দুর্নীতি মামলায় সু চির ৫ বছরের কারাদণ্ড
মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। সেনাশাসিত দেশটির এক আদালত আজ বুধবার (২৭ এপ্রিল) এ সাজা ঘোষণা করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চির বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে ১১টি অভিযোগ এনেছে দেশটির সামরিক জান্তা, তার মধ্যে প্রথম মামলায় আজ সু চিকে সাজা দেওয়া হলো।
গত বছরের সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানোর পর নোবেল বিজয়ী সু চির বিরুদ্ধে উসকানি, ঘুষ নেওয়া থেকে শুরু করে নির্বাচনী ও রাষ্ট্রীয় গোপনীয় আইন লংঘনসহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে।
দোষী সাব্যস্ত হলে সব মামলার রায় মিলিয়ে ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) শীর্ষ নেত্রীর সাজা দেড়শ বছর ছাড়িয়ে যেতে পারে। এখন পর্যন্ত দুটি ছোটখাট অপরাধে সু চি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এবং এতে তার ছয় বছরের সাজা হয়েছে।
বাকি মামলাগুলোর রায় হতে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে। এতে দেশটির স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া সু চির রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ নেই বললেই চলে।
এই মামলা প্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্ত একটি সূত্র বলেছে, ইয়াঙ্গুনের সাবেক চিফ মিনিস্টার ফিও মিন থেইনের কাছ থেকে ৬ লাখ ডলার ও ১১ দশমিক ৪ কেজি স্বর্ণ ঘুষ নেওয়ার মামলায় আজ রায় দিতে পারেন বিচারক। একসময় ফিওকে সু চির উত্তরসূরি মনে করা হতো। গত বছরের অক্টোবরে দেওয়া সাক্ষ্যে তিনি সু চিকে ঘুষ দেওয়ার কথা স্বীকার করেছিলেন।
তার এই সাক্ষ্য জাতীয় টেলিভিশনে আলাদাভাবে সম্প্রচার করে সেনা সরকার। তবে এই অভিযোগকে ‘হাস্যকর’ মন্তব্য করে নাকচ করে দেন সু চি। তিনি তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
৭৬ বছর বয়সী সু চিকে গ্রেপ্তারের পর থেকে অজ্ঞাত এক স্থানে আটকে রাখা হয়েছে, তাকে কারও সাথে দেখা করতে দেওয়া হয় না।
এসএ/