টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট
যুক্তরাষ্ট্রের টাইম ম্যাগাজিনের সর্বশেষ সংস্করণের প্রচ্ছদে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ছবি ছাপা হয়েছে। এ সংখ্যায় ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের একটি সাক্ষাৎকারও ছাপা হয়েছে।
ম্যাগাজিনটির এ সংখ্যায় জেলেনস্কির সাক্ষাৎকারে তার জীবনযাপন ও রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে তার নেতৃত্বের বিষয়গুলো তুলে এনেছেন সিমন শুস্টার।
ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার বোমাবর্ষণ ও ইউক্রেন নিয়ে বিশ্বের মনোযোগ তাকে সমান বিরক্ত করে। ইনস্টাগ্রাম আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানুষ (ইউক্রেনে) যুদ্ধ দেখছে। কিন্তু যখন তারা এটা দেখে দেখে ক্লান্ত হচ্ছে, তখনই আর তারা যুদ্ধ নিয়ে কিছু দেখতে চাইছে না। স্ক্রল করে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। কিন্তু ইউক্রেনে প্রচুর রক্ত ঝরছে।
প্রচ্ছদে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের ছবির সঙ্গে লেখা হয়েছে, ‘হাউ জেলেনস্কি লিডস: ইনসাইড দ্য কমপাউন্ড উইথ দ্য প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড হিজ টিম’।
চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। ইউক্রেনের সেনারা পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। কিন্তু রুশ বাহিনীর ক্রমাগত আক্রমণের মুখে ইউক্রেনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়তে থাকে। রুশ বাহিনী ইউক্রেনের একটির পর একটি শহর দখল করতে থাকে। এ কারণে যুদ্ধ শুরুর প্রথম সপ্তাহে জেলেনস্কি ছিলেন তটস্থ। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এক সময় জেলেনস্কি প্রেসিডেন্টের ভবন থেকে চুপিসারে বের হয়ে কিয়েভের ধ্বংসলীলা দেখতে রাস্তায় বের হতেন।
টাইমমের প্রতিবদেনে বলা হয়েছে, দুই মাসের এ যুদ্ধ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে আরও শক্ত, ক্ষিপ্ত করেছে ও ঝুঁকি নিতে শিখিয়েছে।
সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি জানান, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রুশ বাহিনী কিয়েভের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল এবং তাকে হত্যা বা আটক করার খুবই কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল তারা। হামলা শুরুর পরই রুশ বাহিনীর অগ্রগতি দেখে কিয়েভের পতনের ব্যাপারে শঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন জেলেনস্কি। সেই সময় দেশ ছাড়তে জেলেনস্কির জন্য হেলিকপ্টার পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু জেলেনস্কি তা নাকচ করে তখন লড়াই অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের দুই মাস পেরিয়ে গেছে। যুদ্ধের এত দিন পরেও রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলায় বিশ্বজুড়ে ভীষণভাবে প্রশংসিত হচ্ছেন জেলেনস্কি। তিনি বিভিন্ন দেশের পার্লামেন্ট, অনুষ্ঠান ও জনসমাবেশেও ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে ভাষণ দিয়েছেন।
এসএন