একদিনে আরও ৬৩৮ মৃত্যু, জাপানেই ৩২৬
মহামারি করোনাভাইরাসে সারাবিশ্বে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১ লাখ ২৯ হাজার ৮৬৬ জন। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৬৩৮ জনের। এর মধ্যে জাপানেই মারা গেছেন ৬৩৮ জন।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছাল ৬৭ লাখ ৪৬ হাজার ৩৫১ জনে। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬৭ কোটি ৩৩ লাখ ১৭ হাজার ৭৪৭ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চিলি। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে মেক্সিকো, হংকং ও দক্ষিণ কোরিয়া।
গত ২৪ ঘণ্টায় জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৪ হাজার ৪৫০ জন এবং মারা গেছেন ৩২৬ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ২০ লাখ ৪৫ হাজার ৩২৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৬৫ হাজার ৩৬৯ জন মারা গেছেন।
ব্রাজিলে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১ হাজার ৭৩ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৬৭ লাখ ৩৪ হাজার ৮৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৯৬ হাজার ৩২৩ জনের।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৫৭৯ জন এবং মারা গেছেন ৬ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৬২৪ জন এবং মারা গেছেন ২৪ জন। ফ্রান্সে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৪৭৭ জন। মেক্সিকোতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৩৮০ জন এবং মারা গেছেন ৪১ জন। রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৫ হাজার ৭২৯ জন এবং মারা গেছেন ৪১ জন। চিলিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৭৫ জন এবং মারা গেছেন ৬৭ জন। তাইওয়ানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১৯ হাজার ১৮৭ জন এবং মারা গেছেন ২৭ জন। হংকংয়ে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৭৩৭ জন এবং মারা গেছেন ৩৭ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর তা বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ২০২০ সালের ১১ মার্চ করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
আরএ/