২৮০০ রুশ সেনা নিহত, দাবি ইউক্রেনের
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক হামলার দুই দিনে প্রায় ২ হাজার ৮০০ রুশ সেনা নিহত হয়েছেন বলে দাবি ইউক্রেনের। ইউক্রেনের ডেপুটি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হান্না মালিয়া শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এক ফেসবুক পোস্টে এই দাবি করেন।
হান্না মালিয়ার দাবি, শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকাল ৩টা পর্যন্ত ইউক্রেনের সেনাবাহিনী রাশিয়ার ৮০টি ট্যাংক, ৫১৬টি সাঁজোয়া যান, ১০টি বিমান ও সাতটি হেলিকপ্টার ধ্বংস করেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে। তবে কোনো নির্ভরযোগ্য মাধ্যমে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি।
এদিকে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে দেশটি ক্ষমতা দখলের আহ্বান জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দেশটির নিরাপত্তা পরিষদে দেওয়া ভাষণে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।
এ সময়ে বেসামরিক নাগরিকদের ‘মানবঢাল’ হিসেবে ব্যবহারের জন্য নব্যনাৎসি কিয়েভ সরকারকে দায়ী করেন তিনি।
পুতিন তার ভাষণে ইউক্রেন সরকার এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে ব্যঙ্গবিদ্রূপ করে তাদের ‘নব্যনাৎসি’ এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে রুশবিরোধী বাহিনী ‘ব্যান্ডেরাইট’ বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, ‘তারা সন্ত্রাসীদের মতো আচরণ করছে। রাশিয়া শান্তিকামী জনগণকে হত্যা করছে এমন অভিযোগ করে তারা এই সাধারণ মানুষকে ঢাল হিসেবে তুলে ধরে নিজেদের আচরণ ঢেকে রাখছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা সুনিশ্চিত যে বিদেশি পরামর্শদাতাদের সুপারিশে তারা এসব কিছু করছে। সবার উপরে তাদের পরামর্শ দিচ্ছে আমেরিকা।’
ইউক্রেন সেনাবাহিনীর উদ্দেশ্যে পুতিন বলেন, ‘ইউক্রেনের সশস্ত্র সেনাদের উদ্দেশ্যে আমি আবারও বলতে চাই–এই নব্য নাৎসীদের আপনাদের শিশু, আপনাদের স্ত্রী, আপনাদের বৃদ্ধ মানুষদের মানব-ঢাল হিসাবে ব্যবহার করতে দেবেন না। নিজেদের হাতে ক্ষমতা তুলে নিন। কিয়েভের ওই মাসকাসক্ত এবং নব্যনাৎসি দলের সঙ্গে কথা বলার চেয়ে আমরা এবং আপনারা কথা বললে একটা চুক্তিতে পৌঁছানো অনেক সহজ হবে।’
এদিকে কিয়েভের স্বেচ্ছাসেবীদের হাতে ১৮ হাজার মেশিন গান তুলে দেওয়ার কথা জানিয়েছে ইউক্রেন। রাশিয়ার সেনারা কিয়েভে প্রবেশ করছে, এমন খবরের পর তাদের প্রতিহত করতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ভিদিম দেনেচিঙ্কো বলেছেন, ‘স্বেচ্ছাসেবীদের হাতে ১৮ হাজার মেশিন গান তুলে দেওয়া হয়েছে। যারা শত্রুর হাত থেকে রাজধানী কিয়েভকে রক্ষা করতে চায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইউক্রেনীয় সামরিক সরঞ্জাম কিয়েভকে রক্ষা করার জন্য প্রবেশ করছে। আমি কিয়েভের বাসিন্দাদের বলছি–দয়া করে এগুলোর ছবি ধারণ করবেন না। আমাদের শহরকে রক্ষা করার জন্য এটা প্রয়োজন।’
এদিকে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেছেন, ‘ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী যদি আত্মসমর্পণ করে, তবে মস্কো আলোচনার জন্য প্রস্তুত।’ নিপীড়ন থেকে দেশটিকে মুক্তি দিতেই অভিযান চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
এসএ/