বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

৪০ বছরের ‘যুদ্ধজয়ী’ আনোয়ার ইব্রাহিম

মালয়েশিয়ার জননন্দিত রাজনীতিক আনোয়ার ইব্রাহিম একজন ভাগ্যবিড়ম্বিত নেতা। বারবার তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার হাতছানি পেলেও শেষ পর্যন্ত তা অধরাই থেকে গেছে। উল্টো মিথ্যা মামলায় জেলে খাটাই যেন ছিল তার নিয়তি। ১৯৮২ সাল থেকে রাজনীতির ভুবনে যে যাত্রা শুরু করেছিলেন তরুণ আনোয়ার ইব্রাহিম, দেশটির প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন হয়ে আজ তিনি সফল হলেন। মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গেও তার রাজনৈতিক সম্পর্ক ছিল চমকপ্রদ ও বৈরিতায় মুখর।

আনোয়ার ইব্রাহিমের বয়স এখন ৭৫। প্রথম নিজের নামটি তৈরি করেছেন একজন ক্যারিসমাটিক ও আগুনের মতো জ্বলে ওঠা ছাত্রনেতা হিসেবে। তিনিই তখন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মালয়শিয়ার মুসলিম তরুণদের সংগঠন ‘আনকাতান বালিয়া ইসলাম মালয়শিয়া (এবিআইএম)’। তবে এরপর অনেককে অবাক করে দিয়ে ১৯৮২ সালে তিনি যোগ দেন ‘ইউনাইটেড মালায়স ন্যাশনাল অগানাইজেশন (ইউএমএনও)’-এ।

১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত বহু পুরোনো ইউএমএনও দলে যোগ দেওয়া ছিল তার একটি বিচক্ষণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। এখানেই নিজেকে রাজনৈতিক নেতা হিসেবে বারবার ওপরে উঠিয়েছেন এবং মন্ত্রীসভাতে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলেছেন। ১৯৯৩ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের উপ-প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেসময় মাহাথিরকে তিনি প্রত্যাশা মিটিয়ে ব্যাপক সাফল্য লাভে সহায়তা করেন।

তবে তাদের দুজনের মধ্যে উত্তেজনার শুরু হলো ১৯৯৭ সালের এশিয়ার অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মাধ্যমে। তারা দুজনেই ধাক্কা খেয়ে গেলেন অর্থনৈতিক বিপর্যয় ও দুর্নীতিতে। পরের বছর ১৯৯৮ সালের সেপ্টেম্বরে উপ-প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমকে বরখাস্ত করা হলো এবং তিনি মাহাথির মোহাম্মদের বিপক্ষে গণ-আন্দোলনে নেতৃত্ব দিলেন। এই আন্দোলনই মালয়শিয়ার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের একটি প্রজন্মকে উৎসাহিত ও বেগবান করেছে। আন্দোলনের নেতা আনোয়ার গ্রেপ্তার হন এবং তার বিপক্ষে সমকামিতা ও দুর্নীতির মামলা দায়ের করা হয়।

শুনানিতে তিনি বিতর্কিত অভিযোগগুলো অস্বীকার করেন। যেহেতু মুসলিম প্রধান দেশ মালয়েশিয়া সমকামিতার কার্যক্রমগুলোকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে, তারপরও তাকে মামলাগুলোতে দোষী সাব্যস্ত করা বিরল হয়ে গেল প্রমাণের অভাবে। আনোয়ার ইব্রাহিম রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলার শিকার হয়েছেন বলে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো জানালো। তারপরও তার ছয় বছরের কারাদণ্ড হলো। এরপর ভয়াবহ সহিংস সংঘাত দেশের রাস্তায়, রাস্তায় ছড়িয়ে গেল। এক বছর পর আনোয়ার ইব্রাহিম সমকামিতার জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলেন।

আনোয়ার ইব্রাহিম সবসময় উল্লেখ করেছেন যে, মাহাথির মোহাম্মদ তাকে রাজনৈতিক হুমকি হিসেবে মনে করেন। আর এজন্য তিনি তার বিপক্ষে প্রচারণা ও কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অভিযোগ ও শাস্তি প্রদান করার পাঁয়তারা করছেন।

২০০৪ সালের শেষের দিকে মাহাথির মোহাম্মদ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হলে দেশের সুপ্রিম কোর্ট সমকামিতার মামলায় উল্টো অবস্থান নেয় এবং আনোয়ারকে জেল থেকে মুক্তি দেয়।

তারপর থেকে দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে তিনি নিজেকে আরও মজবুত অবস্থানে নিয়ে যান। যখন জেল থেকে মুক্ত হলেন আনোয়ার ইব্রাহিম, তিনি অনুপ্রাণিত হয়ে মাহাথির মোহাম্মদের বিপক্ষে বাস্তবে ও কার্যত সবার প্রধান হিসেবে তুলে ধরতে লাগলেন।

২০০৮ সালের নিবাচনে তার দল শক্তিশালী ভূমিকা পালন করেন। তবে সে বছর আবার তার বিপক্ষে সমকামিতার অভিযোগ তৈরি করা হলো। তিনি দাবি করলেন, তাকে মাঠ থেকে সরিয়ে দিতে এটি সরকারের আরেকটি পদক্ষেপ। অবশেষে ২০১২ সালের হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ আনোয়ার ইব্রাহিমকে সব মামলা থেকে মুক্ত করে দেয়। তারা জানালেন, প্রমাণের অভাব রয়েছে।

পরের বছর তিনি নির্বাচনে প্রধান ভূমিকা পালন করলেন ও নতুন মাত্রা তৈরি করলেন। ফলে তিনি ক্ষমতাশীল ‘বারিশান ন্যাশনাল কোয়ালিশন (বিএনসি)’র ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ ফলাফল এনে দিলেন। তবে আবারও আনোয়ার ইব্রাহিমের রাজনৈতিক আশাগুলো হুমকির মধ্যে পড়ে গেল। ২০১৪ সালে তিনি একটি রাজ্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। যে মামলাগুলোতে আদালতের বিচারে খালাস পেয়েছিলেন, সেগুলো আবার ফিরিয়ে আনা হলো এবং তাকে জেলে বন্দী করা হলো। তবে মালয়েশিয়ার রাজনীতিতে বহু পুরোনো ও দক্ষ খেলোয়াড় এবং মাহাথির মোহাম্মদের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী কখনো কোনোভাবেই দমে যাননি। তিনি বারবার সামনে আসার চেষ্টা করেছেন।

এর মধ্যে নানা ঘটনায় সবাইকে চমকে দিয়ে ২০১৬ সালে তার সাবেক শত্রু মাহাথির ঘোষণা করলেন, তিনি অবসর বাতিল করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য আবার লড়বেন। তখন ৯২ বছরের মালয়েশিয়ার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় নেতা জানালেন, তার বিপক্ষে প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজ্জাকের আনীত দুর্নীতির মামলাগুলোতে দুর্বল হয়ে গিয়েছেন। এসময় তিনি জেলে বন্দী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে একটি অচিন্তনীয় চুক্তি করলেন। তিনি বিরোধী সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় তখন। তাকে জেল থেকে মুক্ত করলেন। দেশের জনগনকে খুশিতে ভাসিয়ে তারা একত্রে বসলেন ও আলোচনা করলেন, করমর্দন করলেন। মালয়েশিয়ার ইতিহাসে একটি অসামান্য রাজনৈতিক পূণমিলনী ও ঐক্যের সূচনা করলেন।

মাহাথির মোহাম্মদ ২০১৮ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে তাদের রাজনৈতিক ঐক্যের ‘দি পাকাতান হারাপান অ্যালায়েন্স’ বা আশার মৈত্রী’র নেতৃত্ব দিলেন। থামিয়ে দিলেন বারিশান ন্যাশনাল’সদের ৬১ বছরের টানা দেশটিকে শাসনের ইতিহাস। তাদের এই রাজনৈতিক ঐক্যে মালয়েশিয়ার ইতিহাসে সত্যিকারেভাবে এবং প্রথমবারের মতো নানা ধর্মের মানুষরা এলেন চারটি দল থেকে। তারা লাভ করলেন দেশের সংখ্যাগুরু মুসলমান, শক্তিশালী চীনা ও ভারতীয় সংখ্যালঘুদের সমর্থন। আবার মালয়শিয়ার প্রধানমন্ত্রী হয়ে মাহাথির মোহাম্মদ নির্দিষ্টভাবে জানালেন যে, আগামী দুই বছরের মধ্যে আনোয়ার ইব্রাহিমের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। তিনি তাকে আদালত থেকে মুক্ত করার অঙ্গীকার করলেন ও তাকে পুরোপুরি ক্ষমা করে দেবেন।

তবে তাদের রাজনৈতিক ঐক্য অনিশ্চিত ও বিপজ্জনক হতে লাগলো যখন নব্বই বছর বয়সী মাহাথির তার ক্ষমতা ধরে রাখতে চাইলেন। ফলে আবার মালয়েশিয়ান জাতীয়তাবাদের উত্থান ঘটে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে মাহাথির মোহাম্মদ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করলে তাদের ঐক্যে ভাঙন ধরে। এর মাধ্যমে আবার খালি হাতে ফিরে গেলেন আনোয়ার ইব্রাহিম।

এরপর আবার ক্ষমতায় এলো ‘ইউনাইটেড মালায়স ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (ইউএমএনও)’, নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন মহিউদ্দন ইয়াসিন। তবে মোটে এক বছর পর, মহামারি করোনার সবচেয়ে খারাপ সময়ে প্রধানমন্ত্রী মহিউদ্দিন কয়েক মাসের টালমাটাল অবস্থার পর পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পর পদত্যাগ করেন। গত অক্টোবরে তার দলে উত্তরাধিকারী ইসমাঈল সাবরি ইয়াক্বু ক্ষমতা কামড়ে ধরবেন বলে এগুলেন। ইউএমএনও নিশ্চিত হলো যে, তারা নির্বাচনে জয়ের মাধ্যমে আবার ক্ষমতা দখল করতে পারবে। নির্বাচনে আনোয়ার ইব্রাহিমের জাদু ও দূরদর্শিতায় পাকাতান হারাপান অ্যালায়েন্স বেশিরভাগ সিট দখল করে।

টানা ৪০ বছর রাজনৈতিক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজ মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সংগ্রাম সফল হলো আনোয়ার ইব্রাহিমের। তিনি হলেন দেশটির ১০তম প্রধানমন্ত্রী।

ওএফএস/আরএ/

Header Ad

ভিসার জন্য দুপুরে আমেরিকান দূতাবাসে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

ফাইল ছবি

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আজ দুপুর ২টায় আমেরিকান দূতাবাসে যাবেন বলে জানা গেছে।

বুধবার এক বিশেষ সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সূত্র জানায়, আমারিকার ভিসার জন্য ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে তিনি দূতাবাসে যাবেন।

এর আগে আজ দুপুরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

জানা যায়, গত ১ মাসের বেশি সময় ধরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এরমধ্যে তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে, পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছিলো।

Header Ad

ইসকন নিষিদ্ধে সরকারের অবস্থান জানতে চায় হাইকোর্ট

ছবি: সংগৃহীত

ইসকন নিষিদ্ধ চেয়ে আবেদনের শুনানিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবারের (২৮ নভেম্বর) মধ্যে সরকারকে পদক্ষেপ জানাতে হবে বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সময় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেন অবনতি না হয় সে বিষয়ে সরকারকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশনা দেন।

এর আগে, আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) নিষিদ্ধ চেয়ে এবং যে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে চট্টগ্রাম ও রংপুরে জরুরি অবস্থা জারির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন আইনজীবী মনিরুজ্জামান।

তবে বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যার্টনি জেনারেলকে ডেকে পাঠান আদালত।

অ্যার্টনি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, “যে কেউ কোনো অ্যাঙ্গেল থেকে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। সরকার জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। সাম্প্রতিক ইস্যুতে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।”

তখন আদালত বলেন, তারা উদ্বিগ্ন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে কেউ অবনতি করতে না পারে।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) তাকে চট্টগ্রামের আদালতে তোলা হয়। আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতে পাঠানোর পথে তাকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান আটকে দেয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীরা। তাদের সরিয়ে দিয়ে চিন্ময় কৃষ্ণকে কারাগারে নেওয়ার পথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় সাইফুল ইসলাম আলিফ নামের এক আইনজীবী নিহত হয়।

Header Ad

নারী যুগ্মসচিবের ধমক খেয়ে অজ্ঞান কর্মকর্তা, সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ

ছবি: সংগৃহীত

অর্থ-মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নাদিরা সুলতানার ধমক খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পরেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান। গত ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত একটি সভার কার্যবিবরণীতে স্বাক্ষর আনতে গেলে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় যুগ্মসচিব ড. নাদিরা সুলতানা তাকে ধমক দেন এবং তিনি ধমক খেয়ে মাটিতে লুটে পড়েন। এ ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের সামনে শতাধিক কর্মচারী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে হট্টগোল করেছেন।

তার আগে গতকাল মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে হঠাৎ অর্থ মন্ত্রণালয়ের দ্বিতীয় তলায় অতিরিক্ত সচিব (এপিডি) ওবায়দুর রহমানের রুমের সামনে জড়ো হন কর্মচারীরা। তারা অর্থ বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. নাদিরা সুলতানার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

মঙ্গলবার দুপুর ৩টার দিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জিয়াউর রহমানসহ কয়েকজন কর্মচারী ড. নাদিরা সুলতানার স্বাক্ষর আনতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে যান। তখন নাদিরা জিয়াউরের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করলে এক পর্যায়ে জিয়া অজ্ঞান হয়ে যান।

আসলাম নামে আরেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন, আমি ওই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলাম এবং যুগ্মসচিব ম্যাডাম আমার সামনেই দুর্ব্যবহার করেন এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করলে জিয়াউর রহমান তৎক্ষণাত অসুস্থ হয়ে অজ্ঞান হয়ে মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন এবং তিনি ঘটনাস্থলেই দুইবার বমি করেন।

খবর পেয়ে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা কর্মচারি সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবিরের নেতৃত্বে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ বিভাগের কর্মচারীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং চিকিৎসার জন্য অচেতন অবস্থায় উক্ত কর্মকর্তার অফিস কক্ষ থেকে উদ্ধার করে সচিবালয় ক্লিনিকে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ডাক্তার পরামর্শ অনুযায়ী তাকে দ্রুত সরকারি কর্মচারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজ মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করে এবং নয় দফা দাবি তুলে। বুধবার সকাল থেকে সচিবালয়ের ভেতরে এ কর্মসূচি পালন করছেন । যা এখনও চলমান।

সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সচিবালয়ে প্রবেশে সবগুলো পথ বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া এ কর্মসূচি ঘিরে সচিবালয় এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভিসার জন্য দুপুরে আমেরিকান দূতাবাসে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ইসকন নিষিদ্ধে সরকারের অবস্থান জানতে চায় হাইকোর্ট
নারী যুগ্মসচিবের ধমক খেয়ে অজ্ঞান কর্মকর্তা, সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ
জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামি খালাস
আইনজীবী সাইফুল হত্যায় আটক ৩০
বিচ্ছেদের পর সামান্থাকে ‘সেকেন্ড হ্যান্ড’ শুনতে হয়
ইসকনের হামলার নিন্দা ও বিচারের দাবি শিবিরের
ভারতের বিবৃতি বন্ধুত্বের চেতনার পরিপন্থি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আইনজীবী সাইফুল হত্যার বিচারের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগরে বিক্ষোভ মিছিল
ইউক্রেনে এক মাসে লন্ডনের অর্ধেকের সমান এলাকা দখল রাশিয়ার
লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় নিহত অন্তত ২২
স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু লেজ রেখে গেছে, তারা ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান
সহজেই বাংলাদেশকে হারাল উইন্ডিজ
আইনজীবী হত্যায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান
এ আর রহমান আমার বাবার মতো: মোহিনী দে
ইসকন আন্দোলনে দেশি-বিদেশি ইন্ধন রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাইম আইয়ুবের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে সমতায় ফিরলো পাকিস্তান
কে এই চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, তাকে গ্রেপ্তার নিয়ে কেন এত হইচই
ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, বেড়েছে দাম
৮০ বছর বয়সেও মডেলিং করবেন রুনা খান