নিরাপত্তার প্রশ্নে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: পুতিন
নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়লে রাশিয়া অস্ত্র ব্যবহারে পিছপা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) সেন্ট পিটার্সবার্গে আইনপ্রণেতাদের এক অনুষ্ঠানে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। ইউক্রেনের পক্ষ হয়ে কোনো দেশ যদি রাশিয়ার বিপক্ষে দাঁড়ায় তাহলে মস্কোর পক্ষ থেকে দ্রুত জবাব দেওয়া হবে বলেও সতর্ক করেন পুতিন।
আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইনপ্রণেতাদের অনুষ্ঠানে যোগ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। সেখানে তিনি বলেন, ‘কৌশলগত নিরাপত্তা’ হুমকির জন্য রাশিয়া কী ধরনের পদক্ষেপ নেবে, সে বিষয়ে সব সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যে নিয়ে রেখেছে রাশিয়া।
ইউক্রেনে পশ্চিমাদের হস্তক্ষেপের বিষয়ে পুতিন বলেছেন, ‘বর্তমানে ইউক্রেনে যা ঘটছে, সে বিষয়ে কেউ যদি হস্তক্ষেপ করতে চায়, তাহলে তাদের জেনে রাখা উচিত যে রাশিয়ার জবাব হবে খুবই দ্রুত।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সব ধরনের অস্ত্র রয়েছে, যা পশ্চিমারা এখনও অর্জন করতে পারেনি। তবে আমরা আমাদের অস্ত্র নিয়ে অহংকার করব না। আমরা এগুলো ব্যবহার করব যদি প্রয়োজন পড়ে। এ বিষয়টি আমরা সবাইকে জানিয়ে রাখতে চাই।’
এর আগে পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় রাশিয়া। রাশিয়ার মুদ্রা রুবলে মূল্য পরিশোধ না করলে ইউরোপের অন্য দেশেও বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয় ক্রেমলিন। এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে পোল্যান্ড। দেশটির প্রেসিডেন্ট এটাকে ‘মৌলিক আইনি নীতি’র লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন। ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশটি বলেছে, এভাবে রাশিয়া পশ্চিমা মিত্রদের বিভক্ত করার চেষ্টা করছে। এরপর এল পুতিনের এ ঘোষণা।
ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন মনে করেন, পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় গ্যাস বন্ধ করে দেওয়াকে ব্ল্যাকমেলের একটি ধরন। তবে গ্যাস নিয়ে ‘ব্ল্যাকমেল’-এর অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে মস্কো।
আল–জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়া ব্যাপকভাবে রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল। পোল্যান্ডকে ৫৫ শতাংশ ও বুলগেরিয়াকে ৯০ শতাংশ গ্যাসই আমদানি করতে হয়।
গত মার্চে ‘অবন্ধুসুলভ’ দেশগুলোকে রাশিয়া থেকে গ্যাস আমদানির জন্য রুবলে মূল্য পরিশোধের শর্ত বেধে দেয় রাশিয়া। তবে মস্কোর এ দাবি মানতে রাজি নয় অনেক ক্রেতাদেশ। আর এ দাবি না মানলে সব দেশের ক্ষেত্রে একই পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে রাশিয়া।
টিটি/