যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার মহড়ার আগেই উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ
আবারও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। রবিবার (১২ মার্চ) ভোর রাতে সাবমেরিন থেকে দুটি ‘কৌশলগত’ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত এই দেশ। যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া শুরুর আগে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাল উত্তর কোরিয়া।
সোমবার (১৩ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা কেসিএনএ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই উৎক্ষেপণ ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেমের নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করেছে এবং সাবমেরিন ইউনিটগুলোর পানির নিচ থেকে আক্রমণাত্মক অভিযানের পরীক্ষা চালানো হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ (জেসিএস) জানিয়েছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী উচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছে এবং মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা সর্বশেষ উৎক্ষেপণের বিষয়ে বিশ্লেষণ করে দেখছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সাধারণত ‘কৌশলগত’ শব্দটি পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন অস্ত্র বোঝাতে ব্যবহার করা হয়।
এদিকে সোমবার যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া গত ৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় যৌথ মহড়া ‘ফ্রিডম শিল্ড ২৩’ শুরু করেছে। অন্তত ১০ দিন এ মহড়া চলবে। উত্তর কোরিয়ার দ্বিগুণ আগ্রাসনের মুখে পরিবর্তিত নিরাপত্তা পরিস্থিতি মোকাবিলায় এ মহড়ার লক্ষ্য বলে জানিয়েছে দেশ দুটির সশস্ত্র বাহিনী।
যদিও যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার এই সামরিক মহড়াতে ক্ষুব্ধ উত্তর কোরিয়া। এটিকে আক্রমণের মহড়া বলে দেখছে তারা। এ মহড়ার বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরেই কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আসছে উত্তর কোরিয়া।
উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক পরিচালনকারী দক্ষিণ কোরিয়ার একত্রীকরণ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কু বিয়াং-স্যাম, দুঃখের বিষয় এই যে, আমাদের প্রতিরক্ষামূলক মহড়াকে উত্তর কোরিয়া উসকানির অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছে। কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা বাড়িয়ে উত্তর কোরিয়ার পাওয়ার কিছুই নেই সেটা তারা বুঝতে পেরেছে বলে আশা করি।
প্রসঙ্গত, উত্তর কোরিয়ার বড় একটি সাবমেরিন বহর আছে। গত বছর তারা প্রায় ৭০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। এসবের মধ্যে ৮টি আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে।
এসজি