চতুর্থ মাসেই কমে ফাইজার ও মডার্নার বুস্টার ডোজের কার্যকারিতা
টিকা নেওয়ার চতুর্থ মাসের মধ্যেই উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায় ফাইজার ও মডার্নার করোনা টিকার তৃতীয় ডোজের (বুস্টার) কার্যকারিতা। শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) নতুন একটি গবেষণা এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। খবর এএফপির।
দ্বিতীয় ডোজের পর টিকার কার্যকারিতা কমার প্রমাণিত তথ্য-উপাত্ত থাকলেও বুস্টারের পর সুরক্ষার সময়কাল সম্পর্কে এত দিন তুলনামূলক খুব কম তথ্য ছিল।
২০২১ সালের ২৬ আগস্ট থেকে ২০২২ সালের ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত গবেষণাটি করে সিডিসি। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে অথবা জরুরি সেবাদানকারী ক্লিনিকে সেবা নিতে এসেছেন এমন ২ লাখ ৪১ হাজার ২০৪ জন রোগীর ওপর গবেষণা চালানো হয়। এ ছাড়া কোভিডের মতো গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি প্রাপ্তবয়স্ক ৯৩ হাজার ৪০৮ রোগী এ গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
টিকার কার্যকারিতা অনুমান করা হয়েছে টিকা নেওয়া এবং না নেওয়া রোগীদের করোনায় আক্রান্তের হারের তুলনা করে। এছাড়া পরিসংখ্যানগত পদ্ধতি ব্যবহার করে সাপ্তাহিক সংক্রমণ, ভৌগোলিক এলাকা, বয়সের সঙ্গে সামঞ্জস্য, স্থানীয় সংক্রমণের মাত্রা ও রোগীর বৈশিষ্ট্য যেমন আগে থেকে অসুস্থতার বিষয়টি দেখা হয়।
সিডিসি যে সময়কালে গবেষণাটি করেছে তখন বিশ্বজুড়ে করোনার অমিক্রন ধরনের আধিপত্য চলেছে। গবেষণার সময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগ বা ক্লিনিকে জরুরি সেবাদানকেন্দ্র পরিদর্শনে দেখা যায়, বুস্টার ডোজ নেওয়ার দুই মাস পর টিকার কার্যকারিতা ছিল ৮৭ শতাংশ, কিন্তু চতুর্থ মাসে গিয়ে সেটা দাঁড়ায় ৬৬ শতাংশে।
বুস্টার ডোজ নেওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের ক্ষেত্রে প্রথম দুই মাসে টিকার কার্যকারিতা ছিল ৯১ শতাংশ, কিন্তু চতুর্থ মাসে গিয়ে তা কমে দাঁড়ায় ৭৮ শতাংশে।
কেএফ/