আরেক দফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা মস্কোর
বেসামরিক নাগরিকদের সরে যাওয়ার পথে করে দিতে আরেক দফা যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের আরও চারটি শহরের যুদ্ধবিরতি ঘোষনা করেছে মস্কো।
মস্কো জানিয়েছে স্থানীয় সময় বুধবার সকাল দশটা থেকে কিয়েভ, চেরনিহিভ, সামি, খারকিভ এবং মারিয়োপোল শহরে মানবিক করিডর দেওয়া হবে।
রুশ আগ্রাসন শুরুর পর মানবিক করিডর চালুর পর মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো সামি শহর থেকে বেসামরিকদের সফলভাবে সরিয়ে নেওয়ার কথা জানায় ইউক্রেন। তবে মারিয়োপোল শহরের মানবিক করিডরে রুশ বাহিনী হামলা করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে ইউক্রেন।
এর আগে মানবিক করিডোর চালু করে রাশিয়া বা বেলারুশ সীমান্তে বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য রাশিয়ার প্রস্তাব ‘সম্পূর্ণ অনৈতিক’ বলে প্রত্যাখ্যান করে ইউক্রেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির একজন মুখপাত্র বলেন, ইউক্রেনের নাগরিকদের নিজ ভূখণ্ড দিয়ে বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া উচিত।
ইউক্রেনে হামলার প্রায় দুই সপ্তাহ পর চারটি শহরে সোমবার (৭ মার্চ) সাময়িক অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করে রাশিয়া। একই সঙ্গে এসব শহরে মানবিক করিডোর চালু করারও ঘোষণা দেওয়া হয়। এই চারটি শহর হলো রাজধানী কিয়েভ, খারকিভ, মারিউপোল ও সুমি।
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশের পর স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে স্থল, আকাশ ও জলপথে ইউক্রেনে হামলা শুরু করেন রাশিয়ার সেনারা। উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব দিক থেকে, এমনকি বেলারুশ থেকেও হামলা চালানো শুরু হয়। ধীরে ধীরে রাজধানী কিয়েভের দিকে অগ্রসর হয় রুশ সেনারা। ইউক্রেনের সেনাদের সঙ্গে শুরু হয় তীব্র লড়াই।
রাশিয়ার ন্যাশনাল ডিফেন্স কন্ট্রোল সেন্টারের প্রধান মিখাইল মিজিনেস্তভকে উদ্ধৃত করে রুশ বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদে সরে যাওয়া নিশ্চিত করতে মানবিক করিডর দেওয়া হবে।
তবে মানবিক করিডরের আওতায় থাকা শহরগুলোর বাসিন্দাদের রাশিয়া কিংবা বেলারুশের মধ্য দিয়ে যেতে হবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। তবে আগে এই ধরনের শর্ত প্রত্যাখ্যান করে ইউক্রেনের সরকার।
কেএফ/