গৃহযুদ্ধ শুরুর পর প্রথম আমিরাত সফরে আসাদ
২০১১ সালে সিরিয়া গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করেছেন বাশার আল-আসাদ। শুধু আমিরাতই নয়, যুদ্ধ শুরুর পর এক দশকে এটিই আসাদের প্রথম কোনো আরব রাষ্ট্র সফর।
শুক্রবার (১৮ মার্চ) সিরিয়ার প্রেসিডেন্সি এক বিবৃতিতে জানায় দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের সঙ্গে বৈঠক দিয়ে শুরু হয়েছে আসাদের আমিরাত সফর। আমিরাতে ডি-ফ্যাক্টো শাসক আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গেও দেখা করেছেন তিনি।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানিয়েছে, আসাদ এবং আল মাকতুমের মধ্যে বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সামগ্রিক সম্পর্ক এবং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বৃত্ত সম্প্রসারণের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে অর্থনৈতিক, বিনিয়োগ এবং বাণিজ্যিক স্তরে ঐক্য প্রতিষ্ঠার বিষয়ে একমত হয়েছেন তারা। বৈঠকে দুই নেতা সিরিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং দেশ থেকে বিদেশী বাহিনী প্রত্যাহারের মতো ‘উদ্বেগের বিষয়গুলো’ নিয়ে আলোচনা করেছেন।
একসময় ব্যাপকভাবে সিরিয়াকে এড়িয়ে যাওয়া আরব বিশ্বের দেশগুলোর সঙ্গে আসাদের ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে। আসাদের আমিরাত সফরটি স্পষ্ট সংকেত দিচ্ছে আরব দেশগুলো সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে ইচ্ছুক।
সম্প্রতি জর্ডান এবং লেবাননসহ বেশ কয়েকটি আরব দেশ আসাদের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করছে। দামেস্কের উপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বানও জানিয়েছে দেশগুলো।
১১ বছর আগে সিরিয়ায় অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘাত শুরুর পর ২২-সদস্যের আরব লীগ থেকে সিরিয়াকে বহিষ্কার করা হয়। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে যুক্ত হয় একাধিক আরব রাষ্ট্রসহ রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের মটয় বৃহৎ শক্তিগুলো।
যুদ্ধে দেশটিতে লক্ষাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন, জনসংখ্যার অর্ধেককে করেছে বাস্তুচ্যুত। সিরিয়ার বড় অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে, যা পুনর্গঠনে খরচ হবে কয়েক বিলিয়ন ডলার।
এসএ/