যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পথে নৌকাডুবিতে নিহত ১৭
দ্বীপরাষ্ট্র বাহামার উপকূলীয় অঞ্চলে নৌকাডুবিতে অন্তত ১৭ জন হাইতির নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এ দুর্ঘটনার পর ২৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (২৫ জুলাই) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাহামার প্রধানমন্ত্রী ফিলিপ ডেভিস বলেন, ধারণা করা হচ্ছে হতাহতরা যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লেরিডার মিয়ামিতে যাচ্ছিলেন।
বাহামার পুলিশ জানায়, নিউ প্রভিডেন্স দ্বীপ থেকে নৌকাটি ১১ কিলোমিটারের বেশি দূরে গিয়ে ডুবে যায়। ২৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে একজন নারীও ছিলেন। এ ছাড়া নিহত ১৭ জনের মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে। এখন পর্যন্ত একজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
বাহামা পুলিশের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, জীবিতদের মধ্যে দুজনকে পুলিশ কাস্টডিতে নেওয়া হয়েছে। তারা দুজনই বাহামার নাগরিক। তারা মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হাইতিতে সহিংসতা বৃদ্ধি ও দারিদ্র্যের কারণে ঝুঁকি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেওয়ার ঘটনা বেড়েই চলেছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, নিউ প্রভিডেন্স দ্বীপ থেকেই স্থানীয় সময় রবিবার ১টার দিকে ৬০ জন লোক নিয়ে স্পিডবোটটি ছেড়েছিল।
বাহামা পুলিশ কমিশনার ক্লেটন ফার্নান্ডার বলেছেন, পুলিশ নৌকার হুলে ঠকঠক শব্দ শুনে একজন নারীকে জীবিত উদ্ধার করেছে। ডুবুরিরা শেষ পর্যন্ত নিচে নেমে যায় এবং সেখান থেকেই তারা ১৭টি মৃতদেহ উদ্ধার করে।
দেশটির অভিবাসন মন্ত্রী কিথ বেল বলেছেন, নৌকাডুবিতে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, বিপজ্জনক এ সমুদ্রযাত্রার জন্য (মানব পাচারকারীদের) তারা ৩ হাজার থেকে ৮ হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত অর্থ দিয়েছেন।
এর আগে গত মে মাসে পুয়ের্তো রিকোর কাছে নৌকাডুবিতে কমপক্ষে ১১ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। সেই ঘটনায় নিহতদের বেশিরভাগই ছিল হাইতির নাগরিক।
এসএন