রাশিয়ার কাছে পণ্য বিক্রি করবে না নাইকি
ইউক্রেনে হামলার জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান নাইকি রাশিয়াতে তাদের পণ্য বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে।
বুধবার (০২ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় বিবিসি।
বিবিসি জানায়, রাশিয়ায় যারা অনলাইনে শপিং করেন তারা বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড নাইকির পণ্য ক্রয় করতে পারছেন না। রাশিয়ায় বসে যারা নাইকির ওয়েবসাইটে ঢুকেন তারা একটি নোটিশ দেখতে পাচ্ছেন। সেখানে লেখা আছে—এখানে নাইকির অর্ডার নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। এর পরিবর্তে অনলাইন ক্রেতাদের নিকটস্থ নাইকির রিটেইল শপের ওয়েবসাইটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
ইউক্রেনের সংসদ সদস্য লেসিয়া ভাসিলেঙ্কো টুইটারে লিখেছেন—নাইকি, অ্যাপল এবং অ্যামাজন রাশিয়াকে বর্জন করার বিষয়টি বড় ঘটনা।
ভাসিলেঙ্কো লেখেন, প্রাইভেট কোম্পানিগুলো যে রাশিয়াকে বর্জন করতে পারে, এটি তার একটি বড় উদাহরণ।
উল্লেখ্য, প্রায় দুই মাস ধরে ইউক্রেন সীমান্তে ২ লাখ সেনা জড়ো করে রাশিয়া। রাশিয়ার সেনা মোতায়েন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো বারবার সতর্কতা দিয়েছিল; কিন্তু বরাবরই রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছে।
এরপর গত ২১ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রুশপন্থী বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইউক্রেনের দুই অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করেন। সেখানে ‘শান্তি রক্ষায়’ সেনা পাঠানোর নির্দেশ দেন তিনি। এরপর উত্তেজনা নতুন মাত্রা পায়। একই সঙ্গে ‘প্রজাতন্ত্র’ দুটিতে রুশ সেনাদের ‘শান্তিরক্ষী’ হিসেবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন তিনি। পুতিনের এই পদক্ষেপের পর পশ্চিমাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে দিয়েছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে পূর্ব ইউক্রেনের বিদ্রোহীনিয়ন্ত্রিত ডনবাস অঞ্চলে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন।
ছয় দিনের যুদ্ধে ইউক্রেনের একাংশ এখন রাশিয়ার দখলে। আজ যুদ্ধের সপ্তম দিন। রাজধানী কিয়েভ পর্যন্ত পৌঁছে গেছে রুশ সেনারা। এ হামলা শুরু পর থেকে একের পর এক আর্থিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পশ্চিমা শক্তিগুলো। তবে যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো বা অন্য কোনো পশ্চিমা শক্তিধর দেশ সামরিক হস্তক্ষেপ করতে এগিয়ে আসেনি।
আরএ/