তৃতীয় সন্তান নিলে তুর্কি নাগরিকদের মাসে ১৬ হাজার টাকা ভাতা দেবে সরকার

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। ছবি: সংগৃহীত
তুরস্কে জন্মহার হ্রাস, বিবাহের হার কমে যাওয়া এবং বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বাড়ার প্রেক্ষাপটে দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে বড় ধরনের নীতি গ্রহণ করেছে সরকার। এসব সমস্যা মোকাবেলায় নাগরিকদের সন্তান নেওয়ায় উদ্বুদ্ধ করতে বিশেষ ভাতার ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।
নতুন বছর শুরুতে কার্যকর হওয়া একটি সামাজিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায়, সন্তানের জন্ম নেওয়ার পর দম্পতিদের জন্য নির্ধারিত আর্থিক প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায়:
- প্রথম সন্তান নেওয়ায় এককালীন ৫ হাজার লিরা প্রদান করা হবে।
- দ্বিতীয় সন্তান জন্মের পর প্রতি মাসে ১ হাজার ৫০০ লিরা ভাতা দেওয়া হবে।
- তৃতীয় সন্তান নেওয়ার পর প্রতি মাসে ৫ হাজার লিরা বা প্রায় ১৩২ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৬ হাজার টাকা দেওয়া হবে।
এই উদ্যোগ শুধুমাত্র তুরস্কে বসবাসকারীদের জন্যই নয়, বিদেশে অবস্থানরত তুর্কি নাগরিকরাও নিজ নিজ দেশের তুর্কি দূতাবাস বা কনস্যুলেটের মাধ্যমে আবেদন করে এই ভাতা গ্রহণ করতে পারবেন।
সরকারি হিসাবে, তুরস্কে এখন অনেকে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় বিয়ে করতে চান না। আবার অনেক দম্পতি সন্তান নেওয়া থেকেও বিরত থাকেন। এই পরিস্থিতি ভবিষ্যতে জনসংখ্যার ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন, এই কর্মসূচি তুরস্কের ভবিষ্যৎ ঝুঁকি মোকাবেলায় একটি কার্যকর পদক্ষেপ হবে। এটি শুধু জন্মহার বাড়ানো নয়, বরং একটি সুস্থ ও টেকসই জনসংখ্যা কাঠামো গঠনে সহায়ক হবে বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি।
সূত্র: দ্য নিউ আরব
