করোনায় আরও মৃত্যু ৩৭৪
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে ৩৭৪ জন মারা গেছেন। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে দুই লাখ চার হাজার ৮৯১ জন।
সোমবার (২১ নভেম্বর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছাল ৬৬ লাখ ২৬ হাজার ২৩ জনে। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪ কোটি ৩০ লাখ ৭৮ হাজার ৯৫৪ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও চিলি।
গত ২৪ ঘণ্টায় জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৭ হাজার ৭২২ জন এবং মারা গেছেন ১২২ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৩৭ লাখ ৭১ হাজার ৭৮৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৪৮ হাজার ২৮১ জন মারা গেছেন।
রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন পাঁচ হাজার ২১৭ জন এবং মারা গেছেন ৫৯ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুই কোটি ১৫ লাখ ৩৬ হাজার ২২৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে তিন লাখ ৯১ হাজার ৪৫৪ জনের।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন চার হাজার ২৪৪ জন এবং মারা গেছেন দুই জন। ইন্দোনেশিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ হাজার ১৭২ জন এবং মারা গেছেন ৩১ জন। ফ্রান্সে নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ২০৪ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬ হাজার ১১ জন এবং মারা গেছেন ৪১ জন। তাইওয়ানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১৬ হাজার ২৩৬ জন এবং মারা গেছেন ৪৩ জন। চিলিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৩৯৭ জন এবং মারা গেছেন ২২ জন। ব্রাজিলে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৪ হাজার ৩০০ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর তা বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ২০২০ সালের ১১ মার্চ করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
আরএ/