জ্বালানি সংকট
শত্রু মাদুরোকে পাশে চায় যুক্তরাষ্ট্র
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক বরাবরই বৈরী। ২০১৮ সালের নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমে মাদুরো পুননির্বাচিত হয়েছেন এমন অভিযোগে দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে ওয়াশিংটন।
তবে এবার সেই মাদুরোকে পাশে চায় যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেন হামলার ঘটনায় রাশিয়াকে একঘরে করতে এবং জ্বালানির বিকল্প উৎসের জন্য ভেনেজুয়েলার সহযোগিতা প্রয়োজন যুক্তরাষ্ট্রের।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ভেনেজুয়েলায় ছুটছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। শনিবার (৫ মার্চ) নিকোলা মাদুরোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা। নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, ইউক্রেন হামলার ঘটনায় রাশিয়াকে একঘরে করতে ভেনেজুয়েলাকে পাশে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
সম্প্রতি লাতিন আমেরিকায় বন্ধুত্ব বেড়েছে রাশিয়ার। যুক্তরাষ্ট্রও এখন ওই দিকে মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বা মাদুরো সরকারের পক্ষ থেকে মার্কিন কর্মকর্তাদের হঠাৎ সফর নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
এর আগে ২০১৮ সালে নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমে মাদুরো পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন এমন অভিযোগে দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে ওয়াশিংটন। এমনকি তারা দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুইদোকে স্বীকৃতি দেয়।
নিকোলা মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করতে দেশটির বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞাও দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এ কারণে ২০১৯ সাল থেকে দেশটির প্রধান রপ্তানি পণ্য অপরিশোধিত জ্বালানি তেল (ক্রুড অয়েল) যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে টাইমস-এর খবরে বলা হয়, রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় জ্বালানির বিকল্প উৎসের খোঁজে ভেনেজুয়েলা সফরে গেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
শুক্রবার (৪ মার্চ) হোয়াইট হাউস জানায়, কীভাবে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি কমানো যায়, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর আগে গত মাসে ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়টি পর্যালোচনার ইঙ্গিত দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
সূত্র: এএফপি, ওয়াশিংটন
আরএ/