গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা ভারতের
নিজ দেশে মূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে গম রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত। অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, শুক্রবার (১৩ মে) ভারত সরকার জানিয়েছে, এরইমধ্যে যেসব ঋণপত্র (এলসি) ইস্যু করা হয়েছে, সেগুলোই শুধু রপ্তানি করতে দেওয়া হবে।
বৈদেশিক বাণিজ্য কর্তৃপক্ষের (ডিজিএফটি) নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, সরকার কেবল অন্য দেশের অনুরোধে রপ্তানি অনুমোদন করবে।
ওই নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, দেশের সামগ্রিক খাদ্য নিরাপত্তা সমন্বয় এবং প্রতিবেশি ও অন্য দুর্বল দেশগুলোর প্রয়োজনে সাড়া দিতে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে ভারতে মার্চের তীব্র তাপপ্রবাহ ফসল উৎপাদনের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এ ছাড়া এপ্রিলে মুদ্রাস্ফীতি ৭ দশমিক ৭৯ শতাংশে উঠে যায়। এসব নিয়ন্ত্রণে মারাত্মক চাপে রয়েছে ভারত সরকার। এরই জেরে গম রপ্তানি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।
তবে এই মাসের শুরুতে ভারতের ভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, সরকার গম রপ্তানি সীমিত করতে চাইছে না। ওই সময়ে খাদ্য সচিব শুধাংশু পাণ্ডে বলেন, ‘দেশে পর্যাপ্ত গমের মজুত থাকায় গম রপ্তানি সীমিত করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।’
সম্প্রতি জার্মানে সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতীয় অভিবাসীদের এক আয়োজনে বলেন, বিশ্ব জুড়ে গম সংকট দেখা দেওয়ায় বিশ্বের মানুষের খাবার জোগান দিতে এগিয়ে এসেছে ভারতের কৃষকেরা। তিনি বলেন, ‘মানবতা যখন সংকটের মুখোমুখি হয়, ভারত তখন সমাধান নিয়ে আসে।’
টানা পাঁচ বছর রেকর্ড উৎপাদনের পর ভারত এই বছর তীব্র গরমের কারণে গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে আনে। তাপপ্রবাহের প্রভাব ফসলের মাঠে পড়ায় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১১১ দশমিক ৩ মিলিয়ন টন থেকে নামিয়ে ফেব্রুয়ারিতে ১০৫ মিলিয়ন টন নির্ধারণ করে ভারত।
চীনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ গম উৎপাদক দেশ ভারত। ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকে কৃষ্ণ সাগর এলাকা দিয়ে গম রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে বিশ্বের ক্রেতারা ভারতের গমের প্রতি আরও বেশি আগ্রহী হয়ে ওঠে।
টিটি/