বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী কচ্ছপ জনাথনের আজ ১৯০
দক্ষিণ আটলান্টিক দ্বীপ সেন্ট হেলেনা শনিবার উদযাপন করছে একটি বিশেষ দিন। এই দ্বীপের বিজ্ঞানী, পরিবেশকর্মী ও গবেষকরা ঘিরে আছেন জনাথনকে। সে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী মাটিতে বাস করা প্রাণী। একটি বিরাটাকার সেইশ্যালস কচ্ছপ।
তাদের আদিবাস প্রশান্ত মহাসাগরে ১শ ১৫টি দ্বীপ নিয়ে ঘেরা সেইশ্যালস নামের দেশে। এদিন জনাথনের বয়স হলো ১৯০!
সেন্ট হেলেনার গভর্নরের বাসভবনেই জনাথন তার জীবনের বেশিরভাগ বছর কাটিয়েছে। গভর্নর জনাথনকে ঘিরে তিনদিনের উৎসবের আয়োজন করেছেন। দর্শনার্থীদের তাকে দেখার সুযোগ দিয়েছেন ও শুভেচ্ছা জানাতে বলেছেন। কেননা তাদের জনাথন ঐতিহাসিক মাইলফলকে এলো।
সেন্ট হেলেনা হলো ব্রিটেনের অধীনে একটি দ্বীপ। এই দ্বীপের সরকারী কর্মকর্তারা জনাথনের ছবি তুলেছেন ও ব্রিটেনের মাধ্যমে কয়েকটি শুভেচ্ছা স্মারক ডাকটিকেট তৈরি করেছেন। তার ছবি ছাপানো হয়েছে সেগুলোতে।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সের কচ্ছপ জনাথনের জন্ম কবে সত্যিকারের কোনো রেকর্ড নেই। তবে প্রাণী বিজ্ঞানীদের মতে, সে জন্ম নিয়েছে ১৮৩২ সালের আশেপাশে। জনাথনের কাছাকাছি কোনো জীবিত প্রাণী এখন আর নেই। বিশ্বের কোনো মানুষও এতদিনের আলোবাতাস ও বেঁচে থাকার সুখ লাভ করতে পারেননি।
ঠিক ৫০ বছর বয়সে পা রাখার পর জনাথনকে বৈজ্ঞানিক উদ্দেশে সেইশ্যালস থেকে নিয়ে আসা হলো ১৮৮২ সালে। তাকে উপহার হিসেবে পেয়েছিলেন স্যার উইলিয়াম গ্রে-উইলসন। তিনিই সঙ্গে নিয়ে এলেন বিরাট এই কচ্ছপকে। পরে তিনি সেন্ট হেলেনার গভর্নর হয়েছেন।
জনাথনকে নিয়ে এই দ্বীপের মানুষের অনেক গর্ব। কেননা, শত, শত মানুষ তাকে দেখতে আসেন। বিশ্বের সব প্রাণী বিজ্ঞানী রা জনাথনকে চেনেন ও তার খবর রাখেন। সেন্ট হেলেনার ভ্রমণ বিভাগের প্রধান ম্যাট জশুয়া বলেছেন, ‘২শ বছরের বুড়োর মতো জনাথনকে এখনো দেখা যায় না।’
গিনেজ বুক অব ওয়াল্ড রেকর্ডসে লেখা আছে জনাথনের নাম। এ ছাড়া, সেই হলো বিশ্বের সবজাতের সব ধরনের কচ্ছপের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বয়সের। এর আগের কচ্ছপের নামটি হলো ‘টুইই মালিলা’। সে বেঁচেছিল ১৮৮ বছর। তাকে উপহার দিয়েছিল টঙ্গার রাজ পরিবার। পেয়েছিলেন বিখ্যাত ব্রিটিশ অভিযাত্রী স্যার জেমস কুক। সালটি ১৭৭৭ সালের আশেপাশে। মারা গিয়েছে অনেক আগে, তখনকার সময়ে রেকর্ড গড়ে ১৯৬৫ সালে। তার রেকর্ডটি ভাঙলো জনাথন ২০০০ সালে। সেই থেকে সেই হলো সবচেয়ে বেশি বয়সের প্রাণ।
ওএফএস/