গবেষণাগারে প্রাণী হত্যা নিষিদ্ধ করতে সুইজারল্যান্ডে ভোট
গবেষণাগারে প্রাণীর উপর চিকিৎসা সংক্রান্ত পরীক্ষা চালানো এবং তামাকজাত দ্রব্যের প্রায় সব ধরনের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করার বিষয়ে ভোট দিয়েছে সুইজারল্যান্ডের নাগরিকরা।
গতকাল রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এই ভোট অনুষ্ঠিত হয়। সুইজারল্যান্ডের প্রত্যক্ষ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ব্যক্তিগতভাবে ভোট নেওয়া হয়। বেশিরভাগ লোক ডাকযোগে অগ্রিম ভোট দেওয়ায় দ্রুত ফলাফল আশা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রাণী হত্যার বিরোধীরা যদি ভোটে জিতে যান, সে ক্ষেত্রে সুইজারল্যান্ডই প্রথম দেশ হবে, যেখানে ল্যাবে প্রাণীর ব্যবহার নিষিদ্ধ হবে।
বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক ও বিক্ষোভ চলছে এ দেশে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ইঁদুর, গিনিপিগ বা অন্য প্রাণীদের উপর ল্যাবে পরীক্ষা করা বন্ধ হোক। এই দাবির সমর্থনে সই সংগ্রহ শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা এবং ভোট করার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে সরকার।
তবে ভোটে বিক্ষোভকারীদের বিপক্ষে রয়েছে দেশটির নামকরা ওষুধপ্রস্তুতকারী সংস্থাগুলো। রোশে, নোভারটিসের মতো আন্তর্জাতিক ওষুধপ্রস্তুতকারী সংস্থাগুলোর বক্তব্য, নতুন ওষুধ তৈরিতে এই গবেষণা আবশ্যিক। যে কোনো ওষুধ, ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে মানুষের দেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের আগে প্রাণীদের শরীরে পরীক্ষা হয়।
এদিকে সাম্প্রতিক কয়েকটি জরিপের ভিত্তিতে ধারণা করা হচ্ছে, সুইজারল্যান্ডের শিথিল তামাক আইন কঠোর করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পণ্যের সব ধরনের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করার এই উদ্যোগ পাস হবে।
বিশ্বের বৃহত্তম কয়েকটি তামাক কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ের উপস্থিতি ও প্রবল তদবিরের কারণে সুইজারল্যান্ড তামাক পণ্যের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে দেশটি অন্যান্য ধনী দেশগুলোর তুলানায় পিছিয়ে রয়েছে।
বর্তমানে টেলিভিশন ও রেডিও বাদে অন্যান্য মাধ্যমে বিশেষ করে অপ্রাপ্তবয়স্কদের টার্গেট করে এ ধরনের বেশিরভাগ তামাক বিজ্ঞাপন জাতীয় পর্যায়ে বৈধ।
কিছু কিছু এলাকা কঠোর আঞ্চলিক আইন প্রবর্তন করেছে এবং অন্যদিকে একটি নতুন জাতীয় আইন প্রণয়ন চূড়ান্ত করার অপেক্ষায় রয়েছে। তবে প্রচারকারীরা দেশব্যাপী একটি উল্লেখযোগ্য কঠোর আইনের দিকে ভোট দেওয়ার জন্য যথেষ্ট স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছে।
এসএ/