ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকলে ইউক্রেন যুদ্ধ হতো না : পুতিন
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিন। ছবিঃ সংগৃহীত
ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় থাকলে ইউক্রেনে সংকট এড়ানো যেত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবির প্রতিধ্বনি করেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এমন মন্তব্য করেছেন। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার তিনি এ কথা বলেন।
পুতিন বলেন, ‘২০২২ সালে পুতিন হোয়াইট হাউসে থাকলে ইউক্রেনের সংঘাত রোধ করা যেত।
তিনি আরো বলেন, মস্কো বিভিন্ন বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত।’ রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে পুতিন ট্রাম্পকে একজন ‘বিচক্ষণ এবং বাস্তববাদী ব্যক্তি’ হিসেবে প্রশংসা করেছেন, যিনি মার্কিন স্বার্থের প্রতি মনোযোগী।
পুতিন বলেন, ‘বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমাদের সর্বদা ব্যবসায়িক ও বাস্তববাদী কিন্তু বিশ্বাসযোগ্য সম্পর্ক ছিল। আমি ট্রাম্পের সঙ্গে এই বিষয়ে একমত যে, যদি ২০২০ সালের নির্বাচন চুরি না হতো, তবে ২০২২ সালে যে ইউক্রেনের সংকট সৃষ্টি হয়েছে তা হয়তো ঘটত না।
এর আগে ট্রাম্প বারবার বলেছেন, তিনি যদি তখন প্রেসিডেন্ট থাকতেন তাহলে ইউক্রেন সংঘাত শুরু হতে দিতেন না। প্রায় তিন বছর ধরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। ২০২২ সালে শুরু হওয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ১৯৬২ সালের কিউবান ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর দুই পরাশক্তিধর দেশের সম্পর্ক সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে।
তবে ক্ষমতায় বসার পর এই যুদ্ধ মাত্র ২৪ ঘণ্টায় থামিয়ে দেয়ার কথা বলেছিলেন ট্রাম্প।
নির্বাচনে জয়ের পর এই যুদ্ধ বন্ধে একজন প্রতিনিধিকেও নিয়োগ দিয়েছেন। ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে ট্রাম্পের তৎপরতায় একটি শান্তি চুক্তির চেষ্টাও চলছে। তবে যুদ্ধ বন্ধে মস্কো-কিয়েভের ঐকমত্যে সময় লাগবে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকেরা।
এদিকে, সুইজারল্যান্ডের দাভোসে চলমান ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের একটি সেশনে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প হুমকি দেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাজি না হলে যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর ওপর কড়া অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। তবে গতকাল শুক্রবার পুতিন সেই হুমকি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলছেন, এমন পদক্ষেপ আমেরিকার অর্থনীতিরও ক্ষতি করবে।
রুশ প্রেসিডেন্ট সাক্ষাৎকারে আরো বলেন, ‘সম্ভবত আজকের বাস্তবতার ওপর ভিত্তি করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া উভয়ের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে শান্তভাবে আলোচনা করার জন্য আমাদের সাক্ষাৎ করাটা ভাল হবে। আমরা প্রস্তুত। কিন্তু, আমি আবারও বলছি, এটি মূলত, বর্তমান আমেরিকান প্রশাসনের সিদ্ধান্ত এবং পছন্দের ওপর নির্ভর করছে।’