করোনায় আরও মৃত্যু ২৯৮, শনাক্ত ৬৯ হাজার
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে আরও ২৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে ৬৯ হাজার ৬৮১ জন।
বুধবার (২২ মার্চ) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছাল ৬৮ লাখ ২১ হাজার ৪১ জনে। আর মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসটি আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬৮ কোটি ২৬ লাখ ৯০ হাজার ৬২৮ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে ফ্রান্স, রাশিয়া, পোল্যান্ড ও জাপান।
গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়েছেন ১২ হাজার ১৬ জন এবং মারা গেছেন ৭ জন। এ ছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৭ লাখ ১৪ হাজার ৯৭৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৪ হাজার ১৭৮ জনের।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ২৩৫ জন এবং মারা গেছেন ৭৮ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১০ কোটি ৫৯ লাখ ৮৮ হাজার ১১৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১১ লাখ ৫১ হাজার ৮৮২ জন মারা গেছেন।
এ ছাড়া রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৯ হাজার ৩৭৩ জন এবং মারা গেছেন ৩৪ জন। পোল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ২০৩ জন এবং মারা গেছেন ৩২ জন। ফ্রান্সে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৫১৯ জন এবং মারা গেছেন ৩৫ জন। ফিলিপাইনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯০ জন এবং মারা গেছেন ১০ জন। জাপানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৬৮৩ জন এবং মারা গেছেন ২৯ জন। চিলিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ২৭০ জন এবং মারা গেছেন ৪ জন। তাইওয়ানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৬৬৮ জন এবং মারা গেছেন ২০ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর তা বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ২০২০ সালের ১১ মার্চ করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
আরএ/