করোনায় যুক্তরাষ্ট্রে ২ লাখ শিশু বাবা বা মাকে হারিয়েছে
করোনাভাইরাস মহামারিতে এক এক করে মাইলফলক স্পর্শ করছে যুক্তরাষ্ট্র। তেমনি এক অনাকাঙ্ক্ষিত মাইলফলক আবারও স্পর্শ করল দেশটি। সর্বোচ্চ সংক্রমণ ও মৃত্যুর তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে কমপক্ষে দুই লাখ শিশু তাদের বাবা অথবা মায়ের একজনকে হারিয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। এ বার্তা সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, বুধবার (১১ মে) যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় প্রাণহানি ১০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৮ কোটি ২২ লাখ ৬০ হাজার ৩৪০ জন।
২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ঘোষণা দেয়, কোভিড–১৯ একটি বৈশ্বিক মহামারি। যুক্তরাষ্ট্রে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা প্রথম রোগী শনাক্ত করার কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কোভিডে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের এক মাস পর বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার খবর আসে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই মহামারি পরিবারগুলোকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে। এরইমধ্যে রাজনৈতিক মেরুকরণে বিভাজিত জাতিকে আরও বিভক্ত করে দেয়। এ মহামারি মোটা অঙ্কের বেতনে কাজ করা কর্মী আর সাধারণ কর্মীদের মধ্যে বৈষম্যও প্রকাশ্যে নিয়ে আসে।
মোটা অঙ্কের বেতনে কাজ করা কর্মীরা বাসায় থেকেও কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। অন্যদিকে মুদি দোকান, ফায়ার স্টেশন ও হাসপাতালের আবশ্যিক কর্মীদের প্রতিদিনই অন্যদের সাহায্য করার জন্য বাইরে যেতে হয়েছিল এবং তাদের ঝুঁকির মুখে পড়তে হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ পরিসংখ্যান–বিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডো মিটারসের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে এখন পর্যন্ত ৫১ কোটি ৯১ লাখ ৪৫ হাজার ৫৯২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৬২ লাখ ৮২ হাজার ৩৫৬ জন।
সংক্রমণ ও মৃত্যুতে শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের পরই সংক্রমণে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশটিতে রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৪ কোটি ৩১ লাখ ১৩ হাজার ৪১৩ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৫ লাখ ২৪ হাজার ১৮১ জন, যা বিশ্বে তৃতীয় সর্বোচ্চ।
সংক্রমণে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। দেশটিতে ৩ কোটি ৬ লাখ ১৭ হাজার ৭৮৬ জন শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৫৬৪ জন, যা বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।