চীনা বিমানের দুর্ঘটনা ছিল ইচ্ছাকৃত
বছরের শুরুতেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চীনের একটি যাত্রীবাহী বিমান। দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা ১৩২ জন আরোহীর সবাই নিহত হয়েছিলেন। দুর্ঘটনা নয় বরং ককপিটে থাকা কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে বিমানটি বিধ্বস্ত করেছে বলে তথ্য উঠে এসেছে তদন্তকারীদের হাতে।
দুর্ঘটনার প্রায় দুই মাস পর চাঞ্চল্যকর এই তথ্য সামনে এলো। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে এ নিয়ে এখনও চীনের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার হওয়া ব্ল্যাক বক্স পরীক্ষা করে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য অনুযায়ী, ককপিটে থাকা কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে বিমানটিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়। মার্কিন কর্মকর্তারা এ নিয়ে তদন্ত করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, এখন পর্যন্ত বিমানটিতে কোনো প্রযুক্তিগত সমস্যার কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। আর তাই বিমানের কর্মীদের পদক্ষেপ খতিয়ে দেখার কাজ করা হয়েছিল। ব্ল্যাক বক্স থেকে পাওয়া তথ্যমতে, দুর্ঘটনার আগে নিরাপদ উচ্চতা দিয়ে যাচ্ছিল বিমানটি। কিন্তু ককপিট থেকে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে বিমানটিকে বেশ গতিতে মাটির দিকে নামিয়ে আনে। এ কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭ মডেলের বিমানটি হুট করে বহু নিচে নেমে গুয়াংজির পাহাড়ে আছড়ে পড়ে। বিমানটি চীনের কুনমিং থেকে গুয়াংজুতে যাচ্ছিল। বিমানে থাকা ১২৩ জন যাত্রী ও ৯ জন ক্রু সদস্য নিহত হয়।
এসজি/