বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

১০ লাখ মানুষের গণপ্রার্থনায় নেতৃত্ব দিলেন পোপ ফ্রান্সিস

দশ লাখেরও বেশি ধর্মপ্রাণ কঙ্গোবাসী খ্রিস্টানদের প্রর্ধান ধমযাজক ও ভ্যাটিকানের প্রধান ধর্মাধ্যক্ষ পোপ ফ্রান্সিসের দেশটি সফরের শুরুতেই তাকে স্বাগত জানাতে ও প্রার্থনায় অংশ নিতে শামিল হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

৯০ দশমিক ৫ শতাংশের বেশি খ্রিস্টানের এই দেশটিতে মঙ্গলবার সকালে পোপ ফ্রান্সিস ও তার সফরসঙ্গী কার্ডিনালরা এসে পৌঁছেছেন। রাজধানী কিনসাসায় তার পোপাল বিমানটি অবতরণ করেছে।

তারা অবতরণ করেছেন এন’ডোলো বিমানবন্দরে। হাজার, হাজার কঙ্গোবাসী তাকে স্বাগত জানাতে লাইন ধরে অপেক্ষা করেছেন।

এ সময় সাড়ে সাত হাজার স্বেচ্ছাসেবক তাদের নিরাপত্তার কাজে যুক্ত হয়েছেন। বিপুল পুলিশ নিয়োগ করেছেন প্রেসিডেন্ট ফিলিক্স সিশেকেডি।

পোপ ফ্রান্সিস মধ্য ও পূব আফ্রিকার দুটি দেশ কঙ্গো এবং দক্ষিণ সুদান সফর করছেন। তখনই ‘ভিজিল (জাগরণ)’ নামের একটি বিশেষ প্রার্থনানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে পোপ ফ্রান্সিসের জন্য। সেখানে এই বিপুল পরিমাণ ক্যাথলিক খ্রিস্টান তাদের প্রধান ধর্মগুরুর সঙ্গে তার প্রার্থনায় মিলিত হয়েছেন ‘কনফেশন (স্বীকারোক্তি)’ এবং ধর্মগীত ও সুরের মাধ্যমে। এই গণপ্রার্থনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন কঙ্গোর রাষ্ট্রপতি।

৩০ জানুয়ারি রাত থেকে এই ধর্মীয় বিপুল সম্মিলনে অংশগ্রহণের জন্য অনেকে বহু দূর থেকে যাত্রা করেছেন। তারা বিমানবন্দরের বাইরে খোলা আকাশের নিচে পরিবার নিয়ে বা একা অথবা বন্ধুদের সঙ্গে, পরিজনকে নিয়ে রাত কাটিয়েছেন। ঘন্টার পর ঘন্টা আগে থেকে মাঠে হাজির হয়েছেন তারা। পরদিন ভোর সকালে ‘পোপ ফ্রান্সিসের মাস’ অনুষ্ঠিত হয়েছে তাদের সকলের আনন্দচিত্তে।

৩১ জানুয়ারি স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টায় আয়োজিত হয়েছে তাদের সকলের গণপ্রার্থনা পোপ ফ্রান্সিসের নেতৃত্বে। ধমীয় গানগুলো, ইংরেজি ও তাদের আদিবাসীদের ভাষায় গেয়েছেন তারা। গানের তালে নেচেছেন। ধর্মীয় গীতের মধ্যে ‘মামান মারিয়া’ নামের কঙ্গোবাসীদের বিখ্যাত গানটিতে তারা নেচে, গেয়ে উন্মাতাল হয়েছেন। এই গানটিকে ফরাসি ভাষায় তারা বলেন ‘মামা মেরি’। আমাদের ভাষায় ‘মাতা মেরি’ বা ‘মা মেরি’। এই গানটি গেয়েই পোপ ফ্রান্সিসকে স্বাগত জানিয়েছেন তার ধমানুসারী নিষ্ঠাবান খ্রস্টানরা। এছাড়াও আরো অনেক বিখ্যাত ইংরেজি ও তাদের ভাষার খ্রিস্টধর্ম সংগীত গাওয়া হয়েছে।

পোপের দেশ ভ্যাটিকানের হলি সি অফিসের সূত্র মতে, তারা পরিসংখ্যান করেছেন ৫ কোটি ২০ লাখের বেশি ক্যাথলিকই আছেন ‘দ্য ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো’ বা ‘গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো’তে। তারাই ১০ কোটি ৫০ লাখের বেশি মানুষের এই দেশে প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী।

কঙ্গোর প্রাতিষ্ঠানিক বা অফিস আদালতের ভাষা ফরাসিতে পোপ ফ্রান্সিস তার অনুসারীদের সঙ্গে উদযাপন করেছেন তাদের ধর্মীয় সম্মেলন। এ ছাড়া, তিনি কথা বলেছেন ‘লিঙ্গালা’ নামের ভাষাতে। বান্টু নামের প্রাচীন খর্বকায় আদিবাসীদের ভাষা ও নিগ্রো এবং সাদা চামড়ার মানুষদের ভাষাটি হলো এই, তারা ক্রিওল বা মিশ্র জাতি হিসেবেও পরিচিত, দেশের কিছু অংশে তাদের এই ভাষা ব্যবহার করা হয়। এই ভাষায় মধ্য আফ্রিকার কয়েক মিলিয়ন মানুষ কথা বলেন।

পোপ ফ্রান্সিস তার ‘হমিলি’ বা ধর্মীয় হিতোপদেশ প্রদান করেছেন ভ্যাটিকানের ভাষা ইতালিতে। সেটি ফরাসিতে অনুবাদ করেছেন তার কার্ডিনালরা। সাধারণ রোমান রীতিতে তিনি ধর্মবাণী প্রদান করেছেন বলে জানানো হয়েছে।

জায়ার নামের আলাদা একটি দেশ আছে এখন। প্রার্থনা করেছেন জায়ার ভাষাভাষীদের জন্যও তিনি, ১৯৮৮ সালে সাবেক জায়ার প্রজাতন্ত্র, আজকের কঙ্গোর ডায়োসিসেসগুলোতে প্রতিটি বিশপের ধর্মীয় এলাকাগুলোতে ভাষাটি আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যবহারের জন্য ভ্যাটিকান থেকে অনুমোদন প্রদান করা হয়েছিল।

খ্রিস্টধর্মের এই বিপুল তীর্থযাত্রীরা ছাতা মাথায় দিয়ে এসেছেন। অনেকের মাথায় ছিল হ্যাট, পশ্চিমী কায়দায় বানানো টুপি। অনেকে মাথার ওপর রেখেছেন গরম থেকে বাঁচার জন্য কাগজ বা পত্রিকা। হয়েছিল খুব গরম।

এই গণপ্রার্থনায় পোপ ফ্রান্সিস তার ভাষণে বলেছেন, ‘ভাই ও বোনেরা, প্রভু যিশুর সঙ্গে কোনোদিন, কখনো শয়তান জয়ী হতে পারে না। আমাদের ভুবনে ‘শেষ’ বলে কোনো শব্দ নেই। এ কাজ আমাদের ‘শান্তি’র জন্য।

প্রভু যিশুর ভুবনে শান্তিই জয়লাভ করে। পাশাপাশি আমরা যারা খ্রিষ্টধমে বিশ্বাস করি ও ধারণ করি জীবনে এবং কর্মে, অবশ্যই আমাদের কখনো ‘কান্না’ উৎপাদন করা যাবে না। আমাদের অবশ্যই কখনো ‘পদত্যাগ’ অনুমোদন করা যাবে না কোনো ক্ষেত্রে, ‘নিয়তি’কে আমাদের মেনে নিতে হবে। এমনকী বিরুদ্ধ পরিবেশ আমাদের চারপাশে রাজত্ব করলেও সেটি অবশ্যই কখনো আমাদের জন্য হবে না।”

তিনি আরও বলেছেন, ‘হয়তো এখন একটি ভালো সময় তাদের সবার জন্য যারা নিজেদের ‘খ্রিস্টান’ বলে অভিহিত করো এবং বিশ্বাসী, তবে যুক্ত থাকো ‘সংঘাত’-এ। ঈশ্বর তোমাদের বলছেন, ‘তোমাদের অস্ত্রগুলোতে ফেলে দাও, শান্তিকে ও শান্তিতে আলিঙ্গন করো।’

তিনি অনুরোধ করেছেন ‘শান্তির জন্য মিশনারি’ হতে। তিনি সংঘষের চক্রটিকে ভেঙে ফেলার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। যাতে ভেঙে টুকরো, টুকরো করে ফেলা যায় কৌশলগত অপরাধ ও কুমন্ত্রণাগুলোকে এবং ঘৃণার বিরাট চক্রটিকে। আমাদের শান্তির মিশনারি হতে বলা হয়েছে, ডাক দেওয়া হয়েছে এবং এটি আমাদের কাছে শান্তিকে নিয়ে আসবে।

আমাদের প্রত্যেকের হৃদয়ে অন্য সকলের জন্য ঘর খুঁজে বের করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আমাদের বিশ্বাস করার দরকার রয়েছে যে, জাতিগত, আঞ্চলিক, সামাজিক, ব্যক্তিগত ও ধর্মীয় পাথক্যগুলো হলো দ্বিতীয় প্রধান এবং এগুলোর কোনোটিই কখনোই বাধা নয়। অন্যরা সবাই হলো আমাদের ‘ভাই’ ও ‘বোন’। আমরা সবাই একই ‘মানবিক’ সমাজের সদস্য।’

গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোতে সংঘাত, সহিংসতা ও যুদ্ধ এত বেশি বেড়ে গিয়েছিল যে মানবতার সংকট দেখা গিয়েছিল। ফলে ৫ কোটি ৫০ লাখ কঙ্গোবাসী তাদের বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ হয়ে গিয়েছেন। এটিই বিশ্বের তৃতীয় সবোচ্চ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা।

গতকাল বুধবার বিকালে পোপ ফান্সিস দেখা করেছেন পশ্চিম কঙ্গোর এই বাস্তুচ্যুত ও সংঘাতের বলি সাধারণ নাগরিকদের সঙ্গে। তিনি তাদের নিয়ে কাজ করা স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কথা বলেছেন।

চলমান সংঘাত, সংঘষ ও যুদ্ধ থেকে বেঁচে যাওয়া সব হারানো মানুষরা তাদের ভয়াবহ জীবনকাহিনীগুলো পোপ ফ্রান্সিসকে জানিয়েছেন এবং শান্তি লাভ করেছেন। এই দেশের যুদ্ধে গণহত্যা ও অঙ্গছেদ ঘটানো হয়েছে, অপহরণ করা হয়েছে, তারা তাদের পরিবার-পরিজনকে হারিয়েছেন, একের পর এক নারীকে ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে, যৌনদাসী হতে বাধ্য হয়েছেন কত নারী।

খ্রিস্টানদের প্রধান ধর্মযাজক পোপ ফ্রান্সিস নিন্দা জানিয়েছেন এই সকল ধরণের অন্যায় ও বর্বরতার। তিনি সকল ধরণের নৃশংসতা ও বর্বরতারই বিপক্ষে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘হত্যাকারীরা, দেশের সম্পদকে অবৈধভাবে লুটেরারা, দেশকে নিয়ন্ত্রণের জন্য যারা টুকরো, টুকরো করতে চেষ্টা করছেন আমি তাদের সকল ধরনের কমকান্ডের বিপক্ষে।’

পোপ ফ্রান্সিস বলেছেন, ‘যারা যুদ্ধ প্রদর্শণ করছেন তাদের সকলকে আমি জিজ্ঞাসা করি ও বলি যুদ্ধে সমাপ্তি টানুন। গরীবের টাকায় ধনী হওয়ার কাজ থামিয়ে দিন। সম্পদের উৎসগুলো লুট করে ধনী হওয়া এবং রক্ত লেগে থাকা টাকা উপার্জন থামিয়ে দিন। যারা কঙ্গোতে বসবাস করেন, তাদের প্রত্যেককে আমি কখনো হার না মেনে নেওয়ার জন্য ডাক দিচ্ছি। তাদের সবাইকে আমি একটি ভালো ও উন্নত ভবিষ্যত তৈরি করতে অনুরোধ করছি। শান্তিই সম্ভব। আসুন আমরা তাকে বিশ্বাস স্থাপন করি। আসুন আমরা প্রত্যেকে অন্যের হাতে অর্পণ না করে সেজন্য কাজ করি।’

পোপ ফ্রান্সিস এসময়ও শান্তির জন্য প্রার্থনা সভায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি কঙ্গোর অধিবাসীদের সকলকে দশকের পর দশক ধরে চলা সংঘাত ও যুদ্ধের বিপরীতে একে অন্যকে ক্ষমা করে দিতে অনুরোধ করেছেন, এজন্য ও তাদের হয়ে প্রার্থনা করেছেন ও যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে কাতরভাবে অনুরোধ করেছেন।

আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে আসা তার কার্ডিলান, আর্চবিশপ, বিশপ, ফাদার, ব্রাদার ও সিস্টাররা পোপ ফ্রান্সিসের কঙ্গো ও দক্ষিণ সুদান সফরের অনুসারী হয়েছেন।
তাদের মধ্যে নাম করেছে গণমাধ্যমগুলোর কয়েকটিÑরুয়ান্ডার কার্ডিনাল অন্টন কামবান্ডা, মধ্য আফ্রিকান রিপাবলিকের কার্ডিনাল ডিওডোনে ইনজাপালিঙ্গা, চাদের আর্চবিশপ এডমন্ড ডিজিটাংগার ও নাইজেরিয়ার বিশপ ম্যাথু হাসান কুকাহ প্রমুখ।

ওএফএস/

Header Ad

স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু লেজ রেখে গেছে, তারা ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, পতিত স্বৈরাচারের সময়ে যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে তারা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। আপনাদের সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তাদের লেজ রেখে গেছে এবং তারা ষড়যন্ত্র করছে, তারা কিন্তু বসে নেই।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দিনভর সিলেটে বিএনপির উদ্যোগে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি বিষয়ক কর্মশালা শেষে বিকালে সমাপনী বক্তব্যে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি, দেশের মানুষ বিএনপির সঙ্গে রয়েছেন। মানুষ মনে করে বিএনপির কাছে গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা নিরাপদ। এজন্য মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। জনগণের এ আস্থাকে ধরে রাখার দায়িত্ব বিএনপি নেতাকর্মীদের।

তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশ ও গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। দল কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশ ও দেশের গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

তিনি আরও বলেন, আগামীতে বাংলাদেশকে কোনো হুমকি থেকে রক্ষা করতে হলে গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে হবে।

সিলেট শিল্পকলা একাডেমিতে সকাল থেকে শুরু হওয়া রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি বিষয়ক কর্মশালায় অংশ নেন সিলেট বিভাগের পাঁচ ইউনিটের নেতারা।

কর্মশালায় জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জিকে গউসের সভাপতিত্বে ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেনের সঞ্চালনায় দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রশিক্ষণ প্রদানকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান ও সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীসহ কয়েকজন নেতার ৩১ দফা কর্মসূচির ওপর বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

প্রশিক্ষণে প্যানেল আলোচক ছিলেন- ডা. মওদুদ আলমগীর, বিএনপি মিডিয়া সেলের আহবায়ক ডা. মহিউদ্দিন আলমগীর পাবেল, কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবা হাবিবা, সহ-ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নেওয়াজ হালিমা আলি, সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রেহানা আক্তার রানু।

কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার আনিসুর রহমান তালুকদার, নির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তরের দায়িত্বে) আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ও মিফতাহ্ সিদ্দিকী। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য তাহসিনা রুশদির লুনা, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও ড. এনামুল হক চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, সহ-সম্পাদক শাম্মী আক্তার ও আব্দুর রাজ্জাক, নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, মিজানুর রহমান চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহবান ফজলুল হক ময়ুন, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নজিবুর রহমান নজিব।

সমাপনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতেই ঢাকায় গত দুই দিনের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, পতিত স্বৈরাচারের সময়ে যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে তারা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। আপনাদের সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তাদের লেজ রেখে গেছে এবং তারা ষড়যন্ত্র করছে, তারা কিন্তু বসে নেই। আমরা গণতন্ত্রের পক্ষে শক্তি, দেশের মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। মানুষ মনে করে বিএনপির কাছে গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা নিরাপদ। এজন্য মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে।

নেতাকর্মীদের প্রতি তারেক রহমান বলেন, মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। মানুষের আস্থা ধরে রাখার দায়িত্ব তৃণমূলের নেতাকর্মীদের। জনগণের এ আস্থাকে ধরে রাখার দায়িত্ব আপনার।

তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন করা সব দলের পক্ষ থেকে ৩১ দফা ঘোষণা করা হয়েছে। এটির মধ্যে রাষ্ট্রকাঠামোর অধিকাংশই আছে। আরও যত প্রস্তাব আসবে তা যুক্তিসংগত হলে যুক্ত করা হবে। আজকে বিভাগ পর্যায়ে ৩১ দফা নিয়ে আলোচনার পর জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে। বইয়ে অনেক কিছু সুন্দরভাবে লিখা থাকে, কিন্তু তা বাস্তবায়ন করতে হয় মানুষকে। তাই ভালো নিয়ত নিয়ে ভালো নিয়ত থাকলে আমরা ভালো কিছু করতে পারব।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র চলার পথে বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বিগত ১৬ বছরে বহু মানুষ গুম ও খুনের শিকার হয়েছেন। জুলাই-আগস্টে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ শহিদ হয়েছেন। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারলে এ প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন সম্ভব। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতাকে বজায় রাখলে জবাবদিহিতা তৈরি হবে। এজন্য যেকোনো মূল্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখব।

Header Ad

সহজেই বাংলাদেশকে হারাল উইন্ডিজ

ছবি: সংগৃহীত

পরাজয়ের মঞ্চ প্রস্তুত হয়েই ছিল। দেখার ছিল টেস্টের শেষ দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ঠিক কতটা অপেক্ষায় রাখতে পারে বাংলাদেশ। তবে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি ক্যারিবীয়দের। দ্রুতই সফরকারীদের গুটিয়ে বড় রনের জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।

অ্যান্টিগা টেস্টের শেষ দিনে আজ মঙ্গলবার মেহেদী হাসান মিরাজের দল হারের ব্যবধান কতোটা কমাতে পারে সেটাই ছিল দেখার। কিন্তু ৩ উইকেট নিয়ে লড়তেই পারলেন না ব্যাটাররা। দিনের খেলা শুরুর ৪০ মিনিটের মধ্যেই জয় নিশ্চিত করে ফেলে উইন্ডিজ।

অ্যান্টিগা টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতল ২০১ রানে। একইসঙ্গে ২ ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা। জ্যামাইকায় ৩০ নভেম্বর সিরিজের ২য় ও শেষ টেস্টে মুখোমুখি হবে এই দুই দল।

আগের দিন জয়ের জন্য ৩৩৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১০৯ রানে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করে বাংলাদেশ। আর আজ ২ উইকেট হারাতেই শেষ হয়ে যায় ম্যাচ। শরিফুল ইসলাম চোটে থাকায় ব্যাট করতে করতে পারেন নি। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে তিনি ড্রেসিংরুমে।

কাঁধে আঘাত পাওয়ার ব্যাটিং চালিয়ে যেতে পারেননি শরিফুল। তাতেই ৯ উইকেটে ১৩২ রানে থামল বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। হাতে ১ উইকেট থাকলেও বাংলাদেশ হার মেনে নিয়ে মাঠ ছাড়ে। আগের দিন ১ উইকেট হাতে থাকলেও ১৮১ রানে পিছিয়ে থেকে ইনিংস ঘোষণা করেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

আজ টেস্টের প্রথম দিনে উইকেটে আসা-যাওয়ার দায়টুকু সারতেই যেন মাঠে নামল বাংলাদেশ ব্যাটাররা। ৪০ মিনিটের কম সময়ের মধ্যে শেষ ইনিংস। খেলতে পারল মাত্র ৭ ওভার। আগের দিনের রানের সঙ্গে যোগ করতে পারল মাত্র ২৩ রান।

জাকের আলি ফিরে গেলেন ৩১ রানে। আগের দিন মিরাজ করেন ৪৫ রান। এ নিয়ে টানা তিন সফরে অ্যান্টিগায় প্রথম টেস্টে হারল বাংলাদেশ দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা পঞ্চম হার দেখল দলটি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ৪৫০/৯ ডিক্লে.
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২৬৯/৯ ডিক্লে.
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: ১৫২/১০
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৩৮ ওভারে ১৩২/১০ (জাকের ৩১, হাসান ০, তাসকিন ৪*, শরিফুল ১ আহত আউট; রোচ ৮-১-২০-৩, সিলস ১৩-৩-৪৫-৩, শামার জোসেফ ৬-১-২২-১, আলজারি জোসেফ ৮-১-৩২-২, গ্রেভস ৩-১-১২-০)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০১ রানে জয়ী
সিরিজ: ২ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
পরবর্তী টেস্ট: ৩০ নভেম্বর, জ্যামাইকায়

Header Ad

আইনজীবী হত্যায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান

আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

পোস্টে শফিকুল আলম লিখেছেন, চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি লেখেন, জনগণকে শান্ত থাকার এবং অপ্রীতিকর কার্যকলাপে অংশ নেওয়া থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিকে বন্দর নগরীসহ সমস্ত ঝুঁকিপূর্ণ আশেপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন।

যেকোনো মূল্যে অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে ও সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানিয়েছেন ড. ইউনূস।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ সনাতনী জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে সৃষ্ট সংঘর্ষে নিহত হন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ। নিহত আলিফ (৩৫) সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি)। সাইফুল লোহাগাড়ার চুনতি এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর করেন। পরে তার অনুসারীরা আদালত চত্বরে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হন।

আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আহত শিক্ষানবিশ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে মৃত ঘোষণা করেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু লেজ রেখে গেছে, তারা ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান
সহজেই বাংলাদেশকে হারাল উইন্ডিজ
আইনজীবী হত্যায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান
এ আর রহমান আমার বাবার মতো: মোহিনী দে
ইসকন আন্দোলনে দেশি-বিদেশি ইন্ধন রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাইম আইয়ুবের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে সমতায় ফিরলো পাকিস্তান
কে এই চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, তাকে গ্রেপ্তার নিয়ে কেন এত হইচই
ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, বেড়েছে দাম
৮০ বছর বয়সেও মডেলিং করবেন রুনা খান
চট্টগ্রামে চিন্ময়ের অনুসারীদের হামলায় আইনজীবী নিহত
গুলিবিদ্ধ হওয়ার ২২ দিন পর নওগাঁ যুবদল নেতার মৃত্যু
ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের বিবৃতি
সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে নয়, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় গ্রেফতার: আসিফ মাহমুদ
সংবিধানের ৬২ জায়গায় সংশোধনের প্রস্তাব বিএনপির
বঙ্গবন্ধু রেল সেতুতে চলল পরীক্ষামূলক ট্রেন
শাপলা চত্বর গণহত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে : উপদেষ্টা নাহিদ
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ
ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে উত্তাল পাকিস্তান, নিহত ছয়