রাশিয়া ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে নেয়, তখন থেকে এ পর্যন্ত ইউক্রেনকে ২.৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে দেশটি।
সম্প্রতি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ইউক্রেন ইস্যুতে ভার্চ্যুয়াল বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ওই বৈঠকে রাশিয়াকে হুঁশিয়ারি দেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেনে আগ্রাসন চালায়, তাহলে দেশটিকে ভয়ানক মূল্য দিতে হবে। দেশটিকে অর্থনৈতিক সঙ্কটের পরিণতির ভোগ করতে হবে।
কেএফ/