শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ | ৪ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আমি পালিয়ে যেতে চাইনি: প্রথম বিবৃতিতে আসাদ

সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। ছবি: সংগৃহীত

দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি পরিকল্পিত ছিল না বলে দাবি করেছেন বিদ্রোহীদের আন্দোলনের মুখে সিরিয়া ছেড়ে রাশিয়ায় পাড়ি জমানো সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। গত ৮ ডিসেম্বর আসাদ নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) মস্কো থেকে দেওয়া প্রথম বিবৃতিতে এই দাবি করেছেন তিনি।

যদিও এটি পরিষ্কার নয় যে, বর্তমানে চ্যানেলটি কে নিয়ন্ত্রণ করছে বা বাশার নিজে এটি লিখেছেন কি না। বিবৃতিতে বাশার আল-আসাদ বলেন, ‘‘সিরিয়া থেকে তার চলে যাওয়াটা পরিকল্পিত ছিল না এবং হামলার শিকার একটি সামরিক ঘাঁটি থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য মস্কো তাকে অনুরোধ করেছিল।’’

সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘‘সিরিয়া থেকে আমার প্রস্থান পরিকল্পিত ছিল না অথবা লড়াইয়ের শেষ সময়েও এটি ঘটেনি।’’

সিরিয়ার সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘৮ ডিসেম্বর (রোববার) সকালের দিকেই তিনি লাতাকিয়ায় চলে যান। এরপর সেদিন সন্ধ্যায় মস্কো তাকে তাৎক্ষণিকভাবে রাশিয়ায় সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করে।’’ সিরিয়া বর্তমানে সন্ত্রাসীদের হাতে রয়েছে বলে বিবৃতিতে দাবি করেছেন বাশার আল-আসাদ।

বাবা হাফেজ আল-আসাদের মৃত্যুর পর ২০০০ সালে সিরিয়ার ক্ষমতায় আসেন বাশার আল-আসাদ। এরপর প্রায় তিন দশক ধরে শক্ত হাতে শাসন করেন সিরিয়া। দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহীগোষ্ঠীগুলোর দুই সপ্তাহের কম সময়ের সরকারবিরোধী আন্দোলনে গত ৮ ডিসেম্বের বাশারের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটে।

বিবৃতিতে আসাদ বলেন, সিরিয়াজুড়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে পড়ায় এবং ৭ ডিসেম্বর (শনিবার) সন্ধ্যার দিকে সন্ত্রাসীরা দামেস্কে পৌঁছানোর ফলে প্রেসিডেন্টের ভাগ্য এবং তার দেশে অবস্থান ঘিরে সংকট তৈরি হয়। ভুল তথ্যের ছড়াছড়ি ও আখ্যানের মাঝে এসব ঘটেছে। যার লক্ষ্য ছিল সিরিয়ার মুক্তি আন্দোলনের নামে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদকে আবারও পুনরুজ্জীবিত করা।

রাশিয়া-ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনকে অসম্ভব বলে মনে করা হলেও ওইদিন সিরিয়ার ইসলামপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতৃত্বে বিদ্যুৎগতির অভিযানে দেশটিতে সরকারের পতন ঘটে। অতীতে জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পৃক্ত আল-নুসরা ফ্রন্ট নামে পরিচিত ছিল হায়াত তাহরির আল-শাম।

বিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সশস্ত্র সদস্যরা রাজধানীতে ঢুকে পড়ায় তিনি সেদিনই দামেস্ক ত্যাগ করেন বলে জানিয়েছেন। দেশটির লাতাকিয়া প্রদেশে অবস্থিত রাশিয়ার সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত হামিমিম বিমানঘাঁটিতে ড্রোন হামলার পরপরই তাকে মস্কোতে সরিয়ে নেওয়া হয়। আসাদ বলেন, তিনি দামেস্ক থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর লাতাকিয়া থেকে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর অভিযানের তদারকি করছিলেন। সেসময় দেশের সব সামরিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছিল বলে স্বীকার করেছেন তিনি।

‘‘আমি রোববার (৮ ডিসেম্বর) ভোর বেলা পর্যন্ত দামেস্কে ছিলাম। সেখান থেকে আমার দায়িত্ব পালন করেছিলাম। সন্ত্রাসী বাহিনী যখন দামেস্কে অনুপ্রবেশ করে, তখন লড়াই অভিযানের তদারকি করার জন্য আমাদের রুশ মিত্রদের সঙ্গে সমন্বয় করে লাতাকিয়ায় চলে আসি। আমি সেদিন সকালেই হামিমিম ঘাঁটিতে পৌঁছাই।’’

বিবৃতিতে বলা হয়, মাঠ পর্যায়ের পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে। এর এক পর্যায়ে রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটি তীব্র ড্রোন হামলার মুখে পড়ে। সামরিক ঘাঁটির কমান্ড ৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তাকে তাৎক্ষণিকভাবে রাশিয়ায় সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করে।

Header Ad
Header Ad

হাসপাতালের গেটে চিকিৎসা না পেয়ে রিকশাচালকের মৃত্যু, গ্রেফতার ৫

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর রামপুরায় চিকিৎসা না পেয়ে এক রিকশাচালকের মৃত্যুর ঘটনায় ডেল্টা হেলথ কেয়ার হাসপাতালের এক চিকিৎসকসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাজু এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে আহত হন রিকশাচালক ইসমাইল। রক্তাক্ত অবস্থায় হামাগুড়ি দিয়ে হাসপাতালের গেটে পৌঁছান তিনি এবং নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে সহায়তা চান। কিন্তু কেউ দরজা খোলেনি। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে হাসপাতালের সিঁড়িতেই মারা যান ইসমাইল।

ছয় মাস পর ইসমাইলের সাহায্য প্রার্থনার ছবি একজন ফটোসাংবাদিকের ক্যামেরায় বন্দি হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এই হৃদয়বিদারক ছবি ব্যাপক শেয়ার হলে বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরে আসে।

এরপর তদন্তে নেমে হাতিরঝিল থানা পুলিশ শুক্রবার বিকেলে ডেল্টা হেলথ কেয়ার হাসপাতালের ওই সময়ে দায়িত্বপালন করা এক চিকিৎসকসহ পাঁচজনকে আটক করে।

ওসি মোহাম্মদ রাজু জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি নতুন কোনো মামলা হবে, নাকি পুরনো কোনো মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হবে।

Header Ad
Header Ad

রাজধানীতে ইডেন কলেজ ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর হাজারীবাগের একটি বাসা থেকে পুষ্পিতা (২১) নামে ইডেন মহিলা কলেজের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

প্রতিবেশী জগদীশ জানান, পুষ্পিতা ইডেন কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি জামালপুর সদরের বসাকপাড়া গ্রামে এবং পিতার নাম রঞ্জিত বিশ্বাস। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পুষ্পিতা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে এবং বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।

ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘিরে তদন্ত চলছে।

Header Ad
Header Ad

প্রথম ধাপে ৭৩৫ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল

এই ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মির পরিবর্তে ৭৩৫ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। ছবি: সংগৃহীত

গাজায় চলমান সংঘাতের অবসান ঘটাতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুমোদন করেছে। শনিবার ভোরে ছয় ঘণ্টার দীর্ঘ আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি ৭৩৫ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হবে। এর মধ্যে রোববার (১৯ জানুয়ারি) প্রথম দফায় মুক্তি পাবে ৯৫ জন। ইসরায়েলের বিচার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের মধ্যে ৬৯ জন নারী, ১৬ জন পুরুষ এবং ১০ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক রয়েছে।

অন্যদিকে, ইসরায়েলের বন্দিদশা থেকে মুক্তির বিনিময়ে গাজা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস তাদের কব্জায় থাকা ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এসব জিম্মির মধ্যে নারী, শিশু ও ৫০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষ রয়েছেন।

চুক্তির প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহের একটি প্রাথমিক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরু হবে প্রথম ধাপের ১৬তম দিনের মধ্যে। সেখানে অবশিষ্ট ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

তৃতীয় ধাপে মৃতদেহ ফেরত দেওয়া এবং গাজার পুনর্গঠনের কাজ শুরু হবে। এই পুনর্গঠন প্রক্রিয়া পরিচালিত হবে মিশর, কাতার ও জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মিশর এবং কাতারের মধ্যস্থতায় ১৫ মাসের সংঘাতের পর এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। শনিবার ভোরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই চুক্তি রোববার থেকে কার্যকর হওয়ার পথ প্রশস্ত করবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

হাসপাতালের গেটে চিকিৎসা না পেয়ে রিকশাচালকের মৃত্যু, গ্রেফতার ৫
রাজধানীতে ইডেন কলেজ ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
প্রথম ধাপে ৭৩৫ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল
কুষ্টিয়ায় পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই: বিদেশি অস্ত্রসহ ছাত্রলীগ নেতা আটক
দুপুরে ছাত্রদলের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি
সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপনের কারণ জানালো ভারত
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে অনুমোদন দিল ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা
বৈষম্যহীন দু:শাসনমুক্ত বাংলাদেশ কায়েম না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামবো না: জামায়াত আমির
দুই পাকিস্তানির দাপটে টানা ৮ জয়ে শীর্ষস্থান মজবুত রংপুর রাইডার্সের
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশংসায় হিউম্যান রাইটস ওয়াচ
ট্রাম্পের শপথে শি জিনপিং আমন্ত্রিত, বাদ পড়লেন মোদি!
টাঙ্গাইলের মধুপুর-ঢাকা রুটে চালু হলো বিআরটিসির বাস, খুশি যাত্রীরা
সংবাদমাধ্যমে কপিরাইট ইনফোর্সমেন্ট খুবই জরুরি: প্রেস সচিব
‘পারিবারিক জিনের’ কারণে যুক্তরাজ্যেও দুর্নীতিতে জড়িয়েছে টিউলিপ: রিজভী
সুদানের সেনাপ্রধানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
রাজধানীর হাজারীবাগ বাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে
ছাত্রদলের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪.১ শতাংশে নামবে: বিশ্বব্যাংক
জনগণ চাইলে নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী সারজিস আলম
লিটনের পরিত্যক্ত বাসায় কলেজছাত্রকে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি, গ্রেপ্তার ৩