সুমি থেকে সবাইকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে: ইউক্রেন
ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বের শহর সুমি থেকে বেসামরিক জনগণকে সম্পূর্ণভাবে সরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে কিয়েভ।
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির দপ্তরের একজন কর্মকর্তা কাইরিলো তাইমোশেঙ্কো জানিয়েছেন, শহর থেকে পাঁচ হাজার মানুষ এবং এক হাজার ব্যক্তিগত গাড়ি নিরাপদ অবস্থানে চলে গেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
কাইরিলো তাইমোশেঙ্কোর টেলিগ্রাম একাউন্টে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যায়, অনেক মানুষ রাতের বেলা একটি রেল স্টেশনে পৌঁছেছেন। তবে তিনি বিস্তারিত জানাননি।
রাশিয়ার সীমান্তবর্তী সুমি শহরে গত কয়েকদিন ধরে ভারী গোলাবর্ষণ করছে রুশ সৈন্যরা। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুধু সোমবার শহরটিতে ২২ জন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে শিশুও রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২১ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রুশপন্থী বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইউক্রেনের দুই অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করেন। সেখানে ‘শান্তি রক্ষায়’ সেনা পাঠানোর নির্দেশ দেন তিনি। এরপর উত্তেজনা নতুন মাত্রা পায়। একই সঙ্গে ‘প্রজাতন্ত্র’ দুটিতে রুশ সেনাদের ‘শান্তিরক্ষী’ হিসেবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন তিনি। পুতিনের এই পদক্ষেপের পর পশ্চিমাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে দিয়েছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে পূর্ব ইউক্রেনের বিদ্রোহীনিয়ন্ত্রিত ডনবাস অঞ্চলে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত পূর্ব ইউক্রেনের ওই অঞ্চলে গত আট বছরের লড়াইয়ে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।
তের দিনের যুদ্ধে ইউক্রেনের একাংশ এখন রাশিয়ার দখলে। সাময়িক যুদ্ধবিরতি শেষে আজ চলছে যুদ্ধের ১৪তম দিন। রাজধানী কিয়েভ ঘিরে রেখেছে রুশ সেনারা। ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর থেকে একের পর এক আর্থিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পশ্চিমা শক্তিগুলো। তবে যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো বা অন্য কোনো পশ্চিমা শক্তিধর দেশ সামরিক হস্তক্ষেপ করতে এগিয়ে আসেনি।
এসএ/