করোনায় প্রাণ গেল আরও ৫৫৭ জনের
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে ৫৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে ৮০ হাজার ৯৮০ জন। সেইসঙ্গে একদিনে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন এক লাখ ৮৪ হাজার ৯২৬ জন।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এ নিয়ে মহামারি শুরু থেকে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬৭ লাখ ৮৩ হাজার ৯২৭ জনে। এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ কোটি ৭৭ লাখ ১০ হাজার ২৩ জনে। করোনা থেকে মোট সেরে উঠেছেন ৬৫ কোটি ২ লাখ ৬৫ হাজার ৭৩৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ব্রাজিলে। দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে জাপান। প্রাণহানির এ তালিকায় জাপানের পরেই রয়েছে ব্রাজিল, যুক্তরাষ্ট্র, তাইওয়ান, ফ্রান্স, রাশিয়া, কানাডা, রোমানিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলো।
জাপানে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৯ হাজার ৪২৩ জন এবং মারা গেছেন ৯৩ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত ৩ কোটি ২৯ লাখ ৫৮ হাজার ৭৭৪ জন এবং মারা গেছেন ৭০ হাজার ৭৮৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রমিত হয়েছেন ৬ হাজার ৬২৪ জন এবং মারা গেছেন ৭১ জন। দেশটিতে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত ১০ কোটি ৪৭ লাখ ৮৭ হাজার ৫৩ জন এবং মারা গেছেন ১১ লাখ ৪০ হাজার ২০৯ জন।
ব্রাজিলে ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন ২০ হাজার ৬৬২ জন এবং মারা গেছেন ৮৮ জন। এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত ৩ কোটি ৬৯ লাখ ৫৩ হাজার ৪৯২ জন এবং মারা গেছেন ৬ লাখ ৯৭ হাজার ৭৬২ জন।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাশিয়ায় সংক্রমিত হয়েছেন ১১ হাজার ৬ জন এবং মারা গেছেন ৩০ জন। ফ্রান্সে একদিনে শনাক্ত হয়েছেন ৭০৬ জন এবং মারা গেছেন ৫০ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ১৭৪ জন এবং মারা গেছেন ১১ জন। তাইওয়ানে একদিনে ১২ হাজার ৬৫৭ জন সংক্রমিত হওয়ার পাশাপাশি মারা গেছেন ৫৪ জন। কানাডায় শনাক্ত ১ হাজার ৪৪২ জন এবং মারা গেছেন ৩৩ জন, রোমানিয়ায় শনাক্ত ৩ হাজার ২০০ জন এবং মারা গেছেন ৩১ জন, চিলিতে শনাক্ত ১ হাজার ৭২ জন এবং মারা গেছেন ১৫ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর তা বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ২০২০ সালের ১১ মার্চ করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
আরএ/