মহানবীকে (সা.) কটূক্তি: ভারতে বিক্ষোভকারীদের উপর পুলিশের গুলিতে নিহত ২
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে বিজেপি নেতা ও দলের মুখপাত্র নূপুর শর্মার অবমাননাকর মন্তব্যের জেরে উত্তাল হয়ে উঠেছে ভারত। নূপুর শর্মা ও নবীন জিন্দালকে গ্রেপ্তারের দাবিতে শুক্রবার (১০ জুন) দেশটির বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে। রাঁচিতে বিক্ষোভকারীদের উপর পুলিশের গুলিতে দুজন নিহত ও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। খবর এনডিটিভির।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শুক্রবার ডেইলি মার্কেটের কাছে রাঁচির মূল সড়কে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান হাজার হাজার মুসল্লি। এসময় তাদের উপর পুলিশ গুলি চালায়, এতে অন্তত দুজন নিহত ও ১০ জনের বেশি গুরুতর আহত হয়েছেন।
রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সের কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের পর হাসপাতালে আনা দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এসময় বিক্ষোভকারীদের অনেকেই পুলিশের উপর পাথর ছুড়তে থাকেন। শুরু হয় পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ। পরে পুলিশ গুলি ছোড়ে। এতে ওই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে সিনিয়র পুলিশ সুপার সুরেন্দ্র কুমার ঝা গুরুতর আহত হয়েছেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে, রাঁচি মূল সড়ক ও ডেইলি মার্কেট এলাকাসহ শহরের বিভিন্ন জায়গায় কারফিউ জারি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় ভারতের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বরখাস্তকৃত মুখপাত্র নুপুর শর্মার নামে মামলা করেছে দেশটির পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৯ জুন) দিল্লি পুলিশ এ মামলা দায়ের করে।
মামলায় তার বিরুদ্ধে সমাজের শান্তি বিনষ্ট, অস্থিতিশীলতা তৈরি এবং বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ তোলা হয়। বিজেপির এই নেতা ছাড়াও আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
এনডিটিভি বলছে, বিজেপির সাবেক মুখপাত্র নুপুর শর্মা, একজন সাংবাদিক, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কয়েকজন ব্যবহারকারী এবং ধর্মীয় বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশের দায়েরকৃত মামলায় অন্য আসামিরা হলেন— বিজেপির দিল্লির গণমাধ্যম শাখার বহিষ্কার হওয়া প্রধান নবীন কুমার জিন্দাল, পিস পার্টির প্রধান মুখপাত্র শাদব চৌহান, হিন্দু মহাসভার পদধারী নেতা শাকুন পাণ্ডে, রাজস্থানের মাওলানা মুফতি নাদিম, আব্দুর রেহমান, অনীল কুমার মীনা, গুলজার আনসারি, সাংবাদিক সাবা নাকভি ও হিন্দু মহাসভার নেতা শাকুন পাণ্ডে।
আরএ/