হজের কোটায় চতুর্থ অবস্থানে বাংলাদেশ
এ বছর পবিত্র হজের দেশভিত্তিক কোটা প্রকাশ করেছে সৌদি আরব। এতে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। এবার বাংলাদেশ থেকে হজে অংশ নিতে পারবেন ৫৭ হাজার ৫৮৫ মুসল্লি। সৌদি সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ এ খবর জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এবার সবচেয়ে বেশি মানুষ হজ করতে যাবেন ইন্দোনেশিয়া থেকে। এরপরই রয়েছে পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের নাম। তবে হজের এ কোটা অস্থায়ী। পরবর্তী সময়ে তা সংশোধন করা হতে পারে। একটি দেশের মুসলিম জনসংখ্যার ওপর ভিত্তি করে হজের কোটা নির্ধারণ করে উপসাগরীয় দেশটি।
সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এবার ইন্দোনেশিয়া থেকে এক লাখ ৫১, পাকিস্তানের ৮১ হাজার ১৩২, ভারতের ৭৯ হাজার ২৩৭ মুসল্লি হজ পালন করতে যেতে পারবেন।
গত ১০ এপ্রিল সৌদি কর্তৃপক্ষ জানায়, দেশ-বিদেশ থেকে ১০ লাখ মুসল্লি এবার হজ পালন করতে পারবেন। স্বাভাবিক মৌসুমে ২৫ লাখ মুসল্লি হজে অংশ নিতে পারেন। এ থেকে প্রতি বছর ১ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলার আয় হতো উপসাগরীয় দেশটির। তবে করোনা মহামারির কারণে ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালে সেই সংখ্যা কমিয়ে এনেছে সৌদি সরকার।
এ ছাড়া এবার নাইজিরিয়ার ৪৩ হাজার আট, আফগানিস্তানের ১৩ হাজার ৫৮২, তুরস্কের ৩৭ হাজার ৭৭০ জন হজযাত্রীর কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স থেকে ১২ হাজার ৩৪৮, ৯ হাজার ৫০৪ ও ৯ হাজার ২৬৮ মুসল্লি হাজ করতে যেতে পারবেন।
চলতি বছরে হজের সম্ভাব্য তারিখ ৭ কিংবা ৮ জুলাই। জিলহজ মাসের চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে চূড়ান্ত তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
এই পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৩০ সাল নাগাদ শুধু হজ থেকেই ৫০ বিলিয়ন রিয়াল (১৩ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার) আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল সৌদি আরব। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের অর্থনৈতিক সংস্কার পরিকল্পনা অনুযায়ী, দেশটি ২০২০ সাল নাগাদ ওমরাহ ও হজের জন্য আগত মুসল্লিদের সংখ্যা দুই কোটিতে উন্নীত করতে চেয়েছিলেন। আর ২০৩০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা তিন কোটিতে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন।
এসএ/