জিম্মি মার্কিনি মা-মেয়েকে মুক্তি দিল হামাস
ছবি সংগৃহিত
গাজায় জিম্মি করে রাখা মার্কিনি নারী এবং তার মেয়েকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। মূলত হামাসকে নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের ফ্যাসিবাদী মন্তব্যকে ভুল প্রমাণ করতে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) মুক্তি পাওয়ার পর মার্কিনি নারী ও তার মেয়ে ইসরায়েলে পৌঁছান। এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েল, আইডিএফ ও সমগ্র নিরাপত্তা সংস্থা নিখোঁজ ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে এবং জিম্মিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং শুক্রবার গভীর রাতে ইসরায়েলে পৌঁছেছেন।
এদিকে, মার্কিনি নারী ও তার মেয়েকে মুক্তি দেওয়ার আগে টেলিগ্রাম চ্যানেলে এক বিবৃতি দিয়েছে হামাস। এতে বলা হয়েছে, কাতারের প্রচেষ্টায় আল-কাসাম ব্রিগেডস মানবিক কারণে দুই মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে। এর মাধ্যমে আমেরিকার জনগণ এবং বিশ্বকে প্রমাণ করতে যে, বাইডেন এবং তার ফ্যাসিবাদী প্রশাসনের দাবিগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, তারা গাজার নিকটবর্তী দক্ষিণ ইসরাইলের নাহাল ওজ কিবুতজ নামক এলাকায় আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলার সময় তাদের অপহরণ করে হামাস।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুক্রবার বলেছেন, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রথম ২০টি ট্রাক গাজায় পৌঁছাবে। তাদের মুক্তির মধ্য দিয়ে গাজায় মানবিক ত্রাণ সহায়তা যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে আশা করা হচ্ছে।
হামাস শুক্রবার মা–মেয়েকে মুক্তি দেওয়ার পর তারা ইসরায়েল সীমান্তে পৌঁছে গেছেন বলে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তরের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
দুই মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দেওয়াকে শুভেচ্ছার নিদর্শন বলে উল্লেখ করেছেন হামাস নেতা গাজী হামাদ। বন্দীদের মধ্যে যারা ইসরায়েলি নন, তাদের ‘অতিথি’ হিসেবে সম্বোধন করেছিল হামাস। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছিল সংগঠনটি।