চীনকে রুখতে ৬০০ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করছে জি-৭
ছবি: সংগৃহীত
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের মধ্যে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত হলো জি-৭ সম্মেলন। সম্মেলনে সাতটি ধনী দেশের জোট জি-৭ এর নেতারা চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বিস্তারকারী বহুমুখী প্রকল্প ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ রুখতে ৬০০ মিলিয়ন ডলারের তহবিল সংগ্রহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সোমবার (২৭ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও জি-৭ এর নেতারা জার্মানির ব্যাভারিয়ান আল্পসে সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। সেখানে তারা ‘পার্টনারশিপ ফর গ্লোব্যাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট’ নামে প্রকল্পের ঘোষণা দেন।
সম্মেলনে বাইডেন বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রায়ই মহামারির মতো বৈশ্বিক ধাক্কাগুলো সামলাতে সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর অভাব থাকে। এ কারণে তারা প্রভাবগুলো তীব্রভাবে অনুভব করে। তাই তাদের পুনরুদ্ধার করা আরও কঠিন হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের প্রকল্পগুলোকে সমর্থন করার জন্য পাঁচ বছরের মধ্যে অনুদান, তহবিল এবং ব্যক্তিগত বিনিয়োগে ২০০ বিলিয়ন সংগ্রহ করবে। যা ওই দেশগুলোর জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করার পাশাপাশি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, লিঙ্গ সমতা এবং ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নত করতে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, আমি পরিষ্কার করতে চাই, এটি কেবল সাহায্য বা দাতব্য নয়। এটি এমন একটি বিনিয়োগ যা সবার জন্য সুফল বয়ে আনবে। এটি দেশগুলোকে গণতন্ত্রের সঙ্গে অংশীদারিত্বের সুনির্দিষ্ট সুবিধাগুলো দেখতে দেবে।
তিনি আরও বলেন, বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংক, উন্নয়ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সার্বভৌম সম্পদ তহবিল এবং অন্যান্য খাত থেকে শত শত বিলিয়ন অতিরিক্ত ডলার আসতে পারে।
সমাবেশে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেন, চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ প্রকল্পের টেকসই বিকল্প গড়ে তোলার জন্য ইউরোপ একই সময়ের মধ্যে উদ্যোগের জন্য ৩০০ বিলিয়ন ইউরো (৩১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) সংগ্রহ করবে।
ইতালি, কানাডা এবং জাপানের নেতারাও তাদের পরিকল্পনার কথা বলেছেন। এর মধ্যে কয়েকটি ইতোমধ্যে আলাদাভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। এতে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন উপস্থিত না থাকলেও তাদের দেশগুলোও অংশ নিয়েছে।
চীনের বিনিয়োগ প্রকল্পে এশিয়া থেকে ইউরোপে প্রাচীন সিল্ক রোড বাণিজ্য রুটের একটি আধুনিক সংস্করণ তৈরির জন্য একশ'র বেশি দেশে উন্নয়ন ও কর্মসূচি সম্পৃক্ত।
হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা বলেছেন, এ পরিকল্পনা অনেক উন্নয়নশীল দেশের জন্য সামান্য সুবিধা দিয়েছে। তবে এটি ঋণ গ্রহণকারী দেশগুলোকে ফাঁদে ফেলছে এবং বিনিয়োগের সাথে জড়িত। এটি তাদের আয়োজকদের চেয়ে চীনকে বেশি উপকৃত করে।
এসজি/