মোখায় মিয়ানমারে ১৪৫ জনের মৃত্যু, জানাল জান্তা
মিয়ানমারে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে অন্তত ১৪৫ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সামরিক শাসক। মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই রোহিঙ্গা সংখ্যালঘু।
ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবের ৬ দিন পর শুক্রবার (১৯ মে) সামরিক বাহিনীর বিবৃতির বরাত দিয়ে জান্তা নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশন চ্যানেল এমআরটিভি মৃতের এ সংখ্যা জানায়।
জান্তা এর আগে ২১ জন মারা গেছেন বলে জানায়। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা বিবিসিকে বলেছেন যে কমপক্ষে ৪০ জন মারা গেছেন।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, এই অঞ্চলে শক্তিশালী ঝড়ের কারণে প্রায় ৮ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গত রবিবার (১৩ মে) প্রবল শক্তি নিয়ে মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ রাখাইনে আছড়ে পড়ে বঙ্গোপসাগরে উদ্ভূত ঘূর্ণিঝড় মোখা। এসময় রাখাইনের বিভিন্ন এলাকায় বাতাসের বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২১০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠেছিল বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া রেকর্ড। ঝড়-বৃষ্টি ও জলচ্ছাসে প্লাবিত হয়ে ওঠে রাখাইন প্রদেশের রাজধানী সিতওয়েসহ বিভিন্ন অঞ্চল।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) এক বিবৃতিতে জান্তা জানিয়েছে, ঝড়ে এ পর্যন্ত ১৪৫ জনের মারা গেছে। নিহতদের মধ্যে চারজন সেনা, ২৪ জন স্থানীয় এবং ১১৭ জন রোহিঙ্গা সংখ্যালঘু। তবে এই সংখ্যা সঠিক কি না তা স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স।
এদিকে রাখাইন প্রদেশের কয়েকজন বাসিন্দা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা সরে যাওয়ার পর রাখাইনের বিভিন্ন গ্রাম ও শহর থেকে ৪ শতাধিক মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো অনেক মানুষ নিখোঁজ আছেন বলেও জানান তারা। যারা বেঁচে আছেন তাদের অধিকাংশই খাবার ও ওষুধের অভাবে সীমাহীন ভোগান্তিতে রয়েছেন।
জান্তার বিবৃতির বরাত দিয়ে এমআরটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, সিভিল সোসাইটির অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন দাতব্য সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে উপদ্রুত প্রদেশগুলোতে উদ্ধার কাজ ও ত্রাণ তৎপরতা চালাচ্ছে সরকারি বাহিনী।
তবে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন বিদেশি সংস্থা ও মিয়ানমারের দেশীয় বেসরকারি একাধিক সংস্থার কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, তারা ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে অপেক্ষা করছেন, কিন্তু জান্তা এখনো কোনো দেশি-বিদেশি সংস্থাকে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেয়নি।
আরএ/