ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাজ্য
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস জানিয়েছেন ইউক্রেনের আত্মরক্ষার জন্য যুক্তরাজ্য সেখানে অস্ত্রের সরবরাহ বাড়াচ্ছে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ওয়ালেস বলেন, যুক্তরাজ্য ইতোমধ্যেই ইউক্রেনে ২০০০ ‘নেক্সট-জেনারেশন’ হালকা ট্যাংক-বিধ্বংসী অস্ত্র পাঠিয়েছে এবং এই সংখ্যা এখন ৩,৬১৫-তে উন্নীত করা হচ্ছে। খবর বিবিসির।
ইউক্রেনকে ‘জ্যাভেলিন’ ট্যাংক-বিধ্বংসী অস্ত্রের একটি ছোট চালান দেওয়া হচ্ছে এবং ‘স্টারস্ট্রিক’ নামের সারফেস-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর সম্ভাবনা কতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, এ ছাড়া যুক্তরাজ্য হালকা অস্ত্র এবং অন্যান্য সরঞ্জামও পাঠিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২১ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রুশপন্থী বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইউক্রেনের দুই অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করেন। সেখানে ‘শান্তি রক্ষায়’ সেনা পাঠানোর নির্দেশ দেন তিনি। এরপর উত্তেজনা নতুন মাত্রা পায়। একই সঙ্গে ‘প্রজাতন্ত্র’ দুটিতে রুশ সেনাদের ‘শান্তিরক্ষী’ হিসেবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন তিনি। পুতিনের এই পদক্ষেপের পর পশ্চিমাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে দিয়েছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে পূর্ব ইউক্রেনের বিদ্রোহীনিয়ন্ত্রিত ডনবাস অঞ্চলে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত পূর্ব ইউক্রেনের ওই অঞ্চলে গত আট বছরের লড়াইয়ে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।
তের দিনের যুদ্ধে ইউক্রেনের একাংশ এখন রাশিয়ার দখলে। সাময়িক যুদ্ধবিরতি শেষে আজ চলছে যুদ্ধের ১৪তম দিন। রাজধানী কিয়েভ ঘিরে রেখেছে রুশ সেনারা। ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর থেকে একের পর এক আর্থিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পশ্চিমা শক্তিগুলো।
সূত্র: বিবিসি
আরএ/