সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পশ্চিমা অবরোধে রাশিয়ার যত ক্ষতি

ইউক্রেনে রাশিয়া আগ্রাসন চালানোর পর প্রতিউত্তরে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর অবোরধ আরোপ করেছে। পশ্চিমা দেশগুলো ২০১০ সালে ইরান ও ২০১৩ সালে উত্তর কোরিয়ার ওপর যে ধরনের আবরোধ অরোপ করেছিল রাশিয়ার বিরুদ্ধে তার চেয়েও কঠোর আবরোধ আরোপ করা হয়েছে।

পশ্চিমা নেতারা জানেন বিশ্বের বৃহত্তম আর্থনীতির এই দেশটিকে অবিলম্বে যুদ্ধ থেকে সরিয়ে আনা যাবে না, তবে এই অবরোধ আরোপের ফলে রাশিয়ার অর্থনীতির যথেস্ট ক্ষতি হবে। এক্ষতি এড়াতে রাশিয়া দ্রুততম সময়ে যুদ্ধ থেকে সরে আসলে আসতেও পারে।

রাশিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো কতটা কঠিন? ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে যে নিষেধাজ্ঞাগুলো আরোপ করা হয়েছিল এবারের নিষেধাজ্ঞা তার চেয়েও কঠিন। এ অবরোধ রাশিয়ান অর্থনীতির ক্ষতি করতে পারবে তবে, নিশ্চিহ্ন করতে পারে না। ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন, বিভিন্ন কারণে নতুন রাশিয়া ভূখণ্ড হারালেও এর জনগণ সেখানেই আছে। ২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের রুশভাষী দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণে নিতে ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার সামরিক সংঘাত বিরাজ করছে।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পূর্ব ইউক্রেনের দুটি বিচ্ছিন্ন অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এক টেলিভিশনে ভাষণে পুতিন ইউক্রেনকে রাশিয়ার ইতিহাসের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, পূর্ব ইউক্রেন এক সময় রাশিয়ার ভূমি ছিল। তিনি আত্মবিশ্বাসী যে, রাশিয়ার জনগণ তার এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানাবে। দীর্ঘ ভাষণে পুতিন ওই অঞ্চলের ইতিহাস তুলে ধরেন। অটোমান সাম্রাজ্য থেকে শুরু করে ন্যাটোর পূর্ব ইউরোপে সম্প্রসারণ নিয়ে সৃষ্ট সাম্প্রতিক উত্তেজনা নিয়েও কথা বলেন তিনি। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উপর নিষেধাজ্ঞা-

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্র ও অংশীদারেরা ইতিমধ্যে পুতিনের শাসনের বিরুদ্ধে অভূতপূর্ব কঠিন অর্থনৈতিক ও আর্থিক নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছে। কার্যকরভাবে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আটকে দিয়ে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আন্তর্জাতিক আর্থিক বাজার থেকে বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি রাশিয়ার ওপর একটি বিরাট আঘাত।

নিঃসন্দেহে রাশিয়ান আর্থিক ব্যবস্থার সবচেয়ে শক্তিশালী আঘাত হল সেন্ট্রাল ব্যাংক অব রাশিয়ার (সিবিআর) উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা। দেশীয় বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। ২৭ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরপরই দেশীয় বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে সেটা প্রভাব ফেলে। এর ফলে দুদিন আগের তুলনায় ডলার বিক্রির হার অন্তত ৪৫ শতাংশ বেড়ে যায়। ব্যাংকগুলোতে ডলার বেচাকেনা হারের ব্যবধান ছিল ২০ থেকে ৫০ শতাংশের মধ্যে।

রবিবার রাত থেকে রাশিরার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং সরকার মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে বেশ কয়েকটি নতুন প্রবিধান জারি করেছে। রপ্তানিকারকদের এখন রুবলের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের ৮০ শতাংশ বিক্রি করতে হবে। বিদেশিরা রাশিয়ান স্টক এবং বন্ড বিক্রি করতে পারে না এবং তাদের অ্যাকাউন্টে কুপন এবং লভ্যাংশ স্থানান্তর করতে পারে না। আবাসিক বা অনাবাসিক ৪৩ টি দেশের নাগরিক, যে সকল দেশ রাশিয়ার ওপর অবরোধ আরোপ করেছে, তারা রাশিয়ার বাইরে কোনো ব্যাংকে তাদের টাকা স্থানান্তর করতে পারবে না। কার্যকরভাবে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আটকে দিয়ে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আন্তর্জাতিক আর্থিক বাজার থেকে বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি রাশিয়ার ওপর একটি বিরাট আঘাত।

সিবিআর-এর উপর নিষেধাজ্ঞার একটি পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হল অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্পত্তি, চলতি হিসাব এবং জাতীয় কল্যাণ তহবিলের তহবিল জব্দ করা। কিন্তু বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে এর কোনো প্রভাব পড়বে বলে মনে হয় না।

সুইফট থেকে রাশিয়ান ব্যাংক বিচ্ছিন্ন-

রাশিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা খুব দ্রুত কার্যকর হচ্ছে। পশ্চিমা দেশগুলোর সরকারি নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি বেসরকারি কোম্পানিগুলোও রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। ব্যাঙ্কিং সিস্টেম সুইফট জানিয়েছে, আগামী ১২ মার্চ থেকে তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার কার্যকর শুরু করবে। প্রাথমিকভাবে সাতটি রাশিয়ান ব্যাংককে তারা বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন করবে।

সংস্থাটির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের দুঃখজনক মানবিক পরিণতি যারা ভোগ করছেন তাদের প্রতি আমাদের সমবেদনা।’ এই সপ্তাহের শুরুতে পশ্চিমা দেশগুলো আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সিস্টেম থেকে রাশিয়ার কিছু মূল ব্যাংককে বাদ দিতে সম্মত হয়। আন্তঃসীমান্ত অর্থ প্রবাহের সুবিধার্থে ২০০টিরও বেশি দেশে হাজার হাজার আর্থিক প্রতিষ্ঠান সুইফট ব্যবহার করে।  

রাশিয়ায় প্রযুক্তিপণ্য রপ্তানি বন্ধ-

রাশিয়ায় মূল প্রযুক্তিপণ্যগুলোর রপ্তানি বন্ধ করতে পারে পশ্চিমা দেশগুলো। এসব পণ্যের মধ্যে থাকতে পারে সেমিকন্ডাক্টর মাইক্রোচিপ। গাড়ি থেকে শুরু করে স্মার্টফোন সবকিছু তৈরি করতেই প্রয়োজন এই মাইক্রোচিপের।

প্রযুক্তিপণ্যগুলো হাতে না পেলে যেমন রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ গবেষণা খাত ক্ষতির মুখে পড়বে, তেমনই ধাক্কা খাবে অর্থনীতি। একই সঙ্গে রাশিয়ায় এসব পণ্য রপ্তানিকারী দেশগুলোর ওপরও প্রভাব আসবে।

রাশিয়ার জ্বালানি আমদানি বন্ধ-

প্রাকৃতিক গ্যাস ও জ্বালানি তেল রপ্তানির ওপর রাশিয়ার অর্থনীতি বহুলাংশে নির্ভরশীল। এমন পরিস্থিতিতে গাজপ্রম ও রসনেফটের মতো দেশটির বৃহৎ প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে তেল ও গ্যাস কেনা বন্ধ করতে পারে পশ্চিমারা।

রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানি বন্ধ করলে ইউরোপের দেশগুলোতে গ্যাসের দাম বাড়তে পারে, দেখা দিতে পারে তেলের সংকট। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে জার্মানি। রাশিয়া থেকে আমদানি করা গ্যাসেই দেশটির তিন ভাগের একভাগ চাহিদা মেটে।

এছাড়া প্রাইভেট কোম্পানি অ্যাপল, অ্যামাজন ও নাইকি রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছে। তারা ঘোষণা দেয়, রাশিয়ায় তাদের কার্যক্রম আপাতত বন্ধ থাকবে। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের প্রতিবাদ হিসেবে তারা এটা করেছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মিডিয়া আউটলেট আরটি এবং স্পুটনিকের সম্প্রচার ইউরোপজুড়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) নিষিদ্ধ হওয়ার পর মিডিয়াগুলোর বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি এবং মিথ্যা প্রচারণার অভিযোগ আনা হয়।

কেএফ/

 

Header Ad

টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা আজাহার গ্রেফতার

টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা আজাহার গ্রেফতার। ছবি: সংগৃহীত

হত্যা মামলার অভিযোগে টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আজহারুল ইসলাম আজহারকে গ্রেফতার করেছে ভূঞাপুর থানা পুলিশ। সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকালে ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, টাঙ্গাইল সদর থানায় তার ওই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে টাঙ্গাইল সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আজাহার জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ছাড়াও ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, উপজেলা সিএনজি-অটোরিকশা মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ছিলেন।

Header Ad

চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ নওগাঁয়

চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ নওগাঁয়। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে নওগাঁয়। সকালে নওগাঁর বদলগাছীতে সর্বনিম্ন ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

দেখা গেছে সন্ধ্যা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত শীতের প্রকোপ থাকছে বেশি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরমের দাপট থাকছে বেশ।

নওগাঁ সবজি উৎপাদনে বৃহৎ জেলা। এ জেলায় উৎপাদিত সবজি জেলার চাহিদা পূরণের পাশাপাশি রপ্তানি হয় দেশের বিভিন্ন বাজারে।

চাষিরা বলছেন, শীত আগমনে সকালের দিকে মাঠে কাজ করতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।

অন্যদিকে শীত আগমনে জেলার হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্ক মানুষ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে এই সময়টাতে শিশু এবং বয়স্কদের প্রতি বাড়তি নজর রাখতে বলা হচ্ছে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে।

Header Ad

নির্লজ্জ দলাদলির পরিণতি দেশবাসী দেখেছে: তারেক রহমান

সাধারণ সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ভিন্ন মতকে শত্রুতা বা নির্লজ্জ দলাদলিতে পরিণত করলে কী পরিণতি হতে পারে তা দেশবাসী দেখেছে। আওয়ামী লীগ আর স্বাধীনতা একসঙ্গে যায় না। এরইমধ্যে নানান ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। পতিত স্বৈরাচাররা দেশ ও দেশের বাহিরে থেকে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তবে শেষ পর্যন্ত জনগণের রায়ই চূড়ান্ত।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) বার্ষিক সাধারণ সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, আওয়ামীলীগ আর গণতন্ত্র একে অপরের শত্রু। আমাদের চলমান গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করতে এই মুহূর্তে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে গিয়েছে। বিতাড়িত অপশক্তি আর বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না।

তিনি বলেন, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। সাগর-রুনির বিচারের বিষয়ে রাষ্ট্র উদাসীন থাকবে না- এমন ব্যবস্থা চাই। এছাড়া স্বৈরাচার আমলে যে সাংবাদিকরা চাকরি হারিয়েছেন, তাদের চাকরিতে ফেরত নিতে কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিকতায় বস্তুনিষ্ঠতা গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি দাবি করেন, বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মী ঘরছাড়া। হাজারো হতাহত ছাত্রজনতার ত্যাগের মাধ্যমে ঐক্য গড়ে উঠেছে। শহীদদের ঋণ পরিশোধ করা আমাদের দায়িত্ব। পলাতক মাফিয়াদের পুনর্বাসন ঠেকাতে জনগণের ইচ্ছা তাদের বিচার প্রয়োজন। বিএনপি মনে করে, সংস্কার কার্যক্রমের পাশাপাশি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রয়োজন। শুধু নির্বাচনের জন্যই আন্দোলন হয়নি। তবে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচন অবশ্যই দরকার।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রের রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এমন হওয়া প্রয়োজন যে ইউনিয়ন থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত ভোট ছাড়া কেউ প্রতিনিধি হতে পারবেন না। ক্ষমতাসীনকে জনগণের কাছে যতটা দায়বদ্ধ রাখা যাবে রাষ্ট্র ততই শক্তিশালী হবে। সেজন্য সংসদ প্রয়োজন। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে বৈষম্যহীন অধিকার প্রয়োগের সুযোগ থাকতে হবে। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে সরকার, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ বলে আমরা মনে করি।

‘সংস্কার কাজ নিয়ে সরকারের সঙ্গে বিএনপির বিরোধ নেই। সংস্কার আগে না, নির্বচন আগে এ কথা বলে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। একজন শুরু করবে অন্যজন চলমান রাখবে’, যোগ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, ইকবাল সেবহান চৌধুরী মনে হয় সেদিন পুলিশ ডেকে এনে মহাসচিবকে প্রেস ক্লাব থেকে গ্রেফতার করিয়েছিলেন। প্রেস ক্লাবের ভেতরে ফ্যাসিবাদের থাবা ছিল। শ্যামল দত্তরা আন্দোলনের সময় টকশোতে বলেছেন ছাত্ররা ভুল আন্দোলন করছেন।

তিনি বলেন, টেন্ডার ছাড়াই বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। কারণ সব টাকা যাবে শেখ পরিবারের কাছে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, দ্রুততম সময়ে জনগণের দাবি নিষ্পত্তি করবেন-এটা আমাদের দাবি। আরেকটি কঠিন পথ আমাদের পাড়ি দিতে হবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা আজাহার গ্রেফতার
চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ নওগাঁয়
নির্লজ্জ দলাদলির পরিণতি দেশবাসী দেখেছে: তারেক রহমান
মোল্লা কলেজের সার্টিফিকেট-ল্যাপটপ লুট, ক্ষতি ৭০ কোটি টাকা: অধ্যক্ষ
ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তার
সাত কলেজের স্নাতক পরীক্ষা স্থগিত
সংঘর্ষের ঘটনায় যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
পার্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে রেকর্ড জয় ভারতের
বদলগাছীতে বাসের ধাক্কায় ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারী নিহত, আহত ২
মামলা না নিলে ওসিকে এক মিনিটে বরখাস্ত করে দেবো: ডিএমপি কমিশনার
মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
বিগ ব্যাশ খেলার অনুমতি পেলেন রিশাদ
শাকিব খানের সঙ্গে আইটেম গানে নুসরাত
রাজধানীর মোল্লা কলেজে হামলা-ভাঙচুর, শিক্ষার্থীদের দখলে সড়ক
ওয়ানডে সিরিজেও অনিশ্চিত মুশফিক
জানুয়ারিতে আসছে ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল
বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না চিকিৎসকরা
বুবলীকে টয়লেট দিবসের শুভেচ্ছা অপুর
কেজি দরে বিক্রি হওয়া ভাস্কর্যটি মুক্তিযোদ্ধার নয়, আওয়ামী লীগের অপপ্রচার
ফলোঅন এড়িয়ে ১৮১ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ