পদত্যাগের চাপে বরিস জনসন
পদত্যাগের চাপে পড়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। নিজের তৈরি আইন ভঙ্গ করে নিজেই ফেঁসে গেছেন। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে গত ডিসেম্বরে সারাদেশে ইনডোর পার্টি নিষিদ্ধ করে নিজেই ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে বড়দিনের পার্টির আয়োজন করে চাপের মুখে পড়েছেন তিনি। এএফপি জানায়।
গত ৮ ডিসেম্বর ক্রিসমাস অনুষ্ঠানের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ পায় গণমাধ্যমে। এতদিন এই খবরকে অস্বীকার করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। সানডে মিরর, আইটিভিসহ ব্রিটেনের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম সেই পার্টির ছবি-ভিডিও প্রকাশ করায় বেশ চাপে পড়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। বিতর্ক এড়াতে ১০ ডিসেম্বর ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেও মন গলেনি বিরোধী শিবিরের। তাদের সাফ কথা, সরকার নিজে বিধি জারি করে নিজেই আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে। বরিস জনসনের উচিত পদত্যাগ করা।
ব্রিটিশ মিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, গত ডিসেম্বরে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদেশে জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ব্রিটিশ সরকার। ঠিক সেই সময় পিএমওর কর্মীরা বড়দিন পালনে মেতে ওঠেন। পার্টিতে করা ভিডিওতে তৎকালীন প্রেস সচিব অ্যালেগ্রা স্ট্রাটনকে অবৈধ পার্টি নিয়ে মজা করতেও দেখা গেছে। এর পরই জনসন সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। অনেকের অভিযোগ, করোনা রোধে দেশবাসীর জন্য বিধিনিষেধ জারি হলেও, নিয়ম তৈরির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারাই তা মানছেন না।
প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টি থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলা হয়েছে, আইন রক্ষার সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হয়ে এভাবে আইন ভঙ্গ করা বাজে সংস্কৃতি। দলনেতা কিয়ের স্টার্মার বলেন, ‘অবৈধ এই পার্টি আয়োজনের দায় কাঁধে নিয়ে বরিস জনসনের উচিত পদত্যাগ করা।’
এর আগেও জনসনের কনজারভেটিভ পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে কোভিড বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছিল। সে সময় চাপে পড়ে জনসনের অন্যতম আস্থাভাজন ডোমিনিক কামিনসকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া ফাঁস হওয়া প্যানডোরা পেপারসের কারণে গত অক্টোবরেও পদত্যাগের হুমকিতে পড়েন জনসন। তখন দক্ষতার সঙ্গে সেই চাপ সামলে এলেও এখন আবার নতুন বিতর্কে পড়লেন তিনি।
কেএফ/