গাজায় ‘সামান্য পরিমানে’ ডিজেল পাঠানোর অনুমতি দিলো ইসরায়েল
ফাইল ছবি
হামাস-ফিলিস্তিনের যুদ্ধের ৩৮ দিন পেরোনোর পর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ‘কিছু পরিমাণে’ জ্বালানি প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে ইসরায়েল। মঙ্গলবার ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, উপত্যকায় ২৪ হাজার লিটার ডিজেল প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
তবে সেই বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে শর্তও দিয়েছে ইসরায়েল; সেই শর্ত হলো— এই ডিজেল কেবলমাত্র জাতিসংঘের ট্রাকগুলো ব্যবহার করতে পারবে। অন্য কোনো জায়াগায়, এমনকি হাসপাতালেও তা পাঠানো যাবে না।
এদিকে একটি মার্কিন সূত্র জানিয়েছে, জাতিসংঘকে এই ডিজেল ব্যবহারের জন্য চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
কিভাবে এই তেল গাজায় জাতিসংঘের কার্যালয়ে পাঠানো হবে— সে সংক্রান্ত কোনো নির্দেশনা বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে আরও তথ্য জানতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এবং গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স, তবে কোনো পক্ষই মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
গত ০৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে হামাস যোদ্ধাদের অতর্কিত হামলার পর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। গত ৩৭ দিন ধরে চলা এই অভিযানে গাজা উপত্যকায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১১ হাজার ৭৮ জন মানুষ। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও কয়েক হাজার।
হামলার প্রথম দিনই উপত্যকায় পানি-বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার পাশাপাশি জ্বালানি তেল প্রবেশেও নিষিদ্ধ করেছিল ইসরায়েল।
ইসরায়েলি বাহিনী অভিযান চালানোর কয়েক দিনের মধ্যেই জ্বালানির অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল উপত্যকার একমাত্র বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি। এখন একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে হাসপাতালগুলোও। উপত্যকার বড় দু’টি হাসপাতাল আল শিফা ও আল কুদস হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে সোমবার। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, জ্বালানি তেলের অভাবে ইতোমধ্যে উপত্যকার ২২ টি হাসপাতাল ও ৩৯টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে।
দুই সপ্তাহ আগে উপত্যকার হাসপাতালগুলোর জন্য জ্বালানি প্রবেশ করতে দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ সরবরাহ বিষয়ক সংস্থা ইউএনওচা। সে আহ্বানের জবাবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, গাজায় জ্বালানি তেল প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না; কারণ এই পরিস্থিতিতে যদি সেখানে জ্বালানি তেলের চালানবাহী গাড়ি ঢোকে— সেক্ষেত্রে সেই তেল হামাস চুরি করবে এবং যুদ্ধের প্রয়োজনে ব্যবহার করবে।
সূত্র : রয়টার্স