রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

আন্দোলনে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘ

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিবিড় নজর রাখছে জাতিসংঘ। মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরাঁ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য তথপ্রমাণ পেয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া যেকোনো পরিস্থিতিতে পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত জাতিসংঘ।

সোমবার (২৯ জুলাই) জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেছেন।

ব্রিফিংয়ে প্রথমে তিনি বাংলাদেশ ইস্যুতে একটি বিবৃতি পাঠ করেন। এরপর প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু করেন। শুরুতেই বিবৃতিতে তিনি সব রকম সহিংসতার দ্রুত, স্বচ্ছ এবং পক্ষপাতিত্বহীন তদন্তের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং এর জন্য যারা দায়ী তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

ডুজাররিক বলেন, বাংলাদেশ ইস্যুতে আমার কাছে আপডেট আছে। আমি আপনাদের বলতে পারি যে, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তিনি নতুন করে ছাত্র আন্দোলন শুরু হওয়ার বিষয়ে অবহিত এবং তিনি শান্ত ও সহিংসতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

বর্তমান ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে হাজারো তরুণ এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের গণগ্রেপ্তারের বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার চর্চার ক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়ার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।

এ সময় ডুজাররিক বলেন, নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য তথ্যপ্রমাণ পাওয়ার পর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরাঁ। এ বিষয়ে রাজধানী ঢাকায় এবং নিউ ইয়র্কে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জাতিসংঘের উদ্বেগের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে সেনা পাঠানো শীর্ষস্থানীয় একটি দেশ হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আমরা মানবাধিকারের প্রতি সম্মান ও সমুন্নত রাখার আহ্বান জানাই। বাংলাদেশের ভেতরে জাতিসংঘের চিহ্ন সম্বলিত কোনো যানবাহন আর ব্যবহার করা হচ্ছে না বলে বাংলাদেশ সরকারের বিবৃতি আমরা পেয়েছি। আমরা এটা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই এবং আবারও বলতে চাই যে, জাতিসংঘে সেনা ও পুলিশ দিয়ে অবদান রাখা দেশগুলো শুধু তখনই জাতিসংঘ চিহ্নিত এবং জাতিসংঘের চিহ্ন সম্বলিত সরঞ্জাম ব্যবহার করতে পারে, যখন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনের অধীনে তাদেরকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী হিসেবে কোনো ম্যান্ডেটেড কাজ দেওয়া হয় তখন।

ডুজাররিকের বিবৃতির পর শুরু হয় প্রশ্নোত্তর। এ সময় একজন সাংবাদিক তাকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বর্ণনা দিতে থাকেন। তাতে বিরক্তি প্রকাশ করেন স্টিফেন ডুজাররিক। এর আগের দিন এক ব্রিফিংয়েও ওই সাংবাদিককে ডুজাররিক তার প্রশ্নের মাঝপথে থামিয়ে দিয়েছিলেন। ডুজাররিক তাকে বলেছিন, আমি বক্তব্য শুনতে চাই না। আপনার প্রশ্ন করুন। সোমবারও একই রকম অবস্থার অবতারণা হয়। ওই সাংবাদিককে থামিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, আমি পরিস্থিতি সম্পর্কে জানি। আমি আপনাকে ১০ সেকেন্ডও বক্তব্য দেওয়ার জন্য দেব না। আমি প্রশ্ন শুনতে চাই। ওই সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল- বাংলাদেশ সরকার পুনর্ব্যক্ত করেছে যেসব হত্যাকাণ্ড এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ন্যায়বিচার করা হবে পক্ষপাতিত্বহীন এবং বস্তুনিষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের শনাক্ত করে। বাংলাদেশ আহ্বান...

ওই সাংবাদিকের প্রশ্ন শেষ না হতেই তাকে থামিয়ে দেন ডুজাররিক। তিনি বলেন, নো, স্যার। আমি পরিস্থিতি সম্পর্কে জানি। আমি আপনাকে বক্তব্য দেওয়ার জন্য ১০ সেকেন্ডও সময় দেব না। প্রশ্ন চাই। এ সময় ওই সাংবাদিক বলেন, এসব পদক্ষেপের প্রেক্ষিতে আপনার পর্যবেক্ষণ কি?

জবাবে স্টিফেন ডুজাররিক বলেন, আমাদের পর্যবেক্ষণ হলো ঠিক দুই মিনিট আগে যেটা বলেছি সেটা। তাতে সব রকম সহিংস ঘটনার যথাযথ তদন্ত হতে হবে স্বচ্ছতার সঙ্গে এবং পক্ষপাতিত্বহীনভাবে। এসব সহিংসতায় জড়িতদের সবাইকে জবাবদিহিতায় আনতে হবে। এ পর্যায়ে ওই সাংবাদিক আবার জানতে চান, আমার আরও জানার আছে। সেনাবাহিনী মোতায়েনের পর ঢাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেছে। সরকারি ও বেসরকারি সম্পদের ভয়াবহ ধ্বংসলীলার বিষয় প্রকাশিত হয়েছে। এ রকম একটি ভয়াবহ ক্ষতির বিষয়ে বাংলাদেশকে কি কোনো সহায়তা দেবে জাতিসংঘ? জবাবে ডুজাররিক বলেন, সংকটের সময় যেকোনো দেশকে আমরা সবসময় সংলাপে সহায়তা করতে প্রস্তুত। বিশ্বের কোথাও প্রতিবাদ বিক্ষোভের সময় যেসব মানুষ দুঃখজনকভাবে তাদের সম্পদ হারান অথবা পরিবারের সদস্যদের হারান- তাদেরকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার কোনো স্কিমের সঙ্গে জাতিসংঘ জড়িত নয়। আপনাকে ধন্যবাদ।

এ পর্যায়ে অন্য একজন সাংবাদিক জানতে চান, আপনি একটু আগে যে বিবৃতি দিয়েছেন তার জন্য ধন্যবাদ। বাংলাদেশ ইস্যুতে আমার তিনটি প্রশ্ন আছে। তা খুব দ্রুত হবে। বাংলাদেশে তরুণ নিরপরাধ জনগণের বিরুদ্ধে গুলি করে এবং তাদেরকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জোরপূর্বক বিবৃতি দেওয়ানোর কূটকৌশল (উইচ হান্ট) চালাচ্ছে আইন প্রয়োগকারী এজেন্সি। এতে তাদের ভূমিকার বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের পর্যবেক্ষণ কি? জবাবে স্টিফেন ডুজাররিক বলেন- মুশফিক (মুশফিকুল ফজল আনসারি) আমি পুনরাবৃত্তি করছি। জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন, বাংলাদেশে নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করেছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য রিপোর্ট আছে। এসব রিপোর্টে উদ্বেগ জানিয়েছেন মহাসচিব। এসব নিয়ম লঙ্ঘনের সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে জবাবদিহিতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আপনার দ্বিতীয় প্রশ্ন কি? মুশফিক বলেন, এই একই বাহিনী অন্য দেশগুলোতে থাকা জাতিসংঘের পতাকাতলে এসব লোকদের নিয়ে তিনি (জাতিসংঘ মহাসচিব) স্বস্তি প্রকাশ করেন? এ প্রশ্নের জবাবে স্টিফেন ডুজাররিক বলেন, এটা পরিষ্কার যে আমরা বাংলাদেশের ওপর এবং বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের ওপর নির্ভর করি। তারা মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে এবং এর সম্মানার্থে শান্তিরক্ষী মিশনগুলোতে কাজ করে চলেছেন। আপনার শেষ প্রশ্ন কি?

মুশফিক বলেন, জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান বলেছেন, তার অফিস তাদের (বাংলাদেশের) তদন্তে সহায়তা করতে প্রস্তুত। মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো, আন্তর্জাতিক বিজ্ঞজন এবং নোবেলবিজয়ীরা পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ দাবি জানিয়ে আসছেন। এর প্রেক্ষিতে মহাসচিবকে ব্যবস্থা নিতে কতটা তথ্যপ্রমাণ প্রয়োজন হবে? এ প্রশ্নের জবাবে ডুজাররিক বলেন, ম্যান্ডেন্টের অধীনে সবসময় ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত জাতিসংঘ মহাসচিব।

Header Ad
Header Ad

ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ

রাজধানীর আসাদ গেটে সড়ক অবরোধ করেছে একদল ছাত্র-জনতা। ছবি: সংগৃহীত

দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে এবং সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে রাজধানীর আসাদ গেটে সড়ক অবরোধ করেছে একদল ছাত্র-জনতা। ফলে সড়কের এক পাশ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে, চলছে আরেক পাশ দিয়ে।

এতে ওই এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় সড়ক অবরোধ করেন কিছু শিক্ষার্থী ও জনতা।

শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক আরিফুর রহমান বলেন, দুপুরের দিকে ছাত্র-জনতা আসাদ গেট এলাকার সড়ক অবরোধ করেছে। এখানকার সড়কের এক পাশ দিয়ে যান চলাচল করছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছেন।

এর আগে রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় ইডেন কলেজের বকুলতলায় সারাদেশে অব্যাহত ধর্ষণ, নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং নারী-শিশু সহ সকল মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ইডেন কলেজে শিক্ষার্থীরা।

এদিকে, তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীও সারাদেশে অব্যাহত ধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। এছাড়া, দেশের আরও নানা জায়গায় এ ধরনের প্রতিবাদ কর্মসূচির খবর মিলেছে।

Header Ad
Header Ad

স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২

ধামরাইয়ে স্ত্রীর সামনে এক বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার ধামরাইয়ে স্ত্রীর সামনে এক বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার বড় কুশিয়াড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোহাম্মদ বাবুল মিয়া কুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ- সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য।

হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ধামরাই থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম।

গত শুক্রবার রাতে নিহতের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার বাদী হয়ে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ ১০ থেকে ১২ জন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় মামলা করেন।

নিহত বাবুল মিয়ার স্ত্রী ইয়াসমিন বেগম বলেন, ‘শুক্রবার দুপুরে আমি ও আমার স্বামী আকশীরনগর হাউজিংয়ের ভেতর সরিষা মাড়াই করছিলাম। এ সময় স্থানীয় সন্ত্রাসী আফসার, আরশাদ, মনিরসহ আরও ৪-৫ জন লাঠি ও পাইপ দিয়ে আমার সামনে আমার স্বামীকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে ও চোখ উপড়ে দেয়। আমি ও এলাকার লোকজন আমার স্বামীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিতে চাইলে তারা বাধা দেয়। একসময় আমার স্বামী নিস্তেজ হয়ে পড়লে তারা চলে যায়। পরে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা আমার স্বামীকে মৃত ঘোষণা করেন।’

তিনি জানান, বাবুল মিয়া তিন বারের ইউপি সদস্য ছিলেন ও বিএনপির রাজনীতি করতেন, রাজনৈতিক মামলায় তিনি জেলও খেটেছেন।

ইয়াসমিন বলেন, ‘এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে আকশীরনগর হাউজিং নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে বিরোধ চলছিল। আমার স্বামী কোনো পক্ষেই ছিলেন না। এরপরও স্থানীয় সন্ত্রাসী আফসার, আরশাদ, মনির আমাকে ও আমার স্বামীকে হত্যার পায়তারা করছিল।'

এনাম মেডিকেলের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. এজাজ বলেন, ‘শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মাথায়, চোখে, মুখে ও পায়ে গুরুতর আঘাত নিয়ে বাবুলকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। পরীক্ষা করে দেখা যায় তিনি মারা গেছেন।’

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একটি পুকুর নিয়ে বাবুলের সঙ্গে আফসার, আরশাদ ও মনিরদের বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধ থেকেই বাবুলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ধামরাই থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘সাবেক ইউপি সদস্যকে হত্যার ঘটনায় শনিবার তার স্ত্রী মামলা করেন। মামলা দায়েরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযান পরিচালনা করে ১১ ও ১২ নম্বর আসামি অনিক ও শয়নকে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর ও ধামরাইয়ের কুল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের রোববার আদালতে পাঠানো হবে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।’

Header Ad
Header Ad

দুই ফুসফুসেই নিউমোনিয়া, পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’

পোপ ফ্রান্সিসের দুটি ফুসফুসে নিউমোনিয়া ধরা পড়েছে। ছবি: সংগৃহীত

ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের দুটি ফুসফুসে নিউমোনিয়া ধরা পড়েছে। তার শারীরিক অবস্থা এখন আরও জটিল। ৮৮ বছর বয়সী পোপ ফ্রান্সিস এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণে ভুগছেন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তাকে রোম জেমেলি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ভ্যাটিকান জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার বিকালে বুকের সিটি স্ক্যানে দুই পাশেই নিউমোনিয়ার সূত্রপাত দেখা গেছে। ল্যাব টেস্ট, বুকের এক্স-রে এবং ক্লিনিক্যাল অবস্থা ইঙ্গিত দেয়, পোপের অবস্থা 'এখনো সঙ্কটজনক'। তাকে অতিরিক্ত থেরাপি নিতে হবে।

ভ্যাটিকানের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তবে পোপ এখনো 'ভালো মেজাজে' আছেন। তিনি বই পড়ে, বিশ্রাম নিয়ে এবং প্রার্থনা করে দিন কাটান।

পোপ ফ্রান্সিস শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এবং তার জন্য প্রার্থনা করতে বলেছেন।

রোমান ক্যাথলিক চার্চের প্রধান হিসেবে ১২ বছর দায়িত্ব পালনকালে ২০২৩ সালের মার্চসহ আর্জেন্টিনায় বহুবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস।টানা কয়েক দিন শ্বাসকষ্টে ভোগার পর গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পোপকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পোপকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

বিবিসি লিখেছে, ২১ বছর বয়সে পোপ ফ্রান্সিসের ফুসফুসের একটি অংশ অপসারণ করতে হয়েছিল। পরে বেশি বয়সে তার ফুসফুসের চারপাশে এক ধরনের প্রদাহ তৈরি হয়। সে কারণে তিনি ফুসফুস সংক্রমণের ঝুঁকিতে ছিলেন।

গত ১২ বছরে এই আর্জেন্টাইনকে বেশ কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। এর মধ্যে ২০২৩ সালের মার্চ ব্রঙ্কাইটিসে আক্রান্ত হয়ে তিনি ৩ রাত হাসপাতালে ছিলেন।

পোপের সর্বশেষ যে অবস্থা ভ্যাটিকান জানাল, তা বিশ্বজুড়ে ক্যাথলিকদের উদ্বিগ্ন করবে, যারা সর্বক্ষণ পোপের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর রাখছেন।

ক্যাথলিক চার্চের জয়ন্তী বছর হওয়ায় এবছর রোমে বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থীর সমাগম ঘটবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিভিন্ন আয়োজনে পোপের অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। আর সাধারণত তিনি নিষ্ক্রিয় থাকতে ভালোবাসেন না।

এমনকি এ সপ্তাহে হাসপাতালে থেকেও তিনি চ্যাপেলে গিয়েছিলেন প্রার্থনা করতে। সেখানে চেয়ারে বসে বাইবেল পড়েছেন বলে তার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

ভ্যাটিকান আগেই জানিয়েছিল, পোপের যে শারীরিক অবস্থা, তাতে এই রোববারের প্রার্থনায় তাকে নেতৃত্ব দিতে দেখা যাবে না । তার মানে টানা দ্বিতীয় সপ্তাহ তিনি এই প্রার্থনা অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকছেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
দুই ফুসফুসেই নিউমোনিয়া, পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ: জুনেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন
নওগাঁয় রাতে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি
প্রযোজনায় নাম লেখালেন বুবলি  
চোখে লাল কাপড় বেধে ঢাকার উদ্দেশ্যে কুয়েটের ৮০ শিক্ষার্থী  
বিয়ে বাড়িতে গান বাজানোর জেরে বাসর ঘরে হামলা  
আজ দুবাইয়ে ভারত-পাকিস্তান মহারণ  
মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার  
দুপুরের মধ্যে ১৪ জেলায় বজ্রবৃষ্টির আভাস  
সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যা জানালো র‍্যাব  
এ বছরই মধ্যে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন : দুদু  
জিম্মিদের ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল  
জশ ইংলিসের সেঞ্চুরিতে রেকর্ড গড়ে ইংল্যান্ডকে হারাল অস্ট্রেলিয়া
১৫ বছর দলীয় বিবেচনায় অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানানো হয়েছে: উপদেষ্টা ফারুক
দিনাজপুরের বিরামপুরে ৮ জুয়াড়ি গ্রেফতার
চীনে নতুন করোনা ভাইরাসের আবির্ভাব, আবারও মহামারির শঙ্কা
নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি রায়হান, সম্পাদক বেলায়েত
শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ফুল আনতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী