করোনায় আরও ৯১৭ মৃত্যু
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে ৯১৭ জন মারা গেছেন। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ২ লাখ ৪২ হাজার ৩০৬ জন।
রবিবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৬৭ লাখ ২৯ হাজার ৬৮১ জনে। আর মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ কোটি ১১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪১ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মেক্সিকো। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে হংকং, তাইওয়ান, রাশিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া।
গত ২৪ ঘণ্টায় জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৩২ হাজার ৭১ জন এবং মারা গেছেন ৫০৩ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ১৩ লাখ ৮ হাজার ৩৫২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৬২ হাজার ২৬৪ জন মারা গেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৫৩২ জন এবং মারা গেছেন ৪১ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১০ কোটি ৩৫ লাখ ৭৩ হাজার ৪২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১১ লাখ ২৫ হাজার ৫৩৯ জন মারা গেছেন।
এ ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ হাজার ৫৫২ জন এবং মারা গেছেন ৪৫ জন। ফ্রান্সে নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৪২৯ জন। মেক্সিকোতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৫৫৪ জন এবং মারা গেছেন ৫৮ জন। ব্রাজিলে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৫ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১০ হাজার ৯১৭ জন। রাশিয়ায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৫ হাজার ১০২ জন এবং মারা গেছেন ৪৬ জন। চিলিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১১৬ জন এবং মারা গেছেন ৩০ জন। তাইওয়ানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২০ হাজার ৪১২ জন এবং মারা গেছেন ৪৭ জন। হংকংয়ে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৭৪৯ জন এবং মারা গেছেন ৫৪ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর তা বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ২০২০ সালের ১১ মার্চ করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
আরএ/