বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

জর্দানে প্রভু যিশুর ধর্মীয় তীর্থস্থানে হাজারো দর্শনার্থী

জর্দানে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত প্রভু যিশুর ব্যাপ্টিজমের তীর্থস্থানে হাজার হাজার পর্যটকের ঢল নেমেছে।

শুক্রবার থেকে কোভিড-১৯ মহামারি রোগের প্রকোপ ও দুর্ভোগের পর থেকে এই খ্রিস্টানদের অন্যতম ধর্মীয় স্থানটি সকলের দর্শনের জন্য বন্ধ রাখার পর খুলে দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া, জর্দান ধর্মীয়ভাবে তাদের তীর্থকেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের আগমন ও দর্শন ব্যাপকভাবে বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ফলে দর্শনার্থীদের অবারিত আগমন ঘটছে।

‘দ্য ক্যাথলিক ল্যাটিন প্যাট্রিআর্চ অব জেরুসালেম’ জানিয়েছে, প্রভু যিশুর ধর্মীয়ভাবে দীক্ষাদানের বা তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ধমীয় রীতিতে দীক্ষা প্রদানের এই অত্যন্ত বিখ্যাত ও প্রচণ্ড প্রসিদ্ধ অবস্থিত ছিল প্রাচীন জর্দান নদীর পূর্ব তীরে। খ্রিস্ট গোষ্ঠীর এই অন্যতম প্রধান তীর্থস্থানটি গণতীর্থযাত্রীদের উন্মুক্ত করে দেওয়ার পর দেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, ‘এই পবিত্র স্থানটি আবারও হতে পারে সম্মিলিত শান্তির অন্যতম কেন্দ্র যেহেতু মধ্যপ্রাচ্যে আবার উত্তেজনা বেড়ে চলেছে।’

জর্দানের স্কাউট ছাত্ররা শানাইয়ের মতো বাদ্যযন্ত্র ব্যাগপাইপ বাজিয়ে আবার আসা তীর্থযাত্রীদের স্বাগত জানিয়েছেন ও তাদের বিনোদন প্রদান করেছেন। তাদের সঙ্গে এসেছেন অনেক পর্যটকও।

ধর্মনিষ্ঠ খ্রিস্টানদের বিশ্বাস হলো, ‘জন দ্য ব্যাপটিস্ট এই স্থানেই যিশুকে খ্রিস্ট ধর্মে দীক্ষাপ্রদান করেছেন। তাদের ধর্মগ্রন্থ বাইবেলের নিউ টেস্টামেন্ট জানায়, যিশুকে খ্রিস্ট ধর্মে দীক্ষাদানের এই উৎসবটি এখানে জর্দান নদীটির পূর্ব তীরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জায়গাটি ‘বেথানি’ নামে বিখ্যাত।

আজকের জদানের বহুদূরে ছিল। আরবিতে এই জায়গাটি আছে ‘আল-মুঘাটস নামে’। খ্রিস্টানদের প্রধান তিনজন ধর্মযাজক ‘সেন্ট জন পল-২’, ‘পোপ এমিরেটাস ষোড়শ বেনেডিক্ট’ ও বতমান ‘পোপ ফ্রান্সিস’ তাদের পোপের দায়িত্বভারে এই অন্যতম প্রধান ধর্মীয় তীর্থস্থানে তীর্থযাত্রী হিসেব অংশগ্রহণ করেছেন ও ধর্মীয়ভাবে বিশুদ্ধ হয়েছেন ও অসংখ্য মানুষকে ধমীয় দীক্ষা প্রদান করেছেন। দ্য ক্যাথলিক ল্যাটিন প্যাট্রিআচ অব জেরুসালেমও যিশুর ব্যাপ্টিজনের স্থানের মতো ইউনেসকোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট বা বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে।

জর্ডান’স ব্যাপ্টিজম সাইট কমিশনের মহাপরিচালক রুস্তম মুখজাইন এই পবিত্র ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রাচীন তীর্থকেন্দ্রের গুরুত্ব জানিয়েছেন, ‘যিশু খ্রিস্টের ব্যাপ্টিজমের তীর্থকেন্দ্রটি একটি বিশ্বের উত্তরাধিকার সংরক্ষণ কেন্দ্র বা ইউনেসকোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। এই তীর্থকেন্দ্র ধর্মের পাশাপাশি মানবতাকে উপস্থাপন, ধারণ, প্রচার ও প্রসার করে। আমরা জর্দানিরা যার জিম্মাদার।

বিশেষ যত্ন ও হাশেমি পরিবারটির জিম্মাদারি ছাড়া, এই পরিবার উত্তরাধিকার সূত্রে জর্দানের শাসক গোষ্ঠী, তাদের বতমান প্রধান মহামান্য রাজা আবদুল্লাহ-২’র আনুকূল্য ও নেতৃত্বদান বাদে কখনো আমাদের এই অর্জন সম্ভব হতো না। তাদের পরিবারের ভালোবাসা এবং আগ্রহ বাদে কখনো আমরা এই তীর্থস্থানটিকে রক্ষাও করতে পারতাম না। আমাদের কাছে সাম্প্রতিক কালে মানবেতিহাসের এই অনন্য অর্জনটিও আসতো না। আমরা এই তীর্থকেন্দ্রের উন্নয়ন ও প্রদর্শনের স্বক্ষমতা বাড়িয়েছি। বিশ্বের যেকোনো মানুষ এখন প্রভু যিশুর খ্রিস্ট ধর্মে দীক্ষাদানের কেন্দ্রটি দেখতে, ঘুরতে ও প্রার্থনা করতে আসতে পারেন। জন ও যিশুর হেঁটে যাওয়া পথগুলোতে পবিত্র হতে পারেন।’

জন হলেন ‘জন দ্যা ব্যাপটিস্ট’ নামে ধর্মে বর্ণিত মানুষটি হলেন খ্রিস্টানদের। মুসলমানদের ইয়াহিয়া নামের নবী। খ্রিস্টান ধর্মে অধ্যুষিত দেশগুলোতে এবং অন্যান্য দেশে বসবাসকারী খ্রিস্টানদের কাছে জর্দান নদীর ধারে বাস করা এই নবীর বাসস্থানটি ‘দ্য সাইট অব যিশু’জ ব্যাপ্টিজম বাই জন দ্য ব্যাপটিস্ট’ হিসেবে বিখ্যাত। ‘দ্য সাইট অব জন দ্য ব্যাপটিস্ট’ নামে খ্যাত তার আবাস।

তবে তাদের আশেপাশে বছরের পর বছর, শতকের পর শতক ধরে-রোমান ও বাইজেনটাইন গির্জাগুলো, একটি মনাস্ট্রি বা খ্রিস্টান ধর্মযাজকদের বাসস্থান, হামিট নামের গুহাগুলো যেগুলোতে তারা নির্জনে বাস বা তপস্যা করতেন, খ্রিস্টধর্মে দীক্ষাদানের বিখ্যাত কেন্দ্রগুলো বা সিঞ্চনের বারি গ্রহণের স্থানগুলো সবই একের পর এক ভূমিকম্পের পর ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। নানা মনুষ্যসৃষ্ট সংকটও আঘাত হেনেছে। বানের পানিতে ডুবেছে। ফলে যিশুর দীক্ষাদানের প্রধান এই কেন্দ্রস্থলটিই অনিশ্চিত হয়ে গিয়েছে।

জর্দান ও ইসরাইল আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে স্থাপিত ভূমি মাইনগুলো অপসারণ করার পর ২৫ বছর আগে এই পবিত্রতম তীর্থকেন্দ্রটিকে প্রত্নত্বিক আবিষ্কার ও খননের মাধ্যমে আবার ফিরে পাওয়ার কাজ শুরু হলো। এখন ‘দ্য ক্যাথলিক ল্যাটিন প্যাট্রিআর্চ অব জেরুসালেম’ও আবার তার ধর্মীয় এবং আনুষ্ঠানিক গৌরব ফিরে পেয়েছে।

এখন জর্দান পাশের এলাকাগুলোর উন্নয়ন করতে চায় তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের আরও সেবা দান করতে এবং আরও আর্থিকভাবে সঙ্গতিময় হতে। ধর্মীয় কল্যাণের মধ্যে দেশটি তাদের প্রয়োজন অনুসারে থাকার ব্যবস্থা করতে কাজ করতে চায়। তবে সেজন্য প্রচুর তহবিলের প্রয়োজন রয়েছে।

১০৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘দ্য ক্যাথলিক ল্যাটিন প্যাট্রিআর্চ অব জেরুসালেম’র আর্চবিশপ ও খ্রিস্টানদের পক্ষে কেন্দ্রটির পরিচালক ফাদার পিয়ার বাতিস্তা পিজ্জাবালা বলেছেন, ‘প্রভু যিশুর খ্রিস্টধর্মে দীক্ষাদানের ধর্মীয় এই স্থানটি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির খোঁজে প্রেরণা প্রদান করতে পারে ও অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করতে পারে। কেননা এখানে বিভক্তি সবাইকে আলাদা করে দিয়েছে।’

আর্চবিশপ ফাদার পিয়ার বাতিস্তা পিজ্জাবালা আরও বলেছেন, ‘অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে এই মধ্যপ্রাচ্যের সবখানে আমরা শত, শত উত্তেজনা, বিভক্তি, বাধা, রক্তপাত, আহত মানুষকে দেখেছি; যেভানে আমরা ভাবছি, আমাদের সকলের ও সব ধর্মের ভবিষ্যত বৈচিত্র্যতা ও ঐক্যবদ্ধতায় নিহিত রয়েছে।’

আর্চবিশপ পিয়ার বাতিস্তা পিজ্জাবালা জানিয়েছেন, ‘আমাদের আশা হলো, এই পবিত্র স্থানটি সেই শান্তির একটি ছোট্ট উদাহরণ হতে পারে। যদি আমরা চাই, এখানে তা সম্ভব।’

জর্দানের আগত একজন ব্যাংক কর্মকর্তা বাসেল ইসতারা বলেছেন, ‘প্রার্থনা ও দীক্ষাগ্রহণের এই বিশেষ ও পবিত্র জায়গাটিতে বিশ্বের সকলে খ্রিস্টানদের পাশাপাশি আসবেন-আমরা তাদের স্বাগত জানাবো ও ভালোবাসব-এই কামনা রইল।’

ওএফএস/

Header Ad

স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু লেজ রেখে গেছে, তারা ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, পতিত স্বৈরাচারের সময়ে যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে তারা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। আপনাদের সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তাদের লেজ রেখে গেছে এবং তারা ষড়যন্ত্র করছে, তারা কিন্তু বসে নেই।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দিনভর সিলেটে বিএনপির উদ্যোগে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি বিষয়ক কর্মশালা শেষে বিকালে সমাপনী বক্তব্যে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি, দেশের মানুষ বিএনপির সঙ্গে রয়েছেন। মানুষ মনে করে বিএনপির কাছে গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা নিরাপদ। এজন্য মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। জনগণের এ আস্থাকে ধরে রাখার দায়িত্ব বিএনপি নেতাকর্মীদের।

তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশ ও গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। দল কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশ ও দেশের গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

তিনি আরও বলেন, আগামীতে বাংলাদেশকে কোনো হুমকি থেকে রক্ষা করতে হলে গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে হবে।

সিলেট শিল্পকলা একাডেমিতে সকাল থেকে শুরু হওয়া রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি বিষয়ক কর্মশালায় অংশ নেন সিলেট বিভাগের পাঁচ ইউনিটের নেতারা।

কর্মশালায় জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জিকে গউসের সভাপতিত্বে ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেনের সঞ্চালনায় দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রশিক্ষণ প্রদানকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান ও সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীসহ কয়েকজন নেতার ৩১ দফা কর্মসূচির ওপর বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

প্রশিক্ষণে প্যানেল আলোচক ছিলেন- ডা. মওদুদ আলমগীর, বিএনপি মিডিয়া সেলের আহবায়ক ডা. মহিউদ্দিন আলমগীর পাবেল, কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবা হাবিবা, সহ-ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নেওয়াজ হালিমা আলি, সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রেহানা আক্তার রানু।

কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার আনিসুর রহমান তালুকদার, নির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তরের দায়িত্বে) আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ও মিফতাহ্ সিদ্দিকী। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য তাহসিনা রুশদির লুনা, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও ড. এনামুল হক চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, সহ-সম্পাদক শাম্মী আক্তার ও আব্দুর রাজ্জাক, নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, মিজানুর রহমান চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহবান ফজলুল হক ময়ুন, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নজিবুর রহমান নজিব।

সমাপনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতেই ঢাকায় গত দুই দিনের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, পতিত স্বৈরাচারের সময়ে যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে তারা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। আপনাদের সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তাদের লেজ রেখে গেছে এবং তারা ষড়যন্ত্র করছে, তারা কিন্তু বসে নেই। আমরা গণতন্ত্রের পক্ষে শক্তি, দেশের মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। মানুষ মনে করে বিএনপির কাছে গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা নিরাপদ। এজন্য মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে।

নেতাকর্মীদের প্রতি তারেক রহমান বলেন, মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। মানুষের আস্থা ধরে রাখার দায়িত্ব তৃণমূলের নেতাকর্মীদের। জনগণের এ আস্থাকে ধরে রাখার দায়িত্ব আপনার।

তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন করা সব দলের পক্ষ থেকে ৩১ দফা ঘোষণা করা হয়েছে। এটির মধ্যে রাষ্ট্রকাঠামোর অধিকাংশই আছে। আরও যত প্রস্তাব আসবে তা যুক্তিসংগত হলে যুক্ত করা হবে। আজকে বিভাগ পর্যায়ে ৩১ দফা নিয়ে আলোচনার পর জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে। বইয়ে অনেক কিছু সুন্দরভাবে লিখা থাকে, কিন্তু তা বাস্তবায়ন করতে হয় মানুষকে। তাই ভালো নিয়ত নিয়ে ভালো নিয়ত থাকলে আমরা ভালো কিছু করতে পারব।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র চলার পথে বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বিগত ১৬ বছরে বহু মানুষ গুম ও খুনের শিকার হয়েছেন। জুলাই-আগস্টে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ শহিদ হয়েছেন। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারলে এ প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন সম্ভব। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতাকে বজায় রাখলে জবাবদিহিতা তৈরি হবে। এজন্য যেকোনো মূল্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখব।

Header Ad

সহজেই বাংলাদেশকে হারাল উইন্ডিজ

ছবি: সংগৃহীত

পরাজয়ের মঞ্চ প্রস্তুত হয়েই ছিল। দেখার ছিল টেস্টের শেষ দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ঠিক কতটা অপেক্ষায় রাখতে পারে বাংলাদেশ। তবে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি ক্যারিবীয়দের। দ্রুতই সফরকারীদের গুটিয়ে বড় রনের জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।

অ্যান্টিগা টেস্টের শেষ দিনে আজ মঙ্গলবার মেহেদী হাসান মিরাজের দল হারের ব্যবধান কতোটা কমাতে পারে সেটাই ছিল দেখার। কিন্তু ৩ উইকেট নিয়ে লড়তেই পারলেন না ব্যাটাররা। দিনের খেলা শুরুর ৪০ মিনিটের মধ্যেই জয় নিশ্চিত করে ফেলে উইন্ডিজ।

অ্যান্টিগা টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতল ২০১ রানে। একইসঙ্গে ২ ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা। জ্যামাইকায় ৩০ নভেম্বর সিরিজের ২য় ও শেষ টেস্টে মুখোমুখি হবে এই দুই দল।

আগের দিন জয়ের জন্য ৩৩৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১০৯ রানে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করে বাংলাদেশ। আর আজ ২ উইকেট হারাতেই শেষ হয়ে যায় ম্যাচ। শরিফুল ইসলাম চোটে থাকায় ব্যাট করতে করতে পারেন নি। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে তিনি ড্রেসিংরুমে।

কাঁধে আঘাত পাওয়ার ব্যাটিং চালিয়ে যেতে পারেননি শরিফুল। তাতেই ৯ উইকেটে ১৩২ রানে থামল বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। হাতে ১ উইকেট থাকলেও বাংলাদেশ হার মেনে নিয়ে মাঠ ছাড়ে। আগের দিন ১ উইকেট হাতে থাকলেও ১৮১ রানে পিছিয়ে থেকে ইনিংস ঘোষণা করেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

আজ টেস্টের প্রথম দিনে উইকেটে আসা-যাওয়ার দায়টুকু সারতেই যেন মাঠে নামল বাংলাদেশ ব্যাটাররা। ৪০ মিনিটের কম সময়ের মধ্যে শেষ ইনিংস। খেলতে পারল মাত্র ৭ ওভার। আগের দিনের রানের সঙ্গে যোগ করতে পারল মাত্র ২৩ রান।

জাকের আলি ফিরে গেলেন ৩১ রানে। আগের দিন মিরাজ করেন ৪৫ রান। এ নিয়ে টানা তিন সফরে অ্যান্টিগায় প্রথম টেস্টে হারল বাংলাদেশ দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা পঞ্চম হার দেখল দলটি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ৪৫০/৯ ডিক্লে.
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২৬৯/৯ ডিক্লে.
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: ১৫২/১০
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৩৮ ওভারে ১৩২/১০ (জাকের ৩১, হাসান ০, তাসকিন ৪*, শরিফুল ১ আহত আউট; রোচ ৮-১-২০-৩, সিলস ১৩-৩-৪৫-৩, শামার জোসেফ ৬-১-২২-১, আলজারি জোসেফ ৮-১-৩২-২, গ্রেভস ৩-১-১২-০)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০১ রানে জয়ী
সিরিজ: ২ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
পরবর্তী টেস্ট: ৩০ নভেম্বর, জ্যামাইকায়

Header Ad

আইনজীবী হত্যায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান

আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

পোস্টে শফিকুল আলম লিখেছেন, চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি লেখেন, জনগণকে শান্ত থাকার এবং অপ্রীতিকর কার্যকলাপে অংশ নেওয়া থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিকে বন্দর নগরীসহ সমস্ত ঝুঁকিপূর্ণ আশেপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন।

যেকোনো মূল্যে অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে ও সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানিয়েছেন ড. ইউনূস।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ সনাতনী জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে সৃষ্ট সংঘর্ষে নিহত হন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ। নিহত আলিফ (৩৫) সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি)। সাইফুল লোহাগাড়ার চুনতি এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর করেন। পরে তার অনুসারীরা আদালত চত্বরে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হন।

আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আহত শিক্ষানবিশ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে মৃত ঘোষণা করেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু লেজ রেখে গেছে, তারা ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান
সহজেই বাংলাদেশকে হারাল উইন্ডিজ
আইনজীবী হত্যায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান
এ আর রহমান আমার বাবার মতো: মোহিনী দে
ইসকন আন্দোলনে দেশি-বিদেশি ইন্ধন রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাইম আইয়ুবের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে সমতায় ফিরলো পাকিস্তান
কে এই চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, তাকে গ্রেপ্তার নিয়ে কেন এত হইচই
ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, বেড়েছে দাম
৮০ বছর বয়সেও মডেলিং করবেন রুনা খান
চট্টগ্রামে চিন্ময়ের অনুসারীদের হামলায় আইনজীবী নিহত
গুলিবিদ্ধ হওয়ার ২২ দিন পর নওগাঁ যুবদল নেতার মৃত্যু
ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের বিবৃতি
সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে নয়, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় গ্রেফতার: আসিফ মাহমুদ
সংবিধানের ৬২ জায়গায় সংশোধনের প্রস্তাব বিএনপির
বঙ্গবন্ধু রেল সেতুতে চলল পরীক্ষামূলক ট্রেন
শাপলা চত্বর গণহত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে : উপদেষ্টা নাহিদ
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ
ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে উত্তাল পাকিস্তান, নিহত ছয়