করোনায় জাপানে আরও ৪৮০ জনের মৃত্যু
বেশ কিছুদিন ধরেই করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যার তালিকার শীর্ষে থাকছে জাপানের নাম। তবে শুক্রবারের মৃত্যুর তালিকায় শুধু জাপান নয়, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও জার্মানির নামও রয়েছে উদ্বেগজনক অবস্থায়। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৫৮৭ জনের। এর মধ্যে জাপানে মারা গেছেন ৪৮০ জন এবং যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ১৯৩ জনের। এ ছাড়া ফ্রান্সে ১০১ জন এবং জার্মানিতে মৃত্যু হয়েছে ১৫০ জনের।
করোনাভাইরাসে মৃত্যু, আক্রান্ত ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েসবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে শনিবার (১৪ জানুয়ারি) এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ১৯ হাজার ২৯৫ জন। এরমধ্যে জাপানে শনাক্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪৪ হাজার ৭৭ জন। এ ছাড়া ব্রাজিলে ২০ হাজার ৫৪৮, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৩৯ হাজার ৭২৬ এবং তাইওয়ানে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২১ হাজার ৭৩৭ জনের।
ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনায় মৃতের মোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ লাখ ২৭ হাজার ২২৫ জনে। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ কোটি ৮ লাখ ২৫ হাজার ১২৩ জনে।
এদিকে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকার এখনো শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৯ হাজার ৩৯৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ কোটি ৩৪ লাখ ৮২ হাজার ১৮৭ জনে। মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ২৫ হাজার ২০ জনে।
এদিকে চীনে বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৯০ কোটিতে পৌঁছেছে বলে এক গবেষণায় জানানো হয়েছে। দেশটির মোট জনসংখ্যার ৬৪ শতাংশই এখন প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সংক্রমণের শিকার।
বৃহস্পতিবার চীনের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা সংস্থা পিকিং ইউনিভার্সিটির এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে ১১ জানুয়ারি, অর্থাৎ মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশটিতে যারা করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন— তাদের সংখ্যা জানানো হয়েছে।
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বলছে, আক্রান্ত রোগীর হিসেবে চীনের বিভিন্ন প্রদেশের মধ্যে শীর্ষে আছে গানসু। প্রদেশটির মোট জনসংখ্যার ৯১ শতাংশই বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত। গানসুর পর দ্বিতীয় স্থানে ইউনান (৮৪ শতাংশ) ও তৃতীয় স্থানে আছে কুইনঘাই (৮০ শতাংশ) প্রদেশ।
দেশটির কেন্দ্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা চাইনিজ সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের (সিসিডিসি) সাবেক প্রধান নির্বাহী ঝেং গুয়াং বলেন, ‘করোনা এখন যে গতিতে ছড়াচ্ছে, আমার ধারণা— চলতি জানুয়ারির শেষ দিকে সংক্রমণের এই ঢেউ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাবে, তারপর ধীরে ধীরে নেমে আসা শুরু করবে।’
‘আমার এই অনুমানের ভিত্তি হলো— ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকেই নতুন চান্দ্রবছর শুরু হবে। পরিবারের সঙ্গে চান্দ্রবছরের উৎসব উদযাপণে দূর দূরান্তে থাকা লোকজন তাদের গ্রাম কিংবা শহরের বাড়িতে আসা শুরু করবে; ফলে পাল্লা দিয়ে বাড়বে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও।’
এসএন