প্রকাশ্যে কোরআন পোড়ানো সেই যুবকের মরদেহ উদ্ধার!
সালওয়ান মোমিকা। ছবি: সংগৃহীত
সুইডেনে প্রকাশ্যে কোরআন পোড়ানো প্রাক্তন ইরাকি মিলিশিয়া নেতা এবং ইসলামের তীব্র সমালোচক সালওয়ান মোমিকার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ইউরোপের আরেক দেশ নরওয়েতে তার মৃত্যু হয়েছে। নরওয়ের স্থানীয় একটি রেডিও চ্যানেল এই খবর প্রকাশ করেছে। তবে এখনও সরকারিভাবে মৃত্যুর খবর জানায়নি প্রশাসন।
খবরে বলা হয়েছে, সালওয়ান মোমিকাকে মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) নরওয়েতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তিনি প্রকাশ্যে কুরআন পোড়ানোর জন্য বিশ্বব্যাপী সমালোচনার মুখে পড়েন। সম্প্রতি সুইডেন তাকে বহিষ্কার করলে তিনি নরওয়েতে চলে আসেন। খবর দ্য ইকোনোমিক টাইমস ও ইন্ডিয়া টুডের
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী মোমিকা উদার নাস্তিক সমালোচক এবং চিন্তাবিদ হিসাবে নিজেকে পরিচয় দিতেন। গত ২৭ মার্চ তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছিলেন যে, নরওয়েতে তিনি নিরাপদে আছেন।
২০২৩ সালের জুনে ঈদে সালওয়ান মোমিকা মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থ কুরআনের একটি অনুলিপিতে আগুন দিয়ে বিশ্বজুড়ে নিন্দার মুখে পড়েন। মঙ্গলবার রেডিও জেনোয়া জানিয়েছে যে, ৩৭ বছর বয়সীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তবে, তারা জানিয়েছে যে, এই তথ্যটি নিশ্চিত হওয়ার জন্য তারা এখন অপেক্ষায় আছেন।
পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনার পর সুইডেনের সঙ্গে ইরাকের সংঘাত চরমে ওঠে। পবিত্র ধর্মগ্রন্থের অবমাননায় ক্ষোভে ফেটে পড়ে মুসলিম বিশ্ব। ইরাকের রাজধানী বাগদাদে অবস্থিত সুইডেনের দূতাবাসে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। সুইডেনের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে ইরাক। সেই সিদ্ধান্তে সমর্থন জানিয়েছিল ইরান, তুরস্ক, কাতার, সৌদি আরবের মতো দেশগুলো। সুইডেনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারে তারাও, এমন সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছিল।
এমন পরিস্থিতিতে মোমিকাকে আশ্রয় দিতে চায়নি সুইডেন। ইরাক থেকে বিতাড়িত মোমিকাকে ২০২১ সালে আশ্রয় দিলেও সেই সিদ্ধান্ত পাল্টে ফেলে সুইডিশ প্রশাসন। ফলে নরওয়েতে চলে যান মোমিকা।
The lifeless body of Iraqi refugee and Islam critic Salwan Sabah Matti Momika has been found in Norway. Momika was known for organizing demonstrations in Sweden where he publicly burn Koran several times.https://t.co/I9yOTeSQOJ
— RadioGenoa (RadioGenoa) April 2, 2024