অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক নিয়ন্ত্রণ বিল পাস
পরপর বন্দুক হামলায় জর্জরিত যুক্তরাষ্ট্র। একের পর এক বন্দুক হামলায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে দেশটিতে। কোনোভাবেই রাশ টেনে ধরতে পারছে না দেশটি। স্কুল, কলেজ, গির্জা, শপিংমল, হাসপাতাল কোনো কিছুই রক্ষা পায়নি বন্দুক হামলা থেকে। এ অবস্থায় বিভিন্ন মহল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণে আইন প্রণয়নের দাবি উঠে। খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও এতে সমর্থন দেন।
অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক নিয়ন্ত্রণে একটি বিল পাস করেছে দেশটির সিনেট। শুক্রবার (২৪ জুন) ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। গত প্রায় ৩০ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আগ্নেয়াস্ত্র আইন।
ক্রমবর্ধমান বন্দুক সহিংসতার মধ্যেও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান শিবিরে মতবিরোধ দেখা দেয়। তবে এরপরও বন্দুক নিয়ন্ত্রণ বিলটি পাস করতে এদিন ১৫ জন রিপাবলিকান সিনেটর ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে যোগ দেন। আর এতেই ৬৫-৩৩ ভোটে মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চ কক্ষে বিলটি পাস হয়।
প্রসঙ্গত, গত মাসে নিউইয়র্কের বাফেলোতে একটি সুপারমার্কেটে ১০ জন এবং টেক্সাসের উভালদের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্দুক হামলার ঘটনায় ২১ জন নিহত হন। এর মধ্যে উভালদের ওই স্কুলের ১৯ জন শিশু শিক্ষার্থীও রয়েছে। এছাড়া এরপরও একটি গির্জা, হাসপাতাল ও আরও একটি স্কুলে বন্দুক হামলায় আরও কয়েকজন নিহত হন। এসব ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বন্দুক আইন কঠোর করার জোর দাবি ওঠে। অবশেষে সিনেটে এ সংক্রান্ত একটি বিল পাস হলো।
অবশ্য, সহিংসতা রোধে ডেমোক্র্যাট ও অন্যান্য কর্মীরা যতটা কঠোর একটি আইনের কথা ভেবেছিলেন এ বিলটি তার থেকে অনেক কম। নতুন এ বিলে ২১ বছরের কমবয়সী ক্রেতাদের জন্য কঠোরভাবে ব্যাকগ্রাউন্ড যাচাইয়ের কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া মানসিক স্বাস্থ্য প্রোগ্রাম এবং স্কুলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে দেশটির ফেডারেল তহবিলে ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ের কথা বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে এ বিলের অধীনে হুমকি হিসেবে বিবেচিত লোকদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র অপসারণের জন্য ‘লাল পতাকা’ আইন প্রয়োগ করতে অঙ্গরাজ্যগুলোকে উৎসাহিত করার আহ্বানও জানানো হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন সিনেটে বন্দুক নিয়ন্ত্রণ বিলটি পাস হওয়ার পর এখন এটিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের অনুমোদন নিতে হবে। আর এরপরই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এটিতে স্বাক্ষর করে আইনে পরিণত করতে পারবেন। তবে এই কাজটি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে হয়ে যেতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
এসএন