যে কারণে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়লেন বিপ্লব দেব
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে আকস্মিকভাবে পদত্যাগ করেছেন বিজেপি নেতা বিপ্লব দেব। এর পরেই নানা জল্পনা তৈরি হয়েছে আগরতলায়। কেন তিনি পদত্যাগ করলেন তা নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষণ।
শনিবার (১৪) স্থানীয় সময় বিকাল ৪টার পরে রাজ্যপালে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।
তিনি যে নিজের ইচ্ছায় পদত্যাগ করেননি তা অনেকটাই স্পষ্ট। তৃণমূল রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের মতে, নিজেদের অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণেই সরে যেতে হল বিপ্লবকে। একে চূড়ান্ত গোষ্ঠীবাজির পরিণতি বলেও খোঁচা দিয়েছেন কুণাল।
তবে বিজেপি সূত্র জানায়, নিজের ইচ্ছায় নয় বরং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশেই তিনি রাজ্যপালকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিজেপি পরিষদীয় দলের বৈঠক বসতে চলেছে। মনে করা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ইতোমধ্যেই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঠিক করেছেন।
বিপ্লব মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে অনেক বারই বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়েছেন। তার নানা মন্তব্য নিয়ে বিভিন্ন সময় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে এক বার তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকবেন কি না, তা ঠিক করতে গণভোট দরকার বলেও মন্তব্য করেছিলেন। সেই সময়েও বেজায় চটেন দলের নেতৃত্ব। কিন্তু এ বার কেন তাকে আকস্মিকভাবে সরিয়ে দেওয়া হল, তার স্পষ্ট কারণ জানা যায়নি।
কেউ কেউ বলছেন, আগামী বছর অনুষ্ঠেয় ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে বিপ্লবকে নিয়ে লড়তে চাইছে না বিজেপি। সেই কারণেই সময় থাকতে তাকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত। বিপ্লবকে মুখ্যমন্ত্রী রেখে নির্বাচনে গেলে প্রতিষ্ঠান-বিরোধী হাওয়া জোরালো হতে পারে বলেও গেরুয়া শিবিরের আশঙ্কা ছিল। একই সঙ্গে, বিপ্লবের বিভিন্ন মন্তব্য রাজ্যে দলের সংগঠনেও প্রভাব ফেলছিল। মনে করা হচ্ছে, সেই সব কারণেই বিপ্লবকে সরিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নতুন কোনো ‘সর্বজনগ্রাহ্য’ মুখ নিয়ে আসতে চাইছে বিজেপি।
কে হচ্ছেন পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী
বিপ্লব দেব পদত্যাগের পরেই ত্রিপুরা বিজেপিতে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। আলোচনায় এগিয়ে রয়েছেন দু’জন। অনেকের ধারণা উপ-মুখ্যমন্ত্রী যিষ্ণু দেববর্মাকেই বেছে নিতে পারে বিজেপি। তবে কেউ কেউ ভাবছেন যিষ্ণুকে উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদে রেখেই মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসানো হতে পারে রাজ্য বিজেপি সভাপতি মানিক সাহাকে।
আরও পড়ুন>>
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের আকস্মিক পদত্যাগ
সূত্র: আনন্দবাজার
আরএ/