কিয়েভ ঘিরে রুশ বাহিনীর নতুন অবস্থান
ইউক্রেনের রাজধানীর কিয়েভের তিনদিকে অবস্থান নিয়েছে রুশ বাহিনী। কিয়েভের উত্তরে কয়েক দিন একই অবস্থানে থাকার পর রুশ সাঁজোয়া যানের বিশাল একটি বহর ভাগ হয়ে নতুনভাবে এ অবস্থান নিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে দ্বিগুণ শক্তিতে আক্রমণ চালানোর পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে অবস্থান পরিবর্তন করেছে তারা। খবর ভয়েস অব আমেরিকা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, রাশিয়ার বাহিনী কিয়েভের আরও ৫ কিলোমিটার কাছে সরে এসেছে। অবস্থান পরিবর্তনের পাশাপাশি লাভিভের ১৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।
এর আগে স্যাটেলাইট থেকে রুশ বাহিনীর সেখানে জড়ো হওয়ার বিষয়টি শনাক্ত হয়। রাশিয়ার বাহিনীর বহরটি একপর্যায়ে ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ হয়ে যায়। স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যায়, সাঁজোয়া যান, ট্যাংক এবং কামানের বহরটিকে মূলত কিয়েভের উত্তর-পশ্চিমে অ্যান্টোনভ বিমানবন্দরের কাছের জঙ্গল ও শহরগুলোতে অবস্থান নিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২১ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রুশপন্থী বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইউক্রেনের দুই অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করেন। সেখানে ‘শান্তি রক্ষায়’ সেনা পাঠানোর নির্দেশ দেন তিনি। এরপর উত্তেজনা নতুন মাত্রা পায়। একই সঙ্গে ‘প্রজাতন্ত্র’ দুটিতে রুশ সেনাদের ‘শান্তিরক্ষী’ হিসেবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন তিনি। পুতিনের এই পদক্ষেপের পর পশ্চিমাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে দিয়েছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে পূর্ব ইউক্রেনের বিদ্রোহীনিয়ন্ত্রিত ডনবাস অঞ্চলে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত পূর্ব ইউক্রেনের ওই অঞ্চলে গত আট বছরের লড়াইয়ে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।
ষোল দিনের যুদ্ধে ইউক্রেনের একাংশ এখন রাশিয়ার দখলে। আজ চলছে যুদ্ধের ১৭তম দিন। রাজধানী কিয়েভ ঘিরে রেখেছে রাশিয়ার বিশাল সেনাবহর। ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর থেকে একের পর এক আর্থিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পশ্চিমা শক্তিগুলো। তবে যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো বা অন্য কোনো পশ্চিমা শক্তিধর দেশ সামরিক হস্তক্ষেপ করতে এগিয়ে আসেনি।
কেএফ/