ভারতীয়দের জরুরি ভিত্তিতে কিয়েভ ছাড়ার নির্দেশ
জরুরি ভিত্তিতে আজকের মধ্যেই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ছাড়তে ভারতীয়দের নির্দেশ দিয়েছে নয়াদিল্লী। কিয়েভে রাশিয়ার জোরালো আক্রমণের আশঙ্কার মধ্যেই আজ মঙ্গলবার (১ মার্চ) এক বিবৃতিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হলো। এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে অবস্থান করা ভারতীয়দের আজকের মধ্যে সেখান থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। যেকোনো উপায়ে তাদেরকে কিয়েভ ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয়দের জন্য জারি করা হয়েছে উচ্চ সতর্কতা।
ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাস থেকে দেওয়া সর্বশেষ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘শিক্ষার্থীসহ সকল ভারতীয় নাগরিককে আজকের মধ্যেই জরুরিভাবে কিয়েভ ত্যাগ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ট্রেনে করে বা সম্ভব অন্য যেকোনো উপায়ে শহরটি ছাড়তে হবে।’
এর আগে ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাস থেকে দেওয়া সোমবারের নির্দেশনায় ভারতীয় শিক্ষার্থীদের কিয়েভের রেলস্টেশনে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। মূলত সাধারণ মানুষকে দেশের পশ্চিমাঞ্চলে সরিয়ে নিতে ইউক্রেন সরকার সেখানে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে।
তবে ফেরার পথে অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে দেওয়া নির্দেশনায়। আর তাই নিরাপদ স্থানে যাওয়ার সময় নিজের কাছে পাসপোর্ট, পর্যাপ্ত অর্থ এবং প্রয়োজনীয় পোশাকও রাখার আহ্বান জানিয়েছে তারা।
এছাড়া আটকে পড়া ভারতীয়দের ফেরাতে ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশগুলোরও সহায়তা নিচ্ছে নয়াদিল্লী। ট্রেন দেরিতে চলতে পারে বা বাতিল হতে পারে, এমন সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়েছে দূতাবাসের পক্ষ থেকে। দীর্ঘক্ষণ লাইনেও দাঁড়িয়ে থাকতে হতে পারে। নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ‘প্রত্যেক ভারতীয়কে আতঙ্কিত না হয়ে শান্ত ও ঐকবদ্ধ থাকতে অনুরোধ করছি। স্টেশনে যে পরিস্থিতিই তৈরি হোক না কেন, তাতে অযথা উদ্বিগ্ন না হয়ে শান্ত হয়ে কিয়েভ ছাড়তে হবে।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ইউক্রেনের বিদ্যমান এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের প্রাথমিকভাবে প্রতিবেশী দেশ হাঙ্গেরি, রোমানিয়া, পোল্যান্ডে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেখান থেকে তাদেরকে প্লেনে করে দিল্লীতে আনার পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের।
সংবাদমাধ্যম বলছে, ইউক্রেনে এখনও ১৬ হাজার ভারতীয় শিক্ষার্থী আটকে রয়েছেন। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও বার্তার মাধ্যমে সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছেন।
কেএফ/