সু চির ৫ বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল নাকচ
মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, এ রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল নাকচ করেছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টে সু চির করা আপিল সম্পর্কে অবগত একটি সূত্র এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। সূত্রটি জানায়, আপিলটি খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
সূত্র আরও জানায়, আপিলটি করার সঙ্গে সঙ্গে তা খারিজ করে দেন আদালত। উভয় পক্ষের যুক্তি শুনানি ছাড়াই আপিলটি খারিজ করা হয়।
একটি দুর্নীতি মামলায় গত সপ্তাহে সু চিকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দেশটির রাজধানী নেপিদোতে স্থাপিত সেনা সরকারের একটি বিশেষ আদালত এ রায় দেন।
ইয়াঙ্গুনের সাবেক চিফ মিনিস্টার ফিও মিন থেইনের কাছ থেকে ৬ লাখ ডলার ও ১১ দশমিক ৪ কেজি সোনা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে সু চিকে এ দণ্ড দেওয়া হয়।
দুর্নীতির এ অভিযোগকে ‘হাস্যকর’ বলে নাকচ করেন সু চি। অন্যদিকে এ বিচারকে প্রহসন বলে আখ্যা দিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
তবে মিয়ানমারের সেনা সরকারের দাবি, যথাযথ নিয়ম মেনেই স্বাধীন আদালতে সু চির বিচার করা হয়েছে।
সু চির বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত দুর্নীতির মোট ১১টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় রুদ্ধদ্বার বিচারের মাধ্যমে রায় হয়েছে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থান হয়। সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হয় সু চির বেসামরিক সরকার। সেনা অভ্যুত্থানের পর সু চিকে গৃহবন্দি করা হয়।
শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চির বিরুদ্ধে অন্তত ১৮টি অভিযোগ এনেছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। এসব অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে তার সব মিলিয়ে ১৯০ বছর সাজা হতে পারে।
টিটি/