রাহুলকে দফায় দফায় জেরা, রণক্ষেত্র দিল্লি
সোমবারের পর মঙ্গলবারও ইডি-র জেরার মুখে রাহুল গান্ধী। সোমবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) অফিসাররা দুই দফায় প্রায় ১০ ঘণ্টা জেরা করে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে। সোনিয়া গান্ধীকেও ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু অসুস্থতার কারণে সোনিয়া হাসপাতালে ভর্তি। ফলে রাহুল একাই যান ইডি-র দপ্তরে। তার সঙ্গে কার্যত মিছিল করে ইডি-র দপ্তর পর্যন্ত যাওয়ার চেষ্টা করেন কংগ্রেসের ছোট-বড় নেতারা। পুলিশের সঙ্গে তাদের কার্যত হাতাহাতি হয়। সোমবারের পর দিল্লির রাজপথে ফের সেই একই দৃশ্য দেখা গেল। এদিন ফের কংগ্রেসের প্রায় সমস্ত ছোট-বড় নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
রাহুল এবং সোনিয়ার বিরুদ্ধে অর্থ তছরুপের অভিযোগ আছে। অভিযোগকারীর দাবি, ন্যাশনাল হেরাল্ড থেকে একটি সংস্থার মাধ্যমে নিয়মিত অর্থ তছরুপ করেছে গান্ধী পরিবার। মামলাটি ইডি গ্রহণ করার পর এই প্রথম রাহুলকে জেরা করল ইডি।
সোমবার সকালে রাহুল যখন ইডি-র দপ্তরে পৌঁছান, পি চিদাম্বরম থেকে অধীররঞ্জন চৌধুরী সকলেই তখন রাস্তায়। গোটা দেশজুড়ে কংগ্রেস হরতালের ডাক দিয়েছিল। পুলিশের সঙ্গে চিদাম্বরমের মতো বরিষ্ঠ নেতাদেরও রীতিমতো হাতাহাতি হয়। চিদাম্বরমের অভিযোগ, পুলিশের আঘাতে তার পাঁজরের হাড়ে চির ধরেছে। আহত হয়েছেন আরো বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা। কংগ্রেসকর্মীদের সঙ্গেও পুলিশের রীতিমতো হাতাহাতি হয়।
রাহুল গান্ধীকে সোমবার দুই দফায় জেরা করে ইডি। প্রথম দফার পর আশি মিনিটের বিরতি মিলেছিল। সে সময় হাসপাতালে গিয়ে সোনিয়াকে দেখে আসেন তিনি। এরপর রাত পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সোমবার রাতেই ইডি জানিয়ে দেয়, রাহুলকে জেরা করে তারা সন্তুষ্ট নয়। তাই মঙ্গলবার ফের তাকে হাজিরা দিতে হবে।
মঙ্গলবার সকালে প্রথমে কংগ্রেস অফিসে গিয়ে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন রাহুল। ততক্ষণে দিল্লির কংগ্রেস অফিসের সামনে ১৪৪ ধারা জারি করে দিয়েছে পুলিশ। তা উপেক্ষা করেই শয়ে শয়ে কংগ্রেসকর্মী বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। কংগ্রেস অফিসে উপস্থিত ছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢড়াও। কংগ্রেস অফিস থেকে রাহুল ইডি-র দপ্তরে রওনা হওয়ার পরেই প্রথম সারির সমস্ত নেতা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তবে তারা শান্তিপূর্ণ ধরনার পথ বেছে নিয়েছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ ফের তাদের আটক করে বাসে তুলে নেয়।
রাহুল গান্ধীকে জেরা করা নিয়ে কংগ্রেসের বিক্ষোভকে বিজেপি 'নাটক' বলে অভিহিত করেছে। অন্যদিকে কংগ্রেসের বক্তব্য, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বিজেপি একাজ করছে।
সূত্র: ডয়চে ভেলে